রাজনৈতিক মোড়ক দিয়ে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের চেষ্টা-খুনিরা এভাবেই পার পেয়ে যাবে?
কলেজছাত্র আশিকুর রহমান অপু হত্যা মামলাটি রাজনৈতিক মোড়ক দিয়ে প্রত্যাহারের সুপারিশ করা কেবল অনৈতিক নয়, আইনের শাসনেরও পরিপন্থী। আইনের শাসনের মূল কথা হলো, শিষ্টের পালন ও দুষ্টের দমন। এখন দেখা যাচ্ছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুষ্টদের রক্ষায় নেমেছে কোনো রাখঢাক না রেখেই।
২০০৮ সালের ২৩ মে ওয়ারীতে বাড়িতে ঢুকে পেশাদার সন্ত্রাসীরা অপুকে হত্যা ও তাঁর দুই ভাইকে আহত করে। একই বছরের ৩১ আগস্ট ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এঁদের চারজন কারাগারে, দুজন জামিনে মুক্ত এবং একজন পলাতক আছেন।
মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ১৮তম সভায় অন্যতম অভিযুক্ত আতিক আহমেদ শিপলুর নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ২৯ নভেম্বর আদালত সেই সুপারিশ বাতিল করে দেন এই যুক্তিতে, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে মামলাটি উদ্ভূত হয়নি। এরপর আরেক আসামি বিপ্লব চন্দ্র দাস নিজেকে যুবলীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন জানান; যাতে মতিঝিল থানা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সুপারিশ ছিল। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে একজন সাংসদও সুপারিশ করেন। পরে জানা যায়, মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লবের আবেদনপত্রে সুপারিশ করেননি, তাঁদের সই জাল করে আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এসব তৎপরতার মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলাটি প্রত্যাহারের সুপারিশ করে। কাল ২৭ এপ্রিল সেই আবেদন বিচারিক আদালতে উপস্থাপনের কথা রয়েছে।
রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারসংক্রান্ত কমিটির কাজ কি একের পর এক হত্যা মামলার আসামিদের ছেড়ে দেওয়া? এর আগেও মিরপুরের সন্ত্রাসী শাহাদতসহ অনেক আসামিকে রক্ষার চেষ্টা করেছে কমিটি। নিহত অপুর বোন বলেছেন, ‘রাষ্ট্র যদি খুনিদের পক্ষে দাঁড়ায়, আমরা কার কাছে বিচার চাইব?’ কমিটির দায়িত্ব ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কারও বিরুদ্ধে মামলা হয়ে থাকলে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা। অপু হত্যা মামলা থেকে প্রথমে আসামি এবং পরে পুরো মামলাটি প্রত্যাহারের সুপারিশ কীভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গেল, তা তদন্তের দাবি রাখে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রায়ই বলে থাকেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। এই ক্ষেত্রে আইনকে নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে যাঁরা বাধা সৃষ্টি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের নামে পেশাদার অপরাধীদের রক্ষা এবং খুনের মামলা প্রত্যাহারের অশুভ তৎপরতা বন্ধ হোক।
মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ১৮তম সভায় অন্যতম অভিযুক্ত আতিক আহমেদ শিপলুর নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ২৯ নভেম্বর আদালত সেই সুপারিশ বাতিল করে দেন এই যুক্তিতে, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে মামলাটি উদ্ভূত হয়নি। এরপর আরেক আসামি বিপ্লব চন্দ্র দাস নিজেকে যুবলীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন জানান; যাতে মতিঝিল থানা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সুপারিশ ছিল। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে একজন সাংসদও সুপারিশ করেন। পরে জানা যায়, মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লবের আবেদনপত্রে সুপারিশ করেননি, তাঁদের সই জাল করে আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এসব তৎপরতার মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলাটি প্রত্যাহারের সুপারিশ করে। কাল ২৭ এপ্রিল সেই আবেদন বিচারিক আদালতে উপস্থাপনের কথা রয়েছে।
রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারসংক্রান্ত কমিটির কাজ কি একের পর এক হত্যা মামলার আসামিদের ছেড়ে দেওয়া? এর আগেও মিরপুরের সন্ত্রাসী শাহাদতসহ অনেক আসামিকে রক্ষার চেষ্টা করেছে কমিটি। নিহত অপুর বোন বলেছেন, ‘রাষ্ট্র যদি খুনিদের পক্ষে দাঁড়ায়, আমরা কার কাছে বিচার চাইব?’ কমিটির দায়িত্ব ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কারও বিরুদ্ধে মামলা হয়ে থাকলে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা। অপু হত্যা মামলা থেকে প্রথমে আসামি এবং পরে পুরো মামলাটি প্রত্যাহারের সুপারিশ কীভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গেল, তা তদন্তের দাবি রাখে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রায়ই বলে থাকেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। এই ক্ষেত্রে আইনকে নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে যাঁরা বাধা সৃষ্টি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের নামে পেশাদার অপরাধীদের রক্ষা এবং খুনের মামলা প্রত্যাহারের অশুভ তৎপরতা বন্ধ হোক।
No comments