নতুন বেসরকারি ব্যাংক-ইতিবাচক পরিবর্তন হবে কি
শেষ পর্যন্ত সব সমালোচনা ও বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে অথবা নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে নতুন ছয়টি বেসরকারি ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে দেশে নতুন কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রয়োজন আছে কি না, নতুন ব্যাংক এলে তাতে গ্রাহকসেবার মান কোন্ পর্যায়ে উন্নীত হবে বা
দেশের অর্থনীতিতে নতুন ছয়টি ব্যাংক কী ভূমিকা রাখতে পারে বা রাখবে, হয়তো তেমন কোনো সমীক্ষা বা পর্যালোচনা ছাড়াই ছয়টি নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আগে অনুমোদন পায় তিনটি এনআরবি ব্যাংক। সব মিলিয়ে অনুমোদনপ্রাপ্ত নতুন ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াল ৯টি।
বাংলাদেশে এখন একটিও বেসরকারি ব্যাংকের প্রয়োজন নেই- এমন একটি তত্ত্ব এমনিতেই দেওয়া যেতে পারে। এর জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। দেশের অর্থনীতিতে এমন কোনো গতির সঞ্চার হয়নি যে নতুন ব্যাংক প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। দেশে যেকোনো নতুন ব্যাংক অনুমোদনের আগে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন। মোট দেশজ উৎপাদন, প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়, বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ, বৈদেশিক বাণিজ্য, আমানত ও ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, লাভজনক হওয়া না-হওয়ার বিষয়, জিডিপিতে খাতভিত্তিক অবদান ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করতে হয়। এসব বিষয় বিবেচনায় বাংলাদেশে যে বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা বেশি আছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু তার পরও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দিতে হলো কেন? এ প্রশ্নের স্বাভাবিক উত্তর- রাজনৈতিক চাপে। দল ও মহাজোটের শরিকদের খুশি রাখতেই ছয়টি ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের রাজনৈতিক পরিচয় সবার কাছেই স্পষ্ট। গত বছর বাজেট ঘোষণার সময় সংসদে যখন অর্থমন্ত্রী নতুন বেসরকারি ব্যাংকের দরখাস্ত আহ্বানের ঘোষণা দেন, তখন অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন। বিশেষ করে অর্থনীতিসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের অবাক করে অর্থমন্ত্রী এমনও বলেছিলেন যে রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হবে। এ থেকে এটা অন্তত অনুধাবন করা যায়, নতুন ব্যাংক অনুমোদনের ব্যাপারে রাজনৈতিক চাপ কেমন ছিল। একই সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের দুই সদস্যের অনুপস্থিতি থেকে প্রতীয়মান হয়, পর্ষদের সবাই এই চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি।
দেশে এখন সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশি মিলিয়ে মোট ৪৭টি ব্যাংক তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর বাইরে লিজিং কম্পানি, বীমাসহ বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে নিজেদের ব্যবসা। বাংলাদেশের মতো একটি দরিদ্র ও পরনির্ভর অর্থনীতির দেশে এতগুলো ব্যাংকের যৌক্তিকতা প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু তার পরও নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, নতুন ব্যাংকগুলো দেশের অর্থনীতিতে কী অবদান রাখতে পারছে। নতুন ব্যাংকগুলোর আগমনে দেশের অর্থনীতিতে কী গুণগত পরিবর্তন আসে বা গতির সঞ্চার হয়, সেটাও দেখার বিষয়। বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ার পক্ষে যে ইতিবাচক পরিবর্তন ও নতুন আর্থিক পণ্যের কথা বলেছে, সেই পরিবর্তন কতটা সূচিত হয়, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। অর্থনৈতিক বিবেচনাকে পাশ কাটিয়ে রাজনৈতিক বিবেচনা আদৌ কোনো সুফল বয়ে আনবে তো?
বাংলাদেশে এখন একটিও বেসরকারি ব্যাংকের প্রয়োজন নেই- এমন একটি তত্ত্ব এমনিতেই দেওয়া যেতে পারে। এর জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। দেশের অর্থনীতিতে এমন কোনো গতির সঞ্চার হয়নি যে নতুন ব্যাংক প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। দেশে যেকোনো নতুন ব্যাংক অনুমোদনের আগে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন। মোট দেশজ উৎপাদন, প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়, বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ, বৈদেশিক বাণিজ্য, আমানত ও ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, লাভজনক হওয়া না-হওয়ার বিষয়, জিডিপিতে খাতভিত্তিক অবদান ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করতে হয়। এসব বিষয় বিবেচনায় বাংলাদেশে যে বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা বেশি আছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু তার পরও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দিতে হলো কেন? এ প্রশ্নের স্বাভাবিক উত্তর- রাজনৈতিক চাপে। দল ও মহাজোটের শরিকদের খুশি রাখতেই ছয়টি ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের রাজনৈতিক পরিচয় সবার কাছেই স্পষ্ট। গত বছর বাজেট ঘোষণার সময় সংসদে যখন অর্থমন্ত্রী নতুন বেসরকারি ব্যাংকের দরখাস্ত আহ্বানের ঘোষণা দেন, তখন অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন। বিশেষ করে অর্থনীতিসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের অবাক করে অর্থমন্ত্রী এমনও বলেছিলেন যে রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হবে। এ থেকে এটা অন্তত অনুধাবন করা যায়, নতুন ব্যাংক অনুমোদনের ব্যাপারে রাজনৈতিক চাপ কেমন ছিল। একই সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের দুই সদস্যের অনুপস্থিতি থেকে প্রতীয়মান হয়, পর্ষদের সবাই এই চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি।
দেশে এখন সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশি মিলিয়ে মোট ৪৭টি ব্যাংক তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর বাইরে লিজিং কম্পানি, বীমাসহ বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে নিজেদের ব্যবসা। বাংলাদেশের মতো একটি দরিদ্র ও পরনির্ভর অর্থনীতির দেশে এতগুলো ব্যাংকের যৌক্তিকতা প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু তার পরও নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, নতুন ব্যাংকগুলো দেশের অর্থনীতিতে কী অবদান রাখতে পারছে। নতুন ব্যাংকগুলোর আগমনে দেশের অর্থনীতিতে কী গুণগত পরিবর্তন আসে বা গতির সঞ্চার হয়, সেটাও দেখার বিষয়। বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ার পক্ষে যে ইতিবাচক পরিবর্তন ও নতুন আর্থিক পণ্যের কথা বলেছে, সেই পরিবর্তন কতটা সূচিত হয়, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। অর্থনৈতিক বিবেচনাকে পাশ কাটিয়ে রাজনৈতিক বিবেচনা আদৌ কোনো সুফল বয়ে আনবে তো?
No comments