শাস্তি দিয়ে শেখানোর মানসিকতা ছাড়তে হবে-নিরানন্দ শ্রেণীকক্ষ
আনন্দের সঙ্গে শিক্ষার কথা বহু আগে থেকেই এ দেশে বলা হচ্ছে। আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতিতে এটাই মেনে চলা হয়। অথচ আজও আমাদের কথা বলতে হচ্ছে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের শাস্তি নিষিদ্ধ করা কিংবা শ্রেণীকক্ষে মুঠোফোন ব্যবহার না করার মতো ব্যাপার নিয়ে। এটা আমাদের এক দুঃখজনক বাস্তবতা।
তবে এসব বিষয়ে এখন একের পর এক ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসতে থাকায় শিক্ষাক্ষেত্রের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় যে মনোযোগী বলে প্রতীয়মান হচ্ছে, তা প্রশংসনীয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি প্রদান নিষিদ্ধ করার সাড়ে আট মাস পর ২১ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি রহিত করা-সংক্রান্ত নীতিমালা ২০১১’ প্রণয়ন করেছে। ১১ ধরনের শাস্তি নিষিদ্ধ করে নেওয়া এই সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদকে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এসব ভাবনা সুবিবেচনার পরিচয় দিলেও সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তা কার্যকর করার কাজটি হয়তো খুব সহজ হবে না। এ জন্য ব্যাপক প্রচারণা ও শিক্ষক প্রশিক্ষণের সর্বস্তরে এ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।
শ্রেণীকক্ষে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনের ওপর শারীরিক ও মানসিক শাস্তির যে বিরূপ প্রভাব পড়ে, তার রেশ থেকে যায় সারা জীবন। কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব গঠনে যে সময়টার ভূমিকা সর্বাধিক, সে সময় শারীরিক ও মানসিক শাস্তির ফলে তাদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। অনেকে পড়াশোনার ব্যাপারে বিরূপ মনোভাব পোষণ করতে শুরু করে। বিভিন্ন দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মনস্তত্ত্বের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুললেও এ ব্যাপারে বরাবর আমাদের দেশ উদাসীন ছিল। শিক্ষাক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সব পদক্ষেপ সেই উদাসীনতা কাটাতে ভূমিকা রাখলে তা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।
আনন্দের সঙ্গে শিক্ষার ব্যবস্থা করা গেলে ক্লাসের সব শিক্ষার্থী খুশিমনে একটা বিষয় গুছিয়ে নিতে পারে, তাদের কাছে শিক্ষা হয়ে উঠতে পারে অনেক উপভোগ্য। আর সেটা তো শাস্তি দেওয়ার কিংবা মুখস্থবিদ্যানির্ভর শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তে সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি গ্রহণের লক্ষ্য অর্জনেও অন্যতম পূর্বশর্ত।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি প্রদান নিষিদ্ধ করার সাড়ে আট মাস পর ২১ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি রহিত করা-সংক্রান্ত নীতিমালা ২০১১’ প্রণয়ন করেছে। ১১ ধরনের শাস্তি নিষিদ্ধ করে নেওয়া এই সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদকে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এসব ভাবনা সুবিবেচনার পরিচয় দিলেও সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তা কার্যকর করার কাজটি হয়তো খুব সহজ হবে না। এ জন্য ব্যাপক প্রচারণা ও শিক্ষক প্রশিক্ষণের সর্বস্তরে এ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।
শ্রেণীকক্ষে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনের ওপর শারীরিক ও মানসিক শাস্তির যে বিরূপ প্রভাব পড়ে, তার রেশ থেকে যায় সারা জীবন। কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব গঠনে যে সময়টার ভূমিকা সর্বাধিক, সে সময় শারীরিক ও মানসিক শাস্তির ফলে তাদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। অনেকে পড়াশোনার ব্যাপারে বিরূপ মনোভাব পোষণ করতে শুরু করে। বিভিন্ন দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মনস্তত্ত্বের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুললেও এ ব্যাপারে বরাবর আমাদের দেশ উদাসীন ছিল। শিক্ষাক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সব পদক্ষেপ সেই উদাসীনতা কাটাতে ভূমিকা রাখলে তা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।
আনন্দের সঙ্গে শিক্ষার ব্যবস্থা করা গেলে ক্লাসের সব শিক্ষার্থী খুশিমনে একটা বিষয় গুছিয়ে নিতে পারে, তাদের কাছে শিক্ষা হয়ে উঠতে পারে অনেক উপভোগ্য। আর সেটা তো শাস্তি দেওয়ার কিংবা মুখস্থবিদ্যানির্ভর শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তে সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি গ্রহণের লক্ষ্য অর্জনেও অন্যতম পূর্বশর্ত।
No comments