আইনি বাধা অবিলম্বে তুলে নিন-আফ্রিকার কৃষি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ
স্থানীয় এনজিওগুলোর একটি জোট (সিএলএনবি) গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আফ্রিকায় কৃষি-বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিল। বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, আফ্রিকার অনাবাদি জমি ও কৃষিভিত্তিক শিল্পে বাংলাদেশ বিনিয়োগ করবে।
কেন এত দিন বিনিয়োগ শুরু হয়নি, সেটাই প্রশ্ন। কারণ, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের কৃষি খাতে বিনিয়োগের বিপুল সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে, এটা বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকারীরা যেমন অনেক দিন ধরেই জানেন, তেমন সরকারেরও তা অজানা নয়। সম্প্রতি চীন ও ভারত আফ্রিকার দেশগুলোতে বিনিয়োগ করছে বলেও জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
তবে আফ্রিকার দেশগুলোতে ভারতের বিনিয়োগ খুব সাম্প্রতিক ঘটনা নয়। ২০০৯ সাল নাগাদ আফ্রিকার ইথিওপিয়া, সুদান, কেনিয়া, মাদাগাস্কার, সেনেগাল ও মোজাম্বিকে ভারতের ৮০টি কোম্পানি মোট ১৫০ কোটি পাউন্ড বা ১১ হাজার ৩০০ কোটি ভারতীয় রুপি বিনিয়োগ করেছে প্রধানত কৃষিজমি কেনা বাবদ। উল্লেখ্য, আফ্রিকা মহাদেশে মোট আবাদযোগ্য কৃষিজমির পরিমাণ প্রায় ৮০ কোটি ৭০ লাখ হেক্টর, এর মধ্যে চাষাবাদ করা হয় মাত্র ১৯ কোটি ৭০ লাখ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ প্রায় ৬০ কোটি হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে। কিন্তু সেসব জমি বেশ উর্বর এবং তুলনামূলকভাবে সস্তা। বিপুল জনসংখ্যার দেশ চীন ও ভারতের কোম্পানিগুলো সে কারণেই ছুটেছে আফ্রিকার দিকে।
তাহলে আমরা কেন পিছিয়ে রয়েছি? আমাদের কি খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত হয়ে গেছে? দেশে কি খাদ্যশস্যের মূল্য সব মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যেই রয়েছে? আমাদের দেশের মানুষের কি আর কর্মসংস্থানের প্রয়োজন নেই? সেদিনের সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জাম্বিয়া, কঙ্গো, সুদানসহ বেশ কয়েকটি আফ্রিকান দেশের সরকার বাংলাদেশকে অনেক সুযোগ-সুবিধাসহ বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। তাহলে আমরা বসে আছি কেন?
বিদ্যমান বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের কারণে আমরা আফ্রিকার দেশগুলোর কৃষি খাতে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এ কথা বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। তাহলে দ্রুত আইন পরিবর্তন করা হোক। সরকারের উচিত অগ্রাধিকারভিত্তিতে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া। উৎসাহী উদ্যোক্তারা বলছেন, আফ্রিকার ওই সব দেশে তাঁরা বিনিয়োগের সুযোগ পেলে প্রাথমিক ধাপেই আমাদের প্রায় আড়াই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আর শুধু কৃষি খাতেই নয়, বস্ত্র ও তৈরি পোশাকসহ আরও অনেক খাতে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা আফ্রিকা মহাদেশে বিনিয়োগ করতে পারবেন। সুতরাং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অভিবাসী শ্রমিকদের দেশে ফেরা, বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা, বিশ্ব খাদ্যবাজারের অস্থিরতা—ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে অতি দ্রুত আফ্রিকায় বিনিয়োগের সব আইনি বাধা দূর করা প্রয়োজন।
তবে আফ্রিকার দেশগুলোতে ভারতের বিনিয়োগ খুব সাম্প্রতিক ঘটনা নয়। ২০০৯ সাল নাগাদ আফ্রিকার ইথিওপিয়া, সুদান, কেনিয়া, মাদাগাস্কার, সেনেগাল ও মোজাম্বিকে ভারতের ৮০টি কোম্পানি মোট ১৫০ কোটি পাউন্ড বা ১১ হাজার ৩০০ কোটি ভারতীয় রুপি বিনিয়োগ করেছে প্রধানত কৃষিজমি কেনা বাবদ। উল্লেখ্য, আফ্রিকা মহাদেশে মোট আবাদযোগ্য কৃষিজমির পরিমাণ প্রায় ৮০ কোটি ৭০ লাখ হেক্টর, এর মধ্যে চাষাবাদ করা হয় মাত্র ১৯ কোটি ৭০ লাখ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ প্রায় ৬০ কোটি হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে। কিন্তু সেসব জমি বেশ উর্বর এবং তুলনামূলকভাবে সস্তা। বিপুল জনসংখ্যার দেশ চীন ও ভারতের কোম্পানিগুলো সে কারণেই ছুটেছে আফ্রিকার দিকে।
তাহলে আমরা কেন পিছিয়ে রয়েছি? আমাদের কি খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত হয়ে গেছে? দেশে কি খাদ্যশস্যের মূল্য সব মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যেই রয়েছে? আমাদের দেশের মানুষের কি আর কর্মসংস্থানের প্রয়োজন নেই? সেদিনের সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জাম্বিয়া, কঙ্গো, সুদানসহ বেশ কয়েকটি আফ্রিকান দেশের সরকার বাংলাদেশকে অনেক সুযোগ-সুবিধাসহ বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। তাহলে আমরা বসে আছি কেন?
বিদ্যমান বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের কারণে আমরা আফ্রিকার দেশগুলোর কৃষি খাতে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এ কথা বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। তাহলে দ্রুত আইন পরিবর্তন করা হোক। সরকারের উচিত অগ্রাধিকারভিত্তিতে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া। উৎসাহী উদ্যোক্তারা বলছেন, আফ্রিকার ওই সব দেশে তাঁরা বিনিয়োগের সুযোগ পেলে প্রাথমিক ধাপেই আমাদের প্রায় আড়াই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আর শুধু কৃষি খাতেই নয়, বস্ত্র ও তৈরি পোশাকসহ আরও অনেক খাতে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা আফ্রিকা মহাদেশে বিনিয়োগ করতে পারবেন। সুতরাং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অভিবাসী শ্রমিকদের দেশে ফেরা, বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা, বিশ্ব খাদ্যবাজারের অস্থিরতা—ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে অতি দ্রুত আফ্রিকায় বিনিয়োগের সব আইনি বাধা দূর করা প্রয়োজন।
No comments