এ উল্লাস ছড়িয়ে পড়ূক by এমএফ আলী ফয়েজ
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) স্বদেশপ্রেমের উজ্জ্বল আলোকরেখা অনেকের মনকে রাঙিয়ে দিয়েছে। বিপিএলে বিদেশের নামিদামি তারকাকে পেছনে ফেলে দেশি নবীন ও তরুণদের কদর সবাইকে অবাক করেছে। ক্রিকেটারদের সম্প্রতি পারফরম্যান্স ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মন জয়ই এর পেছনে বেশি কাজ করেছে।
পাশাপাশি দেশি ক্রিকেটারদের বিকাশে ফ্র্যাঞ্চাইজি ও কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টিও কাজ করেছে। এ জন্য অকৃপণ মনমানসিকতা নিয়ে দেশি ক্রিকেটারদের প্রতি হাত বাড়িয়েছেন তারা। এই হাত ও মন খোলার জন্য আমাদের ক্রিকেট ও এর পেছনের মূল চালিকাশক্তি তরুণরা অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এর বিপরীত চিত্র অন্যান্য ক্ষেত্রে দেখা যেত। বিদেশিদের দাপটে ম্লান হয়ে যেত আমাদের দেশীয় খেলোয়াড়রা। বিদেশিদের 'খেল খতম পয়সা হজম' নীতির ফলে টাকা নিয়ে তারা চলে যেত। আমাদের ক্রীড়াঙ্গন হতাশার সাগরেই হাবুডুবু খেত। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা গেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ও কর্তৃপক্ষ হয়তো চেয়েছেন, দেশের ছেলে থাকুক দুধে-ভাতে বা টাকা থাকুক স্বদেশে। এ জন্য তারা দেশিদের প্রতি হাত বাড়িয়েছেন বা হাত খুলে টাকা ঢেলেছেন।
ইতিমধ্যে এর প্রতিদানও দিতে কার্পণ্য করেননি দেশি ক্রিকেটাররা। অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকুর রহিম, মাশরাফি, আবদুর রাজ্জাক, শাহরিয়ার নাফীস, তামিম, মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদসহ সবাই ভালো অবদান রেখে যাচ্ছেন। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং_ সর্বক্ষেত্রেই সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন দেশি ক্রিকেটাররা_ মুশফিকুর রহিম, আশরাফুল, সাকিব আল হাসান, মুমিনুল, নাসির হোসেন, শামসুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক, সোহরাওয়ার্দী শুভ, মোশাররাফ হোসেন, সোহাগ গাজী, ফরহাদ রেজা এবং শাহরিয়ার নাফীস। শাহরিয়ার নাফীস টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি করে হারের বৃত্ত থেকে খুলনাকে টেনে তুলেছেন। তার মতো উজ্জীবিত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন রংপুরের নাসির হোসেন ও শামসুর রহমান এবং সিলেটের মুশফিকুর রহিম। চট্টগ্রাম-খুলনা পর্ব শেষে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাই পারফরম্যান্সে এগিয়ে। এদিকে ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ের তালিকায়ও এগিয়ে রয়েছেন দেশের ক্রিকেটাররা। বিপিএল শুরুর তিন ম্যাচ পর ঢাকার মোহাম্মদ আশরাফুল প্রথম দেশি ক্রিকেটার হিসেবে ম্যাচসেরা হন। প্রথম পাঁচ ম্যাচে তিনিই একমাত্র দেশের ম্যাচসেরা ক্রিকেটার। কিন্তু পরের নয় ম্যাচে দেশি ক্রিকেটারের পাঁচজন হয়েছেন ম্যাচসেরা। আশরাফুলের পর রংপুরের নাসির হোসেন ও শামসুর রহমান, ঢাকার সাকিব আল হাসান, খুলনার শাহরিয়ার নাফীস একবার করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। ধারাবাহিকভাবে সর্বাধিক পাঁচ ম্যাচে সবক'টিতে জয় পেয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে সিলেট রয়্যালস। সমান ম্যাচে চারটি জয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ঢাকা।
গেল ডিসেম্বরের ২০ তারিখ বিপিএলের দ্বিতীয় আসরের নিলামে বিদেশি নামিদামি তারকাকে পেছনে ফেলে দেশি ক্রিকেটার সাকিব, মুশফিকুর রহিম, নাসির হোসেন, সোহাগ গাজীদের কদর নিশ্চয় ইতিবাচক দিকে। বিপিএল নিলামের পর মাঠে এখন দেশিদের দাপট দেখে সচেতন মহল আশাবাদী। দেশি ক্রিকেটাররা প্রতিভার দ্যুতি ছড়িয়ে আলোকিত করবেন দেশকে, ক্রিকেট বিশ্বকে_ এমন প্রত্যাশা সবার।
