পুরুষের সক্ষমতা নিরূপণ
পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়িতেই পরীৰা করা
যাবে। নতুন এক 'ফার্টিলিটি চিপ' উদ্ভাবন করেছেন গবেষকরা। যা দিয়ে পুরুষের
শুক্রাণুর হিসাব সঠিকভাবে নিরূপণ করা যাবে।
ইউনিভার্সিটি
অব টোয়েন্টিজ মেসা প্লাস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকরা এই চিপ উদ্ভাবন
করেছেন। পুরুষের প্রজনন ৰমতা সুচারুরূপে পরীক্ষা করার ছোট যন্ত্র
আবিষ্কারের পথে এটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। গবেষকরা তাঁদের এই চিপ
আবিষ্কারের বিষয়টি শীঘ্রই বিজ্ঞান সাময়িকী 'ল্যাব অন এ চিপ' এ প্রকাশ করতে
যাচ্ছেন।
প্রতিবারে নেদারল্যান্ডসের ১০ হাজারেরও বেশি দম্পতি সন্তানহীনতার জন্য সাহায্য চেয়ে আবেদন করেন। প্রজনন ৰমতা নিয়ে গবেষণার প্রথম ধাপ হচ্ছে শুক্র বিশেস্নষণ করা। প্রচলিত ব্যবস্থায় সনত্মান জন্মদানের উপযোগী শুক্রের মান পরীৰার জন্য প্রয়োজন অতি সতর্ক প্রস্তুতি এবং একটি বিশেষায়িত ল্যাবরেটরি। পর্যাপ্ত বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য দুই থেকে পাঁচ বার পর্যনত্ম এই পরীৰা চালাতে হয়।
পুরম্নষ যদি নিজের বাড়িতে বসে নিজে নিজে এই পরীৰা চালাতে পারে, তাহলে অনেক বিব্রতকর অবস্থা এড়ানো সম্ভব। সেই সঙ্গে নতুন চিপের মাধ্যমে প্রজনন সমস্যা আরও সঠিকভাবে পরীৰা করা যাবে। শুধু তাই নয়, গবেষকরা মনে করেন নতুন যন্ত্র আবিষ্কারের পর স্বাস্থ্য বীমাকারীদের ব্যয়ও অনেক কমে যাবে।
গবেষক লোস সেগেরিক্স উদ্ভাবিত এই চিপ শুক্রাণু সঠিকবাবে গণনা করতে সৰম। এৰেত্রে মনোযোগ হচ্ছে সবচেয়ে গুরম্নত্বপূর্ণ।
পুরম্নষের স্বাভাবিক প্রজনন ৰমতার জন্য প্রতি মিলিলিটার বীর্যে ২ কোটি শুক্রাণু থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে প্রচলিত ব্যবস্থায়ও পুরম্নষের শুক্রাণু বাড়িতে বসে পরীৰা করা যায়। কিন্তু তাতে শুধু এটুকু বোঝা যায় যে, শুক্রাণুর সংখ্যা স্বাভাবিক মাত্রার চাইতে বেশি না কম। তা ছাড়া প্রচলিত এই পরীৰা থেকে খুবই সীমিত উপাত্ত লাভ করা যায়। কারণ শুক্রাণুর কেন্দ্রীভবন বা একই স্থানে জড়ো হওয়ার প্রবণতা প্রচলিত ব্যবস্থায় পরিমাপ করা সম্ভব হয়।
শুক্রাণুর এই কেন্দ্রীভবন বা কাছাকাছি থাকার প্রবণতা বীর্যের মান নিদের্শক। সেই সঙ্গে শুক্রাণুর স্বতঃস্ফূর্ততা বা চলন ৰমতা ও প্রজনন ৰমতা নির্ণয়ের গুরম্নত্বপূর্ণ নিয়ামক। নতুন উদ্ভাবিত এই চিপে প্রজনন ৰমতার গুরম্নত্বপূর্ণ এসব দিক সুনিপুণভাবে পরীৰা করা যাবে। নতুন কম্প্যাক্ট ডিভাইসে এই চিপ এমনিভাবে স্থাপন করা হবে যাতে কেবলমাত্র একবার ব্যবহার করা যায়। এৰেত্রে ব্যবহারকারীই কেবল দেখতে পাবে যে তার প্রজনন ৰমতা সফলভাবে পরীৰা করা হয়েছে। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ তাকে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়ে দেবে টেস্টের প্রকৃত ফল। লোস সেগেরিঙ্ক প্রফেসর আলবার্ট ভ্যান ডেন বার্গের বায়োস ল্যাব অন এ চিপ রিসার্চ গ্রম্নপে এই ফার্টিলিট চিপ উদ্ভাবন করেছেন। গ্রম্নপটি ইউনিভার্সিটি অব টোয়োন্টিজ মেগা পস্নাস ইনস্টিটিউট ফর টেকনোলজি -এর অংশ। এই গবেষণায় অর্থায়ন করেছে টেকনোলজি ফাউন্ডেশন এসটিডবিস্নউ। এ সংক্রানত্ম গবেষণা ইতোমধ্যে অনলাইনে আগাম প্রকাশিত হয়েছে।
