আন্তসংযোগ প্রকল্পে আন্তর্জাতিক নদী অন্তর্ভুক্ত করবে না ভারত
বহুল আলোচিত আন্তসংযোগ প্রকল্পে আন্তর্জাতিক কোনো নদী অন্তর্ভুক্ত করবে না ভারত। দেশটির কেন্দ্রীয় পানিসম্পদমন্ত্রী পবন কুমার বনসল গতকাল সোমবার নয়াদিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন। পানিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয় বলে বিবিসি জানিয়েছে।
সম্প্রতি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে নির্দেশ দেন। এরপর বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী অন্য দেশগুলো উদ্বেগ জানিয়েছে।
এদিকে তিস্তাযুক্তি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে পবন কুমার বনসল বলেন, 'বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় রয়েছে।'
বিবিসি জানায়, ১০ লাখ কোটি রুপির বেশি ব্যয়ে নদী সংযোগ প্রকল্প নিয়ে ভারত এগোবে ঠিকই কিন্তু আন্তর্জাতিক কোনো নদীই এর আওতায় থাকবে না। ভারতের কেন্দ্রীয় পানিসম্পদমন্ত্রী পবন কুমার বনসল গতকাল দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'অতীতে পাঁচটি আঞ্চলিক নদী প্রকল্পকে আপাতত জাতীয় নদী প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। কিন্তু এ নদীগুলোর কোনোটিই আন্তর্জাতিক নয়।'
আদালতের রায়ের পর বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বনসল বলেন, 'তিনি ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগের বিষয়ে প্রতিবেদন দেখেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো দেশই তাঁকে কিছু জানায়নি।' তিনি মনে করেন, বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
পবন কুমার বনসল বলেন, 'এই প্রকল্প অনেক আগে শুরু হয়েছিল। প্রস্তাবিত নদী সংযোগ প্রকল্পে আন্তর্জাতিক নদীগুলোকে আর কোনো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।'
২০০২ সালে বিজেপি সরকারের আমলে ১০ লাখ রুপিরও বেশি এ প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল। ভারতের যে অঞ্চলগুলোতে পানি বেশি, সেসব অঞ্চল থেকে তা তুলে খরাপ্রবণ অঞ্চল বা রাজ্যে প্রবাহিত করার লক্ষ্যেই এ প্রস্তাব নেওয়া হয়েছিল। মোট ৩০টি নদী প্রকল্পকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র, মহাকালী বা কোশীর মতো আন্তর্জাতিক নদী ছাড়াও উত্তর ভারতের আন্তর্জাতিক নদীগুলো ছিল। মূলত ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বিরোধিতার কারণে ওই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা যায়নি। সম্প্রতি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে সরকারকে আবারও নির্দেশ দেওয়ায় এ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে।
পবন কুমার বনসল স্পষ্টতই বলেন, 'ভারত সরকার তার দেশের মোট পাঁচটি প্রকল্প নিয়েই আপাতত কাজ করবে।' তিনি আরো বলেন, 'ভারতের সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলো মেনে নিলেই কেবল এ উদ্যোগ নিয়ে সরকার এগোবে।'
পবন কুমার বনসল ওই পাঁচটি নদী সংযোগ প্রকল্পের নাম উল্লেখ না করলেও বিবিসি জানিয়েছে, জাতীয় প্রকল্পের আওতাভুক্ত নদী প্রকল্পগুলো হচ্ছে মধ্যপ্রদেশ ও উত্তর প্রদেশের অন্তর্বর্তী কেন-বেতোয়া নদী প্রকল্প, মধ্য ও পশ্চিম ভারতের মধ্যবর্তী পার-তাপি-নর্মদা এবং দামান গঙ্গা-পিঞ্জল নদী প্রকল্প। এগুলোর কোনোটিই বাংলাদেশ বা প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যায়নি।