বিশ্বকাপ, আইপিএল বা বিপিএলের মতো আসরকে কেন্দ্র করে সারাবিশ্বের ক্রীড়ামোদীর আগ্রহ ও প্রত্যাশা থাকে। কেননা, ক্রীড়ামোদীদের কোনো ভৌগোলিক সীমারেখা নেই। বিপিএলের মতো আসর নিয়ে পাকিস্তানি খেলোয়াড় বা দর্শকদেরও আশা কম থাকার কথা নয়। আর বাংলাদেশের তো আরও কয়েকগুণ বেশি। তারা সেই আশায় জল ঢেলেছে। পাকিস্তানিরা বিপিএলকে সামনে রেখে শর্ত আরোপ করে বিসিবিকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে চেয়েছিল স্বার্থ হাসিল করতে। কিন্তু তা হয়নি। বাংলাদেশ মাথা নোয়ায়নি। বরং সাহসের সঙ্গে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। আর এতে লাভ ও জয় হয়েছে বাংলাদেশের। সে সঙ্গে দেশের তরুণ ক্রিকেটাররা প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পেয়েছে।
য়ওসমানীনগর, সিলেট
mfali.foyez2011@gmail.com
ইতিমধ্যে এর প্রতিদানও দিতে কার্পণ্য করেননি দেশি ক্রিকেটাররা। অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকুর রহিম, মাশরাফি, আবদুর রাজ্জাক, শাহরিয়ার নাফীস, তামিম, মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদসহ সবাই ভালো অবদান রেখে যাচ্ছেন। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং_ সর্বক্ষেত্রেই সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন দেশি ক্রিকেটাররা_ মুশফিকুর রহিম, আশরাফুল, সাকিব আল হাসান, মুমিনুল, নাসির হোসেন, শামসুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক, সোহরাওয়ার্দী শুভ, মোশাররাফ হোসেন, সোহাগ গাজী, ফরহাদ রেজা এবং শাহরিয়ার নাফীস। শাহরিয়ার নাফীস টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি করে হারের বৃত্ত থেকে খুলনাকে টেনে তুলেছেন। তার মতো উজ্জীবিত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন রংপুরের নাসির হোসেন ও শামসুর রহমান এবং সিলেটের মুশফিকুর রহিম। চট্টগ্রাম-খুলনা পর্ব শেষে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাই পারফরম্যান্সে এগিয়ে। এদিকে ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ের তালিকায়ও এগিয়ে রয়েছেন দেশের ক্রিকেটাররা। বিপিএল শুরুর তিন ম্যাচ পর ঢাকার মোহাম্মদ আশরাফুল প্রথম দেশি ক্রিকেটার হিসেবে ম্যাচসেরা হন। প্রথম পাঁচ ম্যাচে তিনিই একমাত্র দেশের ম্যাচসেরা ক্রিকেটার। কিন্তু পরের নয় ম্যাচে দেশি ক্রিকেটারের পাঁচজন হয়েছেন ম্যাচসেরা। আশরাফুলের পর রংপুরের নাসির হোসেন ও শামসুর রহমান, ঢাকার সাকিব আল হাসান, খুলনার শাহরিয়ার নাফীস একবার করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। ধারাবাহিকভাবে সর্বাধিক পাঁচ ম্যাচে সবক'টিতে জয় পেয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে সিলেট রয়্যালস। সমান ম্যাচে চারটি জয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ঢাকা।
গেল ডিসেম্বরের ২০ তারিখ বিপিএলের দ্বিতীয় আসরের নিলামে বিদেশি নামিদামি তারকাকে পেছনে ফেলে দেশি ক্রিকেটার সাকিব, মুশফিকুর রহিম, নাসির হোসেন, সোহাগ গাজীদের কদর নিশ্চয় ইতিবাচক দিকে। বিপিএল নিলামের পর মাঠে এখন দেশিদের দাপট দেখে সচেতন মহল আশাবাদী। দেশি ক্রিকেটাররা প্রতিভার দ্যুতি ছড়িয়ে আলোকিত করবেন দেশকে, ক্রিকেট বিশ্বকে_ এমন প্রত্যাশা সবার।
বিশ্বকাপ, আইপিএল বা বিপিএলের মতো আসরকে কেন্দ্র করে সারাবিশ্বের ক্রীড়ামোদীর আগ্রহ ও প্রত্যাশা থাকে। কেননা, ক্রীড়ামোদীদের কোনো ভৌগোলিক সীমারেখা নেই। বিপিএলের মতো আসর নিয়ে পাকিস্তানি খেলোয়াড় বা দর্শকদেরও আশা কম থাকার কথা নয়। আর বাংলাদেশের তো আরও কয়েকগুণ বেশি। তারা সেই আশায় জল ঢেলেছে। পাকিস্তানিরা বিপিএলকে সামনে রেখে শর্ত আরোপ করে বিসিবিকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে চেয়েছিল স্বার্থ হাসিল করতে। কিন্তু তা হয়নি। বাংলাদেশ মাথা নোয়ায়নি। বরং সাহসের সঙ্গে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। আর এতে লাভ ও জয় হয়েছে বাংলাদেশের। সে সঙ্গে দেশের তরুণ ক্রিকেটাররা প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পেয়েছে।
য়ওসমানীনগর, সিলেট
mfali.foyez2011@gmail.com
No comments