০ মইনুল ইসলাম
প্রতিবারে নেদারল্যান্ডসের ১০ হাজারেরও বেশি দম্পতি সন্তানহীনতার জন্য সাহায্য চেয়ে আবেদন করেন। প্রজনন ৰমতা নিয়ে গবেষণার প্রথম ধাপ হচ্ছে শুক্র বিশেস্নষণ করা। প্রচলিত ব্যবস্থায় সনত্মান জন্মদানের উপযোগী শুক্রের মান পরীৰার জন্য প্রয়োজন অতি সতর্ক প্রস্তুতি এবং একটি বিশেষায়িত ল্যাবরেটরি। পর্যাপ্ত বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য দুই থেকে পাঁচ বার পর্যনত্ম এই পরীৰা চালাতে হয়।
পুরম্নষ যদি নিজের বাড়িতে বসে নিজে নিজে এই পরীৰা চালাতে পারে, তাহলে অনেক বিব্রতকর অবস্থা এড়ানো সম্ভব। সেই সঙ্গে নতুন চিপের মাধ্যমে প্রজনন সমস্যা আরও সঠিকভাবে পরীৰা করা যাবে। শুধু তাই নয়, গবেষকরা মনে করেন নতুন যন্ত্র আবিষ্কারের পর স্বাস্থ্য বীমাকারীদের ব্যয়ও অনেক কমে যাবে।
গবেষক লোস সেগেরিক্স উদ্ভাবিত এই চিপ শুক্রাণু সঠিকবাবে গণনা করতে সৰম। এৰেত্রে মনোযোগ হচ্ছে সবচেয়ে গুরম্নত্বপূর্ণ।
পুরম্নষের স্বাভাবিক প্রজনন ৰমতার জন্য প্রতি মিলিলিটার বীর্যে ২ কোটি শুক্রাণু থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে প্রচলিত ব্যবস্থায়ও পুরম্নষের শুক্রাণু বাড়িতে বসে পরীৰা করা যায়। কিন্তু তাতে শুধু এটুকু বোঝা যায় যে, শুক্রাণুর সংখ্যা স্বাভাবিক মাত্রার চাইতে বেশি না কম। তা ছাড়া প্রচলিত এই পরীৰা থেকে খুবই সীমিত উপাত্ত লাভ করা যায়। কারণ শুক্রাণুর কেন্দ্রীভবন বা একই স্থানে জড়ো হওয়ার প্রবণতা প্রচলিত ব্যবস্থায় পরিমাপ করা সম্ভব হয়।
শুক্রাণুর এই কেন্দ্রীভবন বা কাছাকাছি থাকার প্রবণতা বীর্যের মান নিদের্শক। সেই সঙ্গে শুক্রাণুর স্বতঃস্ফূর্ততা বা চলন ৰমতা ও প্রজনন ৰমতা নির্ণয়ের গুরম্নত্বপূর্ণ নিয়ামক। নতুন উদ্ভাবিত এই চিপে প্রজনন ৰমতার গুরম্নত্বপূর্ণ এসব দিক সুনিপুণভাবে পরীৰা করা যাবে। নতুন কম্প্যাক্ট ডিভাইসে এই চিপ এমনিভাবে স্থাপন করা হবে যাতে কেবলমাত্র একবার ব্যবহার করা যায়। এৰেত্রে ব্যবহারকারীই কেবল দেখতে পাবে যে তার প্রজনন ৰমতা সফলভাবে পরীৰা করা হয়েছে। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ তাকে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়ে দেবে টেস্টের প্রকৃত ফল। লোস সেগেরিঙ্ক প্রফেসর আলবার্ট ভ্যান ডেন বার্গের বায়োস ল্যাব অন এ চিপ রিসার্চ গ্রম্নপে এই ফার্টিলিট চিপ উদ্ভাবন করেছেন। গ্রম্নপটি ইউনিভার্সিটি অব টোয়োন্টিজ মেগা পস্নাস ইনস্টিটিউট ফর টেকনোলজি -এর অংশ। এই গবেষণায় অর্থায়ন করেছে টেকনোলজি ফাউন্ডেশন এসটিডবিস্নউ। এ সংক্রানত্ম গবেষণা ইতোমধ্যে অনলাইনে আগাম প্রকাশিত হয়েছে।
০ মইনুল ইসলাম
No comments