পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন-ব্যালট বিপ্লবে বাম দুর্গে ফাটল আসন্ন! by মিজানুর রহমান খান

অনেক হয়েছে, আর নয়।’ একটি শিশুর কণ্ঠে টিভি বিজ্ঞাপন ধ্বনিত হচ্ছে। ৩৫ বছর ধরে চলছে বাম শাসন। এই শাসনের অবসানের আকুল আহ্বান তৃণমূলের প্রচারণায়। কেরালায়ও বামেরা সরকার গঠন করে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মতো একটানা নয়। বামেরা সেখানে বিরোধী দলেও বসে।


সিপিএমবিরোধীরা বলছেন, ‘আমরা পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র আনতে চাই।’
বামফ্রন্টের লাল দুর্গে এবার চিড় ধরবে কি না, সেটাই এই মুহূর্তের কোটি টাকা দামের প্রশ্ন। এর উত্তর জানতে অপেক্ষা করতে হবে ১৩ মে পর্যন্ত। এই অপেক্ষা অনেক রাজ্যবাসীর কাছে শ্বাসরুদ্ধকর।
বাংলা দৈনিক স্টেটসম্যান-এর সম্পাদক মানস ঘোষ মনে করেন, ‘শুধু এক কারণেই পরিবর্তন আসা অনিবার্য। সিপিএম নির্যাতনের পদ্ধতি হিসেবে নারী ধর্ষণের পথ বেছে নিয়েছে। কি হিন্দু, কি মুসলিম, মায়ের জাতকে তারা অপমান করেছে। তাই মায়েরাই এবার বদলা নেবে।’ তাঁর কথায়, ‘বামদের যদি নীরব ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে সরানো সম্ভব হয়, সেটা হবে বিশ্ব ইতিহাসের একটা বিরল ঘটনা।’ রাজ্যে নারীরা সুরক্ষিত নন, সে কথা বুধবার রাজ্যে এসে সোনিয়া গান্ধীও বললেন। জ্যেষ্ঠ বাম নেতা বিধানসভার বিদায়ী স্পিকার হাসিম আবদুল হালিম অবশ্য প্রথম আলোকে জানালেন, সিপিএমের বিজয় সম্পর্কে তিনি প্রচণ্ড আশাবাদী। ৭৭ বছর বয়স্ক এই নেতা দলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত। রাজ্যের সাবেক অর্থমন্ত্রী ও বিশিষ্ট লেখক অশোক মিত্রের অকপট স্বীকারোক্তি, ‘একটা হামবড়া ভাব এসে গেছে। একটা জমিদারিসুলভ মনোভাব ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত দেখছি।’ এই প্রবীণ নেতা অনেক দিন ধরে সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে। তিনি আরও বললেন, বামফ্রন্টের বিচ্যুতির কারণেই মানুষ দূরে সরে গেছে। তবে তাঁর শেষ কথা, নির্বাচনে বামফ্রন্টই জিতবে।
সন্দেহ নেই যে ৩৫ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি চাপের মুখে রয়েছে বামফ্রন্ট। তাঁরাও স্বীকার করেন, এটা কঠিন লড়াই। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য উভয়ের দাবি, পরবর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেবেন তাঁরাই। ইতিমধ্যে মিডিয়ার একাংশ মমতাকে ভাবী মুখ্যমন্ত্রী বলা শুরু করে দিয়েছে। পরিবর্তনের জ্বরে আক্রান্ত কলকাতা। সবার চোখ মহাকরণে। টিভি তর্কে বামফ্রন্ট ও তৃণমূলই মুখোমুখি। ছয় ধাপে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন হচ্ছে। নেতা-নেত্রীরা নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিদিনই চষে ফেলছেন রাজ্য। প্রথম ধাপে ১৮ এপ্রিল ভোট হলো উত্তরবঙ্গে। ভোট পড়েছে ৮৪ শতাংশের বেশি। আগেও এখানে ভোটের হার ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যেই ছিল। এটুকুই এ পর্যন্ত নির্দিষ্ট। এর তাৎপর্য কী হতে পারে, তার সবটাই অনুমাননির্ভর। এ নিয়ে দুই রকম ব্যাখ্যা। বাড়তি ভোট মানে সিপিএমের ভরাডুবি। এ পর্যন্ত পরিচালিত জনমত সমীক্ষায় এগিয়ে তৃণমূল। বুদ্ধদেব মিডিয়ার পক্ষপাতিত্বে ক্ষুব্ধ। বিমান বসু বলেন, কোনো সমীক্ষায় কাজ হবে না। ক্ষমতায় ফিরছে বামেরাই। প্রথম দিনের ভোটের পর উভয় পক্ষই জনগণকে অভিনন্দন জানায়। তবে অভিযোগের সুর তৃণমূলেরই ছিল। সিপিএমের পক্ষে সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে তাদের অভিযোগ। তবে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কারও অভিযোগ নেই। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। ২০ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টায় মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী ডোমকলে বোমা বানাতে গিয়ে তিনজনের মৃত্যু ঘটেছে। অপর একটি এলাকায় দুজন বিরোধীদলীয় কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অভিযোগের তীর সিপিএমের দিকে।
নির্বাচনী প্রচারণায় অর্থনীতি, কালো টাকা, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের দিকটিই বড় হয়ে উঠছে। জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্যের জন্য বামফ্রন্ট দুষছে কেন্দ্রকেই। কালো টাকা নিয়ে কয়েক দিন ধরে কাজিয়া চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টারে চেপে জনসভায় ভাষণ দিয়ে ফেরেন কালীঘাটে। তাঁর ভাষণ মানুষকে টানছে। মমতা অনলবর্ষী। অন্যদিকে সিপিএমের জনসভাগুলোতেও মানুষের স্রোত বইছে। বিরোধী দলের ঘাঁটি বেহালায় বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় মানুষের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। বেহালার চৌরাস্তায় বুধবার দেখা হয় বুদ্ধদেব ও মমতার। আচরণ শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়ার মতোই।
পাপের টাকা: ‘পাপের টাকা’ শব্দটি উভয় শিবিরে ব্যবহূত হচ্ছে। কালো টাকা নিয়ে ধুন্ধুমার বিতর্ক। মমতার বাক্যবাণ, ‘কমরেড, কত জমি, কটা গাড়ি, কটা শপিং মল? আমার মুখ খোলাবেন না। পাপ মুখ্যমন্ত্রীকে দেখলে লজ্জায় মুখ লুকায়। এখন চোরের মায়ের বড় গলা। বুধবার নতুন উত্তেজনা উসকে দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। মুর্শিদাবাদের সালারে তিনি বলেন, ‘এ রাজ্যে নকশাল-অধ্যুষিত এলাকায় হাজার হাজার, কোটি কোটি রুপি ঢেলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই টাকা গেল কোথায়? রাজ্যের এই হাল কেন?’ সোনিয়া আরও বলেন, ‘আমি দুঃখের সঙ্গে বলছি। গত ৩৪ বছরে পশ্চিমবঙ্গের কাঁধে দায়ের বোঝা চেপেছে দুই লাখ কোটি রুপি। পশ্চিমবঙ্গ এখন দেউলিয়া হয়ে পড়েছে।’ মমতার প্রতিটি কথা যেভাবে খণ্ডন করা হয়, সেভাবে কিন্তু সোনিয়ার সমালোচনার জবাব দেননি বাম নেতারা।
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং রাজ্যে আসছেন। বামফ্রন্ট বলছে, তিনি এলে কোনো ফায়দা মিলবে না। মমতা বলেন, এর আগে লোকসভা নির্বাচনের সময় তিনি এসেছিলেন। তৃণমূল জিতেছে। এবারও তা-ই হবে। তাঁর আসা মানে তাঁকে এ রাজ্যকে টাকা দিতে হবে। মমতা মাঝেমধ্যে এমন উক্তি করছেন যে তিনি ইতিমধ্যে ক্ষমতায়। তবে দুই তরফের চাপানউতোরে একদিকে মমতা, অন্যদিকে গৌতম দেব। দেব সিপিএম সরকারের আবাসনমন্ত্রী। সেয়ানে সেয়ানে লড়াই। নিউজ টাইম চ্যানেলে তাঁদের সংলাপ চলে এ রকম:
গৌতম দেব: কালো টাকার হিসাব চাই। প্রত্যেক প্রার্থীকে ২৫ লাখ টাকা দেওয়া হলো। তারা ৩৩ কোটি টাকা বিলালো। কোথা থেকে এল? তৃণমূল চাঁদা নিয়ে কুপন দেয়। গৌতম বুধবার এক সভায় চাঁদা তোলার কুপনের রসিদ দেখান। তাঁর দাবি, মুড়ির দিকটা নেই। তিনি নির্বাচন কমিশনে এর তদন্ত চাইছেন। কুপন পোড়ানো নিয়ে তাঁর সঙ্গে গলা মেলান জ্যেষ্ঠ নেতা বিমান বসু, বুদ্ধদেবও। বিমান বুধবার প্রেসক্লাবে মিট দ্য প্রেসে বলেন, একজন বাদে তৃণমূলের সব প্রার্থীকে প্রায় ২১ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। ৩৪ কোটি কালো টাকার হিসাব চাইতে হবে কমিশনকে।
মমতার উত্তর: আমাদের কুপন আমরা পুড়িয়েছি। বেশ করেছি।
গৌতম দেব: বললেই হলো। এ জন্য জেলে যেতে হবে। টিভিতে এত বাহারি বিজ্ঞাপন। দুটো হেলিকপ্টার চলছে। টাকা আসে কোথা থেকে?
মমতা উড়িয়ে দেন, আমাদের তহবিলে পাঁচ কোটি টাকা নেই, এই দলের কী আছে? এর পরই তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিমায় কটাক্ষ, সিপিএম, তুমি চালাকি কোরো না। মানহানির মামলা করব। তুমি মিথ্যাবাদী। কুৎসা রটনাকারী। যত খুশি মামলা ঠুকুন। তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না। সিপিএম তুমি তৈরি হও। হাওয়া বদলাচ্ছে। তৃণমূল চাইলে মুম্বাই থেকে চেন্নাই, সারা পৃথিবী থেকে টাকা নিতে পারত। কিন্তু তা আমরা নিইনি।
গৌতম দেব বলেন, কারা টাকা দিতে চাইল নাম প্রকাশ করতে হবে। এরা টাকা দিতে চায় কেন। খারাপ লোকের সঙ্গে যোগাযোগ হয় কী করে?
মমতার উক্তি: কোটি কোটি টাকা কোথা থেকে আসে, সেটা শুনতে চাই? শপিং মল কোথা থেকে আসে? তাঁর দাবি, বামফ্রন্টের নেতারা গত ৩৫ বছরে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। বুধবার রায়দীঘির ঢোলায় তৃণমূলের প্রার্থী দেবশ্রী রায়কে সঙ্গে নিয়ে মমতা জনসভায় বলেন, বুদ্ধের সরকারটাই চলে কালো টাকায়।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এর আগে বলেন, ‘আমি কোনো দিন অপরাধীর কাছ থেকে টাকা নিইনি। আমি কোনো দিন কালো টাকা ছুঁয়ে দেখিনি।’ প্রবীণ নেতা শ্যামল চক্রবর্তী গতকাল বলেন, মমতা মিথ্যার রানি। বুদ্ধদেব বলেন, তৃণমূলের কালো টাকার সব প্রমাণপত্র নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, এখন সিপিএম কালো টাকা নিয়ে কথা বলছে কেন। তাদের অপসারণের পর তাদের সম্পদের বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
মুম্বাই হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ইলেকশন ওয়াচ ভোট পর্যবেক্ষণ করছে। এ সংস্থার রাজ্য সংযোজক বিপ্লব হালিম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘কালো টাকার দূষণমুক্ত কেউ নয়। রাজ্যবাসীর মনে সে কারণে গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কেই একটা আস্থাহীনতা দেখা দিয়েছে।’
নির্বাচনী ইশতেহার: পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনী রাজনীতিতে কেন্দ্রের কাছে দায়দেনা, সরকারি কর্মচারী, বিশেষ করে শিক্ষকদের বেতন-ভাতায় অনিশ্চয়তা, দুর্নীতি, শিল্প বিনিয়োগে মন্দা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য। তৃণমূল তাদের সরকারের প্রথম ১০০ দিন এবং পরবর্তী ১০০০ দিনের অগ্রাধিকার ঘোষণা করেছে নির্বাচনী ইশতেহারে। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান অবস্থা কেমন তার একটা হিসাব দিয়েছে তারা। সর্বভারতীয় শিল্পায়ন যখন ২২ থেকে ২৫ ভাগ, ওডিশা ও গুজরাট যখন এই হার বজায় রাখছে, তখন পশ্চিমবঙ্গ নিম্নমুখী। ১৯৭৫-৭৬ সালে ছিল ২৭ ভাগ, ২০০৭-০৮ সালে ১৮.০৬ ভাগ এবং ২০০৮-০৯ সালে ১৮.০৪ ভাগ। তৃণমূলের জনপ্রিয় স্লোগান, ‘বদল চাই, বদলা চাই না’।
বামফ্রন্টের ইশতেহারে বলা হয়েছে, কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিকল্প দেবে তারা। মাধ্যমিক পরীক্ষায় দুই লাখের বেশি ছেলে মুসলিম। প্রায় ৬০০ মাদ্রাসা করেছে বাম সরকার। কৃষিজমির ৮৪ ভাগ এখন পাঁচ একরের কম জমির মালিকদের হাতে। সমগ্র ভারতে খাদ্য উৎপাদন কমেছে। পশ্চিমবঙ্গে বেড়েছে। গত পাঁচ বছরে রাজ্যে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। তাদের তিন প্রধান লক্ষ্য: দারিদ্র্যসীমার নিচের মানুষের উন্নয়ন, ক্রয়ক্ষমতা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য—এই তিন মাপকাঠিতে মানব উন্নয়ন সূচক নির্ধারণ এবং দরিদ্রতম ৪০ লাখ মানুষের উন্নয়ন।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গ: মমতার ইশতেহারে বাংলাদেশ এসেছে ভারতের অন্যতম পূর্বাঞ্চলীয় কুটুম হিসেবে। তিনি পশ্চিমবঙ্গকে এই অঞ্চলের পরিবহন করিডর হিসেবে গড়ে তুলতে চান। শোনা গেল, তিনি জয়ী হওয়ার অল্প সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশ সফরে যেতে পারেন। বামফ্রন্টের ইশতেহারে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এসেছে এভাবে: পশ্চিমবঙ্গের উদ্বাস্তু পুনর্বাসন এবং ১৯৭১ সালের পর যাঁরা বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের অন্যান্য রাজ্যে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন, তাঁদের সম্পর্কে কেন্দ্রকে যথাযথ ভূমিকা পালনের দাবিতে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করা হবে। বামফ্রন্ট তাদের ভাষায়, তৃণমূল কংগ্রেস-মাওবাদী-কংগ্রেস ইত্যাদির নীতিহীন সুবিধাবাদী মহাজোটকে পরাস্ত করে।
বামফ্রন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বিমান বসু গতকাল কলকাতা প্রেসক্লাবে বলেন, বামফ্রন্ট সরকারকে হটাতে একটি মার্কিন নীলনকশা রয়েছে। সে কারণেই তৃণমূলের সঙ্গে জোট বেঁধেছে কংগ্রেস। তাঁর অভিযোগ, কলকাতার মার্কিন কনস্যুলেট কয় দিন আগে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। সিআইএ মদদ দিচ্ছে। বামফ্রন্ট অবশ্য তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের দ্বিতীয় বাক্যেই বলেছে, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ তাদের সংকটের বোঝা ভারতীয় জনগণের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। এটা প্রতিহত করতে হবে।
কলকাতা, ২১ এপ্রিল ২০১১
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।
mrkhanbd@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.