অবিলম্বে এসইসি পুনর্গঠনের কাজ শুরু করুন-যোগ্য লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না!
শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) পুনর্গঠনের কথা বলা হয়েছে। অথচ এ ব্যাপারে এখনো সরকার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। গত শনিবার প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অর্থমন্ত্রীর
কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংস্থাটির পুনর্গঠন খুবই কঠিন। এর জন্য ‘যোগ্য’ লোক নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যোগ্য লোক খোঁজার জন্য কোন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি। স্বীকৃত পদ্ধতি হলো, অনুসন্ধান কমিটি