আবার ঋণ কেলেঙ্কারি-গ্রাহক আমানতের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক
হলমার্ক
কেলেঙ্কারির রেশ কাটেনি। কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের আর্থিক দুর্নীতির
বিষয় নতুন করে উদ্ঘাটনের পর এবার ঋণের নামে বেসরকারি ব্যাংকের টাকা গায়েব
করে দেওয়ার অভিযোগ। দুটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে হাওয়া হয়ে গেছে বিসমিল্লাহ
টাওয়েলস নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে,
কুমিল্লা ও আশুলিয়ায় প্রতিষ্ঠানটির কারখানাগুলো এখন প্রায় পরিত্যক্ত। ঢাকায়
প্রধান কার্যালয়েও কর্মকর্তারা অনুপস্থিত। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও
এমডির নামে মামলা হয়েছে। একটি ব্যাংকের ছয়জন কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে।
ঋণ প্রদানে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
হলমার্কের মতো একটি বড় ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনা, রাষ্ট্রায়ত্ত তিন ব্যাংকের নানা অনিয়ম প্রকাশ হওয়ার পর এখন বলা যেতে পারে, দেশের আর্থিক খাতে নানা জালিয়াতির ঘটনা ঘটেই চলেছে। তার পরও অনেক ঘটনা আড়ালে থেকে যাচ্ছে। কিছু কিছু ঘটনা আড়াল করা হচ্ছে। এমন অনেক ঘটনাই আছে, যেসব ঘটনা জনসমক্ষে প্রকাশ হয়ে গেলে অনেক বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তাতে ব্যাংকগুলোর প্রতি গ্রাহকদের আস্থা নষ্ট হবে। গ্রাহকদের আস্থার ওপর ভিত্তি করেই ব্যাংকগুলোকে চলতে হয়। গ্রাহকদের আস্থাকেই বাণিজ্যিক ব্যাকগুলোর মূল ভিত্তি হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। উল্লেখ করা প্রয়োজন, বাণিজ্যিক ব্যাংকের এসব অনিয়মের নেপথ্যে অনেক সময় একটি সুবিধাভোগী শ্রেণীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদের প্রমাণও মেলে।
বাংলাদেশের মতো দেশে এখন অনেক বাণিজ্যিক ব্যাংক কাজ করছে। দেওয়া হচ্ছে নতুন অনেক ব্যাংকের লাইসেন্স। সাধারণভাবেই বলা চলে, এসব ব্যাংক প্রতিযোগতায় এলে টিকে থাকার জন্য নিজস্ব বাণিজ্যিক পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে সবাইকে। ব্যাংকগুলোকে লাভের আশায় বিনিয়োগ করতে হয়। কিন্তু ব্যাংকের বিনিয়োগে যদি ভুল হয় বা হয় ঝুঁকিপূর্ণ, তাহলে তা আর্থিক খাতের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে।
ব্যাংকের টাকা একবার নিলে তা আর ফেরত দেওয়া লাগে না- এমন মনে করা হতো এক সময়। ব্যবসায়ীদের মনে রাখা উচিত, ব্যাংক থেকে আর্থিক সুবিধা পাওয়াটা তাঁদের অধিকার নয়। কাজেই ব্যবসার নামে অর্থ নিয়ে তা আত্মসাতের চেষ্টা করা অপরাধ। প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন এমন ঘটনা ঘটে? বিশেষজ্ঞ অভিমত, ব্যাংকের ঋণ ঝুঁকি বিশ্লেষণ-ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়লে যেমন এ ধরনের অনিয়ম ঘটতে পারে, তেমনি ব্যাংকের দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তারাও এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।
হলমার্ক কেলেঙ্কারি এখনো আমাদের সামনে টাটকা উদাহরণ। এর পরও ব্যাংকগুলোতে এ ধরনের অনিয়মের ঘটনা একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়। এতে আমানতকারীর স্বার্থ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে এবং সামগ্রিকভাবে ব্যাংক খাত নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি হবে। কাজেই আস্থা হারানো চলবে না। এ ব্যাপারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে বলে আমরা মনে করি। বাড়াতে হবে নজরদারি। যাতে আমানতকারীদের স্বার্থ ঝুঁকিতে না পড়ে, সেদিকে কঠোর দৃষ্টি দিতে হবে।
হলমার্কের মতো একটি বড় ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনা, রাষ্ট্রায়ত্ত তিন ব্যাংকের নানা অনিয়ম প্রকাশ হওয়ার পর এখন বলা যেতে পারে, দেশের আর্থিক খাতে নানা জালিয়াতির ঘটনা ঘটেই চলেছে। তার পরও অনেক ঘটনা আড়ালে থেকে যাচ্ছে। কিছু কিছু ঘটনা আড়াল করা হচ্ছে। এমন অনেক ঘটনাই আছে, যেসব ঘটনা জনসমক্ষে প্রকাশ হয়ে গেলে অনেক বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তাতে ব্যাংকগুলোর প্রতি গ্রাহকদের আস্থা নষ্ট হবে। গ্রাহকদের আস্থার ওপর ভিত্তি করেই ব্যাংকগুলোকে চলতে হয়। গ্রাহকদের আস্থাকেই বাণিজ্যিক ব্যাকগুলোর মূল ভিত্তি হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। উল্লেখ করা প্রয়োজন, বাণিজ্যিক ব্যাংকের এসব অনিয়মের নেপথ্যে অনেক সময় একটি সুবিধাভোগী শ্রেণীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদের প্রমাণও মেলে।
বাংলাদেশের মতো দেশে এখন অনেক বাণিজ্যিক ব্যাংক কাজ করছে। দেওয়া হচ্ছে নতুন অনেক ব্যাংকের লাইসেন্স। সাধারণভাবেই বলা চলে, এসব ব্যাংক প্রতিযোগতায় এলে টিকে থাকার জন্য নিজস্ব বাণিজ্যিক পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে সবাইকে। ব্যাংকগুলোকে লাভের আশায় বিনিয়োগ করতে হয়। কিন্তু ব্যাংকের বিনিয়োগে যদি ভুল হয় বা হয় ঝুঁকিপূর্ণ, তাহলে তা আর্থিক খাতের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে।
ব্যাংকের টাকা একবার নিলে তা আর ফেরত দেওয়া লাগে না- এমন মনে করা হতো এক সময়। ব্যবসায়ীদের মনে রাখা উচিত, ব্যাংক থেকে আর্থিক সুবিধা পাওয়াটা তাঁদের অধিকার নয়। কাজেই ব্যবসার নামে অর্থ নিয়ে তা আত্মসাতের চেষ্টা করা অপরাধ। প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন এমন ঘটনা ঘটে? বিশেষজ্ঞ অভিমত, ব্যাংকের ঋণ ঝুঁকি বিশ্লেষণ-ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়লে যেমন এ ধরনের অনিয়ম ঘটতে পারে, তেমনি ব্যাংকের দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তারাও এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।
হলমার্ক কেলেঙ্কারি এখনো আমাদের সামনে টাটকা উদাহরণ। এর পরও ব্যাংকগুলোতে এ ধরনের অনিয়মের ঘটনা একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়। এতে আমানতকারীর স্বার্থ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে এবং সামগ্রিকভাবে ব্যাংক খাত নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি হবে। কাজেই আস্থা হারানো চলবে না। এ ব্যাপারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে বলে আমরা মনে করি। বাড়াতে হবে নজরদারি। যাতে আমানতকারীদের স্বার্থ ঝুঁকিতে না পড়ে, সেদিকে কঠোর দৃষ্টি দিতে হবে।
No comments