খালেদা জিয়ার নিবন্ধ- বিএনপির নেতারা আগে না জানলেও বক্তব্যে একমত by সেলিম জাহিদ
যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ওয়াশিংটন টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিবন্ধটি সম্পর্কে আগে থেকে দলের শীর্ষপর্যায়ের নেতারা জানতেন না। দলের বৈদেশিক নীতি ও সম্পর্ক নিয়ে ‘চিন্তাশীল গোষ্ঠী’ নিবন্ধটি প্রকাশের বিষয়ে যুক্ত ছিল।
তবে, নিবন্ধটি প্রকাশের প্রক্রিয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন থাকলেও এর বক্তব্য, যুক্তি ও তথ্যের প্রতি তাঁদের সমর্থন রয়েছে বলে বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন। তাঁরা মনে করেন, খালেদা জিয়ার লেখাটি বর্তমান সরকারের চার বছরের ‘দুর্নীতি ও দুঃশাসনের’ একটি আংশিক চিত্র। এতে এমন কিছু নেই, যা বাংলাদেশে ঘটেনি বা আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী অবগত নয়।
দলীয় সূত্রগুলো জানায়, খালেদা জিয়ার লেখা নিয়ে জাতীয় সংসদে গত বৃহস্পতিবার কড়া সমালোচনায় বিএনপির নেতাদের খানিকটা অপ্রস্তুত করে। কারণ, দেশের চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খালেদা জিয়া নিজের নামে লিখেছেন, এটা তখন পর্যন্ত বেশির ভাগ নেতার জানা ছিল না। সংসদে সমালোচনার পর দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা লেখাটি সম্পর্কে জানতে চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে ফোন করেছেন।
এ নিয়ে গতকাল বিএনপির দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতার সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তাঁরা দাবি করেন, খালেদা জিয়ার নিবন্ধে বাংলাদেশের এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতুতে ‘সরকারের দুর্নীতির’ বিষয়ে কিছু যৌক্তিক প্রশ্ন ছিল। নিবন্ধটি প্রকাশের দিনই বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের তদন্ত বিষয়ে সব শর্ত পূরণ না হলে প্রকল্পে অর্থ দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন। এত বড় ঘটনা ঢাকা দিতে এবং দেশবাসীর মনোযোগ অন্যত্র সরাতে সরকারের জন্য কিছু একটা করার প্রয়োজন পড়েছিল। এ কারণে খালেদা জিয়ার লেখাটি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর মিত্ররা অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।
সরকারি দলের সমালোচনার জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, ‘বিরোধী দলে থাকাকালে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বাংলাদেশকে অর্থ-সহযোগিতা বন্ধ করে দিতে বলেছিলেন। সে দেশর ফ্লোরিডায় গিয়ে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন। আর ফ্রান্সে গিয়ে সে দেশের এমপিদের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি বিল আনার জন্য বলেছিলেন। সরকারি দলের মন্ত্রী-সাংসদেরা এসব কথা ভুলে গেছেন।’
গত ৩০ জানুয়ারি দ্য ওয়াশিংটন টাইমস-এর মতামত কলামে খালেদা জিয়ার নামে ‘দ্য থ্যাংকলেস রোল ইন সেভিং ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়। এতে বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন সমালোচনা করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশ্ব সম্প্রদায়কে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে সংবাদ সম্মেলন করে এবং জাতীয় সংসদে মহাজোট সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও সাংসদ খালেদা জিয়ার কড়া সমালোচনা করেন। তাঁরা লেখাটিকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ শামিল বলেও আখ্যা দেন।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনার বহু রেকর্ড আছে বিদেশে গিয়ে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে অনেক খারাপ কথা বলার। তাই বলে আমরা এটাকে জাস্টিফাই (ভালো বলে সাফাই) করছি না। আমরা মনে করি, খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছেন। কিন্তু এটাকে রাজনৈতিকভাবে অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে।’
দলীয় সূত্রগুলো জানায়, খালেদা জিয়ার লেখা নিয়ে জাতীয় সংসদে গত বৃহস্পতিবার কড়া সমালোচনায় বিএনপির নেতাদের খানিকটা অপ্রস্তুত করে। কারণ, দেশের চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খালেদা জিয়া নিজের নামে লিখেছেন, এটা তখন পর্যন্ত বেশির ভাগ নেতার জানা ছিল না। সংসদে সমালোচনার পর দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা লেখাটি সম্পর্কে জানতে চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে ফোন করেছেন।
এ নিয়ে গতকাল বিএনপির দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতার সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তাঁরা দাবি করেন, খালেদা জিয়ার নিবন্ধে বাংলাদেশের এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতুতে ‘সরকারের দুর্নীতির’ বিষয়ে কিছু যৌক্তিক প্রশ্ন ছিল। নিবন্ধটি প্রকাশের দিনই বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের তদন্ত বিষয়ে সব শর্ত পূরণ না হলে প্রকল্পে অর্থ দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন। এত বড় ঘটনা ঢাকা দিতে এবং দেশবাসীর মনোযোগ অন্যত্র সরাতে সরকারের জন্য কিছু একটা করার প্রয়োজন পড়েছিল। এ কারণে খালেদা জিয়ার লেখাটি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর মিত্ররা অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।
সরকারি দলের সমালোচনার জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, ‘বিরোধী দলে থাকাকালে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বাংলাদেশকে অর্থ-সহযোগিতা বন্ধ করে দিতে বলেছিলেন। সে দেশর ফ্লোরিডায় গিয়ে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন। আর ফ্রান্সে গিয়ে সে দেশের এমপিদের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি বিল আনার জন্য বলেছিলেন। সরকারি দলের মন্ত্রী-সাংসদেরা এসব কথা ভুলে গেছেন।’
গত ৩০ জানুয়ারি দ্য ওয়াশিংটন টাইমস-এর মতামত কলামে খালেদা জিয়ার নামে ‘দ্য থ্যাংকলেস রোল ইন সেভিং ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়। এতে বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন সমালোচনা করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশ্ব সম্প্রদায়কে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে সংবাদ সম্মেলন করে এবং জাতীয় সংসদে মহাজোট সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও সাংসদ খালেদা জিয়ার কড়া সমালোচনা করেন। তাঁরা লেখাটিকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ শামিল বলেও আখ্যা দেন।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনার বহু রেকর্ড আছে বিদেশে গিয়ে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে অনেক খারাপ কথা বলার। তাই বলে আমরা এটাকে জাস্টিফাই (ভালো বলে সাফাই) করছি না। আমরা মনে করি, খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছেন। কিন্তু এটাকে রাজনৈতিকভাবে অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে।’
No comments