হাইকোর্টের আদেশের মার্জনা চাওয়া হয়েছে- ভাষাসৈনিকদের তালিকা তৈরি করা সম্ভব নয় by শরিফুজ্জামান
মহান ভাষা আন্দোলনের ছয় দশক পর ভাষাসৈনিকদের তালিকা প্রণয়ন সম্ভব নয়। প্রথম দফায় ৬৮ জন ভাষাসৈনিকের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশিত হওয়ার পর এ-সংক্রান্ত কমিটি এই মত দিয়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশে তালিকা তৈরি শুরু হওয়ায় কমিটি বা মন্ত্রণালয় বিষয়টি সরাসরি নাকচ করতে পারছে না। এ জন্য হাইকোর্টের কাছেই আদেশটির প্রমার্জন চাওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ভাষাসৈনিকদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা সম্ভব নয় মর্মে কমিটির মতামত এবং এ-সংক্রান্ত সুপারিশ গত ২২ জানুয়ারি মন্ত্রণালয় হাইকোর্টকে অবগত করেছে।
একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট ভাষাসৈনিকদের তালিকা তৈরি, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে একটি গ্রন্থাগার ও ভাষা জাদুঘর নির্মাণসহ আট দফা নির্দেশনা দেন। পঞ্চম দফা নির্দেশনা ছিল ভাষাসৈনিকদের তালিকা তৈরি করা।
২০১১ সালের ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি এক বছর আগে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেওয়া ১৪ নারীসহ জীবিত ৬৮ জনকে ভাষাসৈনিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি গেজেট প্রকাশ করে।
কমিটির আহ্বায়ক এবং একুশের চেতনা পরিষদের সভাপতি ড. আহমদ রফিক প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৪৮ সাল এবং পরে ১৯৫২ থেকে ৫৬ সাল পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষ মিছিল-সমাবেশ করেছে। তাদের সবার নাম সংগ্রহ ও তালিকাভুক্ত করা সম্ভব নয়। হাইকোর্টকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং এ-ও বলা হয়েছে, তাড়াহুড়ো করে তৈরি তালিকার গেজেটটি বাতিলের অনুমতিও যেন হাইকোর্ট দেন।
ওই কমিটিতে আরও ছিলেন নজরুল গবেষক রফিকুল ইসলাম, ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন এবং বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
আদালত ভাষাসৈনিকদের নামের তালিকা প্রকাশের জন্য একটি কেন্দ্রীয় কমিটি এবং প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে একটি জেলা কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুরুতেই জেলা কমিটি গঠনের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করতে আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়।
মুনতাসীর মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। সেখানে ৬০ বছর আগের ভাষাসংগ্রামীদের নাম জেলা বা কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমে খুঁজতে গেলে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে আদালতের নির্দেশ মার্জনা করতে অনুরোধ করা হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ভাষাসৈনিকদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা সম্ভব নয় মর্মে কমিটির মতামত এবং এ-সংক্রান্ত সুপারিশ গত ২২ জানুয়ারি মন্ত্রণালয় হাইকোর্টকে অবগত করেছে।
একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট ভাষাসৈনিকদের তালিকা তৈরি, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে একটি গ্রন্থাগার ও ভাষা জাদুঘর নির্মাণসহ আট দফা নির্দেশনা দেন। পঞ্চম দফা নির্দেশনা ছিল ভাষাসৈনিকদের তালিকা তৈরি করা।
২০১১ সালের ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি এক বছর আগে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেওয়া ১৪ নারীসহ জীবিত ৬৮ জনকে ভাষাসৈনিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি গেজেট প্রকাশ করে।
কমিটির আহ্বায়ক এবং একুশের চেতনা পরিষদের সভাপতি ড. আহমদ রফিক প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৪৮ সাল এবং পরে ১৯৫২ থেকে ৫৬ সাল পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষ মিছিল-সমাবেশ করেছে। তাদের সবার নাম সংগ্রহ ও তালিকাভুক্ত করা সম্ভব নয়। হাইকোর্টকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং এ-ও বলা হয়েছে, তাড়াহুড়ো করে তৈরি তালিকার গেজেটটি বাতিলের অনুমতিও যেন হাইকোর্ট দেন।
ওই কমিটিতে আরও ছিলেন নজরুল গবেষক রফিকুল ইসলাম, ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন এবং বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
আদালত ভাষাসৈনিকদের নামের তালিকা প্রকাশের জন্য একটি কেন্দ্রীয় কমিটি এবং প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে একটি জেলা কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুরুতেই জেলা কমিটি গঠনের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করতে আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়।
মুনতাসীর মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। সেখানে ৬০ বছর আগের ভাষাসংগ্রামীদের নাম জেলা বা কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমে খুঁজতে গেলে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে আদালতের নির্দেশ মার্জনা করতে অনুরোধ করা হয়েছে।’
No comments