এএফপির বিশ্লেষণ- সফল এক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিদায়
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে গতকাল
শুক্রবার ছিল হিলারি ক্লিনটনের শেষ দিন। অনেকের মতে, এর মধ্য দিয়ে মার্কিন
ইতিহাসে অন্যতম সফল একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মেয়াদ শেষ হলো। কিন্তু ইতিহাস
কীভাবে বিচার করবে এই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমল?
হিলারিকে
মার্কিন ইতিহাসের অন্যতম সফল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বা জেমস
বেকারের সমপর্যায়ের বলে মনে করেন অনেকে। এই তালিকায় আছেন মার্কিন
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিজেই। সম্প্রতি সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক
সাক্ষাৎকারে ওবামা তাঁর এমন ধারণার কথা উল্লেখ করেন। হিলারির মেধা,
নিয়মানুবর্তিতা, পরিশ্রম করার মানসিকতার কারণেই তাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হিসেবে বেছে নেন বলে জানান ওবামা।
হিলারি বলেন, অন্যতম সফল পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাতারে পৌঁছাতে হবে—এমন কোনো প্রতিজ্ঞা ছিল না তাঁর। তিনি প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করার কথা ভেবেছেন আর মার্কিন স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করেছেন।
ওবামার প্রথম মেয়াদের মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মন্ত্রী হিসেবেই অবসরে গেলেন হিলারি। এই সাফল্যই তাঁকে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থিতার লড়াইয়ে অন্যতম প্র্রতিদ্বন্দ্বীর অবস্থানে নিয়ে গেছে। যদিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়া বা না নেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত সুস্পষ্ট কোনো ঘোষণা দেননি।
স্বাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠান উইলসন সেন্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যারন ডেভিড মিলার বলেন, ‘হিলারির বিরামহীন চেষ্টা বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা ও প্রভাব বেড়েছে। এই সময়ে তিনি ২১ শতকের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এজেন্ডা নিয়েও কাজ করেছেন। আমি একে মানবতাবাদের জন্য কাজ বলব।’ মিলার ছয়জন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনে কাজ করেছেন।
সমালোচকেরা বলছেন, হিলারি অস্থিতিশীল সিরিয়া, আরব বসন্তের পর সৃষ্টি হওয়া নতুন বিশ্ব-পরিস্থিতি, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং মধ্যপ্রাচ্য শান্তি-প্রক্রিয়া নিয়ে বলার মতো কাজ করতে পারেননি। এসব ইস্যু তিনি উত্তরসূরি জন কেরির জন্য রেখে গেছেন। তবে হিলারির সমর্থকদের মতে, মিয়ানমারকে গণতন্ত্রের পথে নেওয়া, চীনের ভিন্নমতাবলম্বী নেতা চেন গুয়াংজেংকে মুক্ত করা, এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্ব বাড়ানো এবং ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায় হিলারির অন্যতম সাফল্য। পর্যবেক্ষকদের মতে, হিলারির আমলে ইউরোপের সঙ্গেও মার্কিন সম্পর্ক জোরদার হয়েছে।
পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের জ্যেষ্ঠ ফেলো ইসোবেল কোলম্যান বলেন, ‘হিলারি ক্লিনটনের তারকাখ্যাতি ও জনপ্রিয়তা ছিল দারুণ। এ বিবেচনায় তাঁকে অসাধারণ একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলা যায়। মানুষ তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য দারুণ উৎসাহবোধ করেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বিদায়ের আগের দিন কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সকে হিলারি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্র দুটি যুদ্ধে জড়িয়ে ছিল। অর্থনৈতিক মন্দা ছিল। মার্কিন বন্ধুপ্রতিম কয়েকটি জোট বিগড়ে গিয়েছিল। আমাদের কূটনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পথে ছিল। বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেওয়ার সামর্থ্য নিয়ে গুঞ্জন উঠেছিল।’ হিলারি আরও বলেন, ‘চার বছর পর এখন পরিস্থিতির অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। যদিও বিপজ্জনক ও জটিল পরিস্থিতি এখনো রয়েছে। কিন্তু এই সময়ে আমরা মার্কিন কূটনীতি জোরদার ও বন্ধুপ্রতিম জোটগুলোকে আগের চেয়ে শক্তিশালী করতে সক্ষম হয়েছি।’
হিলারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বিশ্বজুড়ে নয় লাখ ৫৬ হাজার ৭৩৩ মাইল ভ্রমণ করেছেন, বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করতে ঘুরেছেন ১১২টি দেশে। প্রথম মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আফ্রিকার দেশ টোগো সফর করেন। অর্ধশতাব্দীর মধ্যে প্রথম মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে লাউস ও মিয়ানমার সফর করেন।
হিলারি বলেন, অন্যতম সফল পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাতারে পৌঁছাতে হবে—এমন কোনো প্রতিজ্ঞা ছিল না তাঁর। তিনি প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করার কথা ভেবেছেন আর মার্কিন স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করেছেন।
ওবামার প্রথম মেয়াদের মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মন্ত্রী হিসেবেই অবসরে গেলেন হিলারি। এই সাফল্যই তাঁকে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থিতার লড়াইয়ে অন্যতম প্র্রতিদ্বন্দ্বীর অবস্থানে নিয়ে গেছে। যদিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়া বা না নেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত সুস্পষ্ট কোনো ঘোষণা দেননি।
স্বাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠান উইলসন সেন্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যারন ডেভিড মিলার বলেন, ‘হিলারির বিরামহীন চেষ্টা বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা ও প্রভাব বেড়েছে। এই সময়ে তিনি ২১ শতকের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এজেন্ডা নিয়েও কাজ করেছেন। আমি একে মানবতাবাদের জন্য কাজ বলব।’ মিলার ছয়জন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনে কাজ করেছেন।
সমালোচকেরা বলছেন, হিলারি অস্থিতিশীল সিরিয়া, আরব বসন্তের পর সৃষ্টি হওয়া নতুন বিশ্ব-পরিস্থিতি, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং মধ্যপ্রাচ্য শান্তি-প্রক্রিয়া নিয়ে বলার মতো কাজ করতে পারেননি। এসব ইস্যু তিনি উত্তরসূরি জন কেরির জন্য রেখে গেছেন। তবে হিলারির সমর্থকদের মতে, মিয়ানমারকে গণতন্ত্রের পথে নেওয়া, চীনের ভিন্নমতাবলম্বী নেতা চেন গুয়াংজেংকে মুক্ত করা, এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্ব বাড়ানো এবং ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায় হিলারির অন্যতম সাফল্য। পর্যবেক্ষকদের মতে, হিলারির আমলে ইউরোপের সঙ্গেও মার্কিন সম্পর্ক জোরদার হয়েছে।
পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের জ্যেষ্ঠ ফেলো ইসোবেল কোলম্যান বলেন, ‘হিলারি ক্লিনটনের তারকাখ্যাতি ও জনপ্রিয়তা ছিল দারুণ। এ বিবেচনায় তাঁকে অসাধারণ একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলা যায়। মানুষ তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য দারুণ উৎসাহবোধ করেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বিদায়ের আগের দিন কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সকে হিলারি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্র দুটি যুদ্ধে জড়িয়ে ছিল। অর্থনৈতিক মন্দা ছিল। মার্কিন বন্ধুপ্রতিম কয়েকটি জোট বিগড়ে গিয়েছিল। আমাদের কূটনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পথে ছিল। বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেওয়ার সামর্থ্য নিয়ে গুঞ্জন উঠেছিল।’ হিলারি আরও বলেন, ‘চার বছর পর এখন পরিস্থিতির অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। যদিও বিপজ্জনক ও জটিল পরিস্থিতি এখনো রয়েছে। কিন্তু এই সময়ে আমরা মার্কিন কূটনীতি জোরদার ও বন্ধুপ্রতিম জোটগুলোকে আগের চেয়ে শক্তিশালী করতে সক্ষম হয়েছি।’
হিলারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বিশ্বজুড়ে নয় লাখ ৫৬ হাজার ৭৩৩ মাইল ভ্রমণ করেছেন, বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করতে ঘুরেছেন ১১২টি দেশে। প্রথম মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আফ্রিকার দেশ টোগো সফর করেন। অর্ধশতাব্দীর মধ্যে প্রথম মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে লাউস ও মিয়ানমার সফর করেন।
No comments