এদিকে ভারতের পানিসম্পদমন্ত্রীর এ বক্তব্যের ব্যাপারে ঢাকায় কূটনৈতিক সূত্রগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তারা জানায়, বাংলাদেশ এ ব্যাপারে তার উদ্বেগ জানিয়েছিল। তবে বাংলাদেশের ক্ষতি হয়, এমন কিছু করবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে তারা।
এদিকে তিস্তাযুক্তি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে পবন কুমার বনসল বলেন, 'বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় রয়েছে।'
বিবিসি জানায়, ১০ লাখ কোটি রুপির বেশি ব্যয়ে নদী সংযোগ প্রকল্প নিয়ে ভারত এগোবে ঠিকই কিন্তু আন্তর্জাতিক কোনো নদীই এর আওতায় থাকবে না। ভারতের কেন্দ্রীয় পানিসম্পদমন্ত্রী পবন কুমার বনসল গতকাল দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'অতীতে পাঁচটি আঞ্চলিক নদী প্রকল্পকে আপাতত জাতীয় নদী প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। কিন্তু এ নদীগুলোর কোনোটিই আন্তর্জাতিক নয়।'
আদালতের রায়ের পর বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বনসল বলেন, 'তিনি ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগের বিষয়ে প্রতিবেদন দেখেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো দেশই তাঁকে কিছু জানায়নি।' তিনি মনে করেন, বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
পবন কুমার বনসল বলেন, 'এই প্রকল্প অনেক আগে শুরু হয়েছিল। প্রস্তাবিত নদী সংযোগ প্রকল্পে আন্তর্জাতিক নদীগুলোকে আর কোনো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।'
২০০২ সালে বিজেপি সরকারের আমলে ১০ লাখ রুপিরও বেশি এ প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল। ভারতের যে অঞ্চলগুলোতে পানি বেশি, সেসব অঞ্চল থেকে তা তুলে খরাপ্রবণ অঞ্চল বা রাজ্যে প্রবাহিত করার লক্ষ্যেই এ প্রস্তাব নেওয়া হয়েছিল। মোট ৩০টি নদী প্রকল্পকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র, মহাকালী বা কোশীর মতো আন্তর্জাতিক নদী ছাড়াও উত্তর ভারতের আন্তর্জাতিক নদীগুলো ছিল। মূলত ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বিরোধিতার কারণে ওই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা যায়নি। সম্প্রতি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে সরকারকে আবারও নির্দেশ দেওয়ায় এ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে।
পবন কুমার বনসল স্পষ্টতই বলেন, 'ভারত সরকার তার দেশের মোট পাঁচটি প্রকল্প নিয়েই আপাতত কাজ করবে।' তিনি আরো বলেন, 'ভারতের সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলো মেনে নিলেই কেবল এ উদ্যোগ নিয়ে সরকার এগোবে।'
পবন কুমার বনসল ওই পাঁচটি নদী সংযোগ প্রকল্পের নাম উল্লেখ না করলেও বিবিসি জানিয়েছে, জাতীয় প্রকল্পের আওতাভুক্ত নদী প্রকল্পগুলো হচ্ছে মধ্যপ্রদেশ ও উত্তর প্রদেশের অন্তর্বর্তী কেন-বেতোয়া নদী প্রকল্প, মধ্য ও পশ্চিম ভারতের মধ্যবর্তী পার-তাপি-নর্মদা এবং দামান গঙ্গা-পিঞ্জল নদী প্রকল্প। এগুলোর কোনোটিই বাংলাদেশ বা প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যায়নি।
এদিকে ভারতের পানিসম্পদমন্ত্রীর এ বক্তব্যের ব্যাপারে ঢাকায় কূটনৈতিক সূত্রগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তারা জানায়, বাংলাদেশ এ ব্যাপারে তার উদ্বেগ জানিয়েছিল। তবে বাংলাদেশের ক্ষতি হয়, এমন কিছু করবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে তারা।
No comments