শেয়ারবাজার-একটি ‘নিষ্ঠুর’ রসিকতা by এ কে এম জাকারিয়া
পুঁজিবাজারের অবস্থা খুবই খারাপ। কালও (সোমবার) দরপতন হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তবে পুঁজিবাজারের পতন হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে এসইসি। এসইসি মানে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। শেয়ারবাজার ধসের পর যে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল, সেই কমিটি তাদের
রিপোর্টে ‘সব দুর্নীতি ও অনিয়মের বৈধতা’ দেওয়ার জন্য দায়ী করেছিল এসইসিকে। এখন সেই এসইসি চড়াও হয়েছে তদন্ত কমিশনের ওপর। এমন যে হবে, তা অনেকটা জানাই ছিল। সরকার যখন কাটছাঁট করে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করার কথা বলল আর সেটাও যখন ঝুলিয়ে রাখতে শুরু করল, তখনই আমরা টের পেয়েছিলাম—যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের শক্তি সঞ্চয় করতে দিতে চায় সরকার। আদালতও নির্দেশ দিয়েছেন যৌক্তিক সময়ের মধ্যে রিপোর্টটি প্রকাশ করতে। কিন্তু সেই ‘যৌক্তিক’ সময় সরকারের এখনো হয়নি। ১৭ এপ্রিল প্রথম আলোয় ছাপা হওয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িত হিসেবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা একজোট হচ্ছেন। এখন দেখা যাচ্ছে, তাঁরা সত্যিই সংগঠিত হয়েছেন এবং হচ্ছেন।
তদন্ত কমিশনের প্রধান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ তখন আশঙ্কা করেছিলেন, তদন্ত কমিশন ও এর সদস্যদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সদস্যদের সামাজিকভাবে হেয় করতে নানা চেষ্টা চলছে (প্রথম আলো, ১৭ এপ্রিল)। বাস্তবেও তা-ই ঘটতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে ক্ষতিপূরণ দাবি করে তদন্ত কমিটির প্রধানসহ চারজনকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এখন খবর পাওয়া যাচ্ছে, তদন্ত কমিটিকে যাঁরা নানা তথ্য দিয়ে সাহায্য-সহযোগিতা করছেন, তাঁদেরও নাকি নানাভাবে হয়রানি করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে আমরা ‘মার্কেট প্লেয়ারদের’ কথা শুনেছি, যাঁরা কারসাজি করে বাজার থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন। এই মার্কেট প্লেয়াররা যে সব ধরনের খেলাতেই ভালো হবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। আর এই খেলার মূল শক্তি তো টাকা, যা তাঁরা বাজার থেকে এরই মধ্যে হাতিয়ে নিয়েছেন। আসলে ‘টাকায় করে কাম, মিছা মর্দের নাম’। টাকা কাজ করা শুরু করে দিয়েছে!
তদন্ত কমিটির রিপোর্টে অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে এসইসির জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে এর চেয়ারম্যান ও দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা মানেই তিনি দায়ী নন। কিন্তু যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তাঁদের সরিয়ে দিয়ে তদন্ত করাই রীতি। সরকার তা করেনি। অভিযুক্ত এসইসির কাছেই তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে মতামত চেয়েছে সরকার। অভিযুক্ত হলে সবাই যা বলেন, এসইসির চেয়ারম্যানও তা-ই বলেছেন। তিনি তদন্ত প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতমূলক’ বলেছেন। আত্মপক্ষ সমর্থন খারাপ কিছু নয়। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে আরও একটি বিশেষণ ব্যবহার করেছেন তিনি। বলেছেন, তদন্ত প্রতিবেদনটি ‘নিষ্ঠুর’। এর একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি, ‘প্রতিবেদনে এসইসিতে কর্মরত কেবল একজনের বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্তসহ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করা হয়েছে। অথচ প্রতিবেদনে পুরো প্রতিষ্ঠানকে ঢালাওভাবে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হলো। গণমাধ্যমে কোনো প্রমাণ ছাড়া দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করার ফলে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত সৎ ও যোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনোবলের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়বে, তা বিবেচনা করার বিষয়টি খুবই নিষ্ঠুরতার পর্যায়ে পড়ে।’
এসইসি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ করে, আর সেই বাজারে বিনিয়োগ করে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী হারালেন ২০ হাজার কোটি টাকা। তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণেও ধরা পড়েছে, ‘মার্কেট প্লেয়ারদের’ অনৈতিক সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এসইসি। এই প্রতিষ্ঠানে নিশ্চয় অনেক সৎ ও যোগ্য কর্মচারী আছেন। কিন্তু ‘মার্কেট প্লেয়ারদের’ স্বার্থ রক্ষায় যাঁরা এসইসিকে ব্যবহার করেছেন, তাঁদের কাছে নিশ্চয়ই এই সৎ ও যোগ্য কর্মচারীরা অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। ২০ হাজার কোটি টাকা লোপাটে এসইসিকে যখন ব্যবহার করা হয়েছে, তখন এর দায় তো প্রতিষ্ঠানটিকেই নিতে হবে, বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানকে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বলছে, ‘সংস্থাটির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকারের আনুকূল্য ও সম্মতি ছাড়া কোনো কিছুই করা সম্ভব নয়।’ এসইসিকে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা এবং সৎ ও যোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘মনোবল ভাঙার’ দায়টি আসলে কার? এসইসির কর্তাব্যক্তিদের, নাকি তদন্ত কমিটির?
এবার ‘নিষ্ঠুরতা’ প্রসঙ্গ। একটি প্রতিষ্ঠান যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়, সেখানে কাজ করেন এমন সৎ ও যোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যের। সত্যিই তাঁরা এক নিষ্ঠুর পরিস্থিতির শিকার। ধরে নিলাম, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এসইসির কিছু সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ‘মনোবল’ ভেঙে দিয়ে কিছুটা ‘নিষ্ঠুরতার’ পরিচয় দিয়েছে! যেসব সৎ ও যোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী এই পরিস্থিতির শিকার, তাঁদের প্রতি রইল আমাদের সমবেদনা। কিন্তু ‘সব ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মে’ বৈধতা দিয়ে লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর ওপর এসইসি যে নিষ্ঠুরতা করল, তার কী হবে? এই ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের তো শুধু ‘মনোবল’ ভাঙেনি, তাঁদের অনেকে বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত ও সর্বস্বান্ত। এসইসির চেয়ারম্যান কি বলবেন, নিষ্ঠুরতাটা কাদের প্রতি বেশি হলো, আর এটি করল কারা? ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আপনি কি একটু বেশি নিষ্ঠুর রসিকতা করে ফেললেন না?
এসইসির চেয়ারম্যানের একটি কথা অবশ্য আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে মেনে নিতে চাই। তিনি বলেছেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী কারও বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া খুব সহজ হবে না।’ খুব সত্য কথা। তা তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। যদি তদন্ত কমিটির রিপোর্টে কাজ হতো, তবে তো এসইসির চেয়ারম্যানেরই চাকরি থাকার কথা নয়। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে সরকার, আছে শেয়ারবাজার থেকে তুলে নেওয়া ২০ হাজার কোটি টাকা। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কে নেবে? ‘মার্কেট প্লেয়ার’ ভাইয়েরা, আপনাদের ভয় নেই, আপনাদের বিজয় সুনিশ্চিত!
এ কে এম জাকারিয়া: সাংবাদিক।
akmzakaria@gmail.com
তদন্ত কমিশনের প্রধান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ তখন আশঙ্কা করেছিলেন, তদন্ত কমিশন ও এর সদস্যদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সদস্যদের সামাজিকভাবে হেয় করতে নানা চেষ্টা চলছে (প্রথম আলো, ১৭ এপ্রিল)। বাস্তবেও তা-ই ঘটতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে ক্ষতিপূরণ দাবি করে তদন্ত কমিটির প্রধানসহ চারজনকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এখন খবর পাওয়া যাচ্ছে, তদন্ত কমিটিকে যাঁরা নানা তথ্য দিয়ে সাহায্য-সহযোগিতা করছেন, তাঁদেরও নাকি নানাভাবে হয়রানি করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে আমরা ‘মার্কেট প্লেয়ারদের’ কথা শুনেছি, যাঁরা কারসাজি করে বাজার থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন। এই মার্কেট প্লেয়াররা যে সব ধরনের খেলাতেই ভালো হবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। আর এই খেলার মূল শক্তি তো টাকা, যা তাঁরা বাজার থেকে এরই মধ্যে হাতিয়ে নিয়েছেন। আসলে ‘টাকায় করে কাম, মিছা মর্দের নাম’। টাকা কাজ করা শুরু করে দিয়েছে!
তদন্ত কমিটির রিপোর্টে অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে এসইসির জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে এর চেয়ারম্যান ও দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা মানেই তিনি দায়ী নন। কিন্তু যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তাঁদের সরিয়ে দিয়ে তদন্ত করাই রীতি। সরকার তা করেনি। অভিযুক্ত এসইসির কাছেই তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে মতামত চেয়েছে সরকার। অভিযুক্ত হলে সবাই যা বলেন, এসইসির চেয়ারম্যানও তা-ই বলেছেন। তিনি তদন্ত প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতমূলক’ বলেছেন। আত্মপক্ষ সমর্থন খারাপ কিছু নয়। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে আরও একটি বিশেষণ ব্যবহার করেছেন তিনি। বলেছেন, তদন্ত প্রতিবেদনটি ‘নিষ্ঠুর’। এর একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি, ‘প্রতিবেদনে এসইসিতে কর্মরত কেবল একজনের বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্তসহ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করা হয়েছে। অথচ প্রতিবেদনে পুরো প্রতিষ্ঠানকে ঢালাওভাবে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হলো। গণমাধ্যমে কোনো প্রমাণ ছাড়া দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করার ফলে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত সৎ ও যোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনোবলের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়বে, তা বিবেচনা করার বিষয়টি খুবই নিষ্ঠুরতার পর্যায়ে পড়ে।’
এসইসি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ করে, আর সেই বাজারে বিনিয়োগ করে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী হারালেন ২০ হাজার কোটি টাকা। তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণেও ধরা পড়েছে, ‘মার্কেট প্লেয়ারদের’ অনৈতিক সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এসইসি। এই প্রতিষ্ঠানে নিশ্চয় অনেক সৎ ও যোগ্য কর্মচারী আছেন। কিন্তু ‘মার্কেট প্লেয়ারদের’ স্বার্থ রক্ষায় যাঁরা এসইসিকে ব্যবহার করেছেন, তাঁদের কাছে নিশ্চয়ই এই সৎ ও যোগ্য কর্মচারীরা অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। ২০ হাজার কোটি টাকা লোপাটে এসইসিকে যখন ব্যবহার করা হয়েছে, তখন এর দায় তো প্রতিষ্ঠানটিকেই নিতে হবে, বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানকে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বলছে, ‘সংস্থাটির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকারের আনুকূল্য ও সম্মতি ছাড়া কোনো কিছুই করা সম্ভব নয়।’ এসইসিকে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা এবং সৎ ও যোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘মনোবল ভাঙার’ দায়টি আসলে কার? এসইসির কর্তাব্যক্তিদের, নাকি তদন্ত কমিটির?
এবার ‘নিষ্ঠুরতা’ প্রসঙ্গ। একটি প্রতিষ্ঠান যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়, সেখানে কাজ করেন এমন সৎ ও যোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যের। সত্যিই তাঁরা এক নিষ্ঠুর পরিস্থিতির শিকার। ধরে নিলাম, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এসইসির কিছু সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ‘মনোবল’ ভেঙে দিয়ে কিছুটা ‘নিষ্ঠুরতার’ পরিচয় দিয়েছে! যেসব সৎ ও যোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী এই পরিস্থিতির শিকার, তাঁদের প্রতি রইল আমাদের সমবেদনা। কিন্তু ‘সব ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মে’ বৈধতা দিয়ে লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর ওপর এসইসি যে নিষ্ঠুরতা করল, তার কী হবে? এই ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের তো শুধু ‘মনোবল’ ভাঙেনি, তাঁদের অনেকে বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত ও সর্বস্বান্ত। এসইসির চেয়ারম্যান কি বলবেন, নিষ্ঠুরতাটা কাদের প্রতি বেশি হলো, আর এটি করল কারা? ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আপনি কি একটু বেশি নিষ্ঠুর রসিকতা করে ফেললেন না?
এসইসির চেয়ারম্যানের একটি কথা অবশ্য আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে মেনে নিতে চাই। তিনি বলেছেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী কারও বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া খুব সহজ হবে না।’ খুব সত্য কথা। তা তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। যদি তদন্ত কমিটির রিপোর্টে কাজ হতো, তবে তো এসইসির চেয়ারম্যানেরই চাকরি থাকার কথা নয়। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে সরকার, আছে শেয়ারবাজার থেকে তুলে নেওয়া ২০ হাজার কোটি টাকা। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কে নেবে? ‘মার্কেট প্লেয়ার’ ভাইয়েরা, আপনাদের ভয় নেই, আপনাদের বিজয় সুনিশ্চিত!
এ কে এম জাকারিয়া: সাংবাদিক।
akmzakaria@gmail.com
No comments