ডাকাতের হাতে ট্রেনের যাত্রী হত্যা- রেলভ্রমণকে নিরাপদ করতে হবে
চলন্ত ট্রেন থেকে যাত্রীদের ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে ডাকাত দল। যাত্রীদের
কাছ থেকে অর্থ ও মালামাল কেড়ে নিয়ে তাদের মারধর করে চলন্ত ট্রেন থেকে
তাদের বাইরে ছুড়ে ফেলে দেয় ডাকাতেরা।
এ সময় আক্রান্ত যাত্রীরা কোনো
ধরনের নিরাপত্তা সহযোগিতা পাননি। বরং বড় বড় জানালা যাত্রীদের বাইরে ফেলার
ক্ষেত্রে ডাকাতদের জন্য সহায়ক হয়েছে। এভাবে পাঁচ যাত্রীকে মারধর করে
জিম্মি করতে অবশ্যই কিছুটা সময় লেগেছে। এ সময় রেলওয়ের নিরাপত্তা পুলিশ
কেন তাদের সহযোগিতা করতে পারল না, বিষয়টি রহস্যজনক। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একই
জায়গায় একই ধরনের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। এ ধরনের নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি
মেনে নেয়া যায় না।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকাগামী তিতাস কমিউটার ট্রেনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘরের কুরুলিয়া ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভোর ৫টায় আখাউড়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তিতাস কমিউটার ট্রেন সদর উপজেলার পাঘাচং পৌঁছলে লোকোমটিভের (ইঞ্জিন) পরের বগিতে ৮-১০ জন যুবক ওঠে। তখন বগিতে পাঁচজন যাত্রী ছিলেন। ট্রেনটি পাঘাচং ছাড়ার পরই ওই যাত্রীবেশী ডাকাতদল যাত্রীদের মারধর করে ও তাদের কাছ থেকে মোবাইলসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লুটে নেয়। একপর্যায়ে একে একে সবাইকে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়। সমতল জায়গায় পড়ায় এদের মধ্যে দু’জন বেঁচে যান। ভোরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করেন।
পুরো একটি বগি খালি হয়ে গেলেও রেলের নিরাপত্তাকর্মীরা বিষয়টি টের পাননি তা কিভাবে সম্ভব হলো। আটজন ডাকাতের পাঁচজনকে কাবু করতে অনেকক্ষণ লেগেছে। নিশ্চয়ই অনেক ধস্তাধস্তি হয়েছে। সেটাও যদি তারা টের না পান, যখন তাদের বাইরে ফেলা হয়েছে তখন তো টের পাওয়ার কথা। যাত্রীদের যখন বাইরে ফেলা হয়েছে, ভারী জিনিস পড়ার শব্দ নিশ্চয়ই হয়েছে। একে একে পাঁচজনকে ফেলা হলো আর কেউ কিছু বুঝল না, এটা হতে পারে না। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বরত পুলিশকে বরখাস্ত করেছে, এটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটা রুটিন পদক্ষেপ। এর আগেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একই জায়গায় ডাকাতি হয়েছে, যাত্রীদের হত্যা করা হয়েছে। দুঃখজনক হচ্ছে, সে ঘটনার তদন্ত হয়নি। ডাকাতেরা ধরা পড়েনি। তাদের বিচার হয়নি। বরং তারা আরো শক্তিশালী হয়ে এবার তিনজনকে হত্যা করেছে।
মানুষ হত্যা যেন বাংলাদেশে এখন ডালভাতের মতো হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই বহু মানুষ গুম, খুন, হত্যা হচ্ছে। রেলগাড়ির ভেতর যাত্রীরা নিরাপদ থাকবে না, এটা ভাবা যায় না। সাধারণত যাত্রীরা রেলভ্রমণকে অত্যন্ত নিরাপদ মনে করেন। কিন্তু পরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ ধরনের নির্মম হত্যাকাণ্ড রেলওয়েকেও অনিরাপদ করে দিলো। এর মাধ্যমে সরকারি পরিবহন খাত জনগণের আস্থা হারাবে। কেবল অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ভাবমর্যাদা রক্ষা হতে পারে। সাময়িক বহিষ্কার কোনোরকমে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে না। প্রয়োজনে সরকারকে কঠোর হতে হবে। কারা ডাকাতদের আশকারা দিচ্ছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। অপরাধীদের যথোপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকাগামী তিতাস কমিউটার ট্রেনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘরের কুরুলিয়া ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভোর ৫টায় আখাউড়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তিতাস কমিউটার ট্রেন সদর উপজেলার পাঘাচং পৌঁছলে লোকোমটিভের (ইঞ্জিন) পরের বগিতে ৮-১০ জন যুবক ওঠে। তখন বগিতে পাঁচজন যাত্রী ছিলেন। ট্রেনটি পাঘাচং ছাড়ার পরই ওই যাত্রীবেশী ডাকাতদল যাত্রীদের মারধর করে ও তাদের কাছ থেকে মোবাইলসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লুটে নেয়। একপর্যায়ে একে একে সবাইকে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়। সমতল জায়গায় পড়ায় এদের মধ্যে দু’জন বেঁচে যান। ভোরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করেন।
পুরো একটি বগি খালি হয়ে গেলেও রেলের নিরাপত্তাকর্মীরা বিষয়টি টের পাননি তা কিভাবে সম্ভব হলো। আটজন ডাকাতের পাঁচজনকে কাবু করতে অনেকক্ষণ লেগেছে। নিশ্চয়ই অনেক ধস্তাধস্তি হয়েছে। সেটাও যদি তারা টের না পান, যখন তাদের বাইরে ফেলা হয়েছে তখন তো টের পাওয়ার কথা। যাত্রীদের যখন বাইরে ফেলা হয়েছে, ভারী জিনিস পড়ার শব্দ নিশ্চয়ই হয়েছে। একে একে পাঁচজনকে ফেলা হলো আর কেউ কিছু বুঝল না, এটা হতে পারে না। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বরত পুলিশকে বরখাস্ত করেছে, এটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটা রুটিন পদক্ষেপ। এর আগেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একই জায়গায় ডাকাতি হয়েছে, যাত্রীদের হত্যা করা হয়েছে। দুঃখজনক হচ্ছে, সে ঘটনার তদন্ত হয়নি। ডাকাতেরা ধরা পড়েনি। তাদের বিচার হয়নি। বরং তারা আরো শক্তিশালী হয়ে এবার তিনজনকে হত্যা করেছে।
মানুষ হত্যা যেন বাংলাদেশে এখন ডালভাতের মতো হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই বহু মানুষ গুম, খুন, হত্যা হচ্ছে। রেলগাড়ির ভেতর যাত্রীরা নিরাপদ থাকবে না, এটা ভাবা যায় না। সাধারণত যাত্রীরা রেলভ্রমণকে অত্যন্ত নিরাপদ মনে করেন। কিন্তু পরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ ধরনের নির্মম হত্যাকাণ্ড রেলওয়েকেও অনিরাপদ করে দিলো। এর মাধ্যমে সরকারি পরিবহন খাত জনগণের আস্থা হারাবে। কেবল অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ভাবমর্যাদা রক্ষা হতে পারে। সাময়িক বহিষ্কার কোনোরকমে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে না। প্রয়োজনে সরকারকে কঠোর হতে হবে। কারা ডাকাতদের আশকারা দিচ্ছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। অপরাধীদের যথোপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
No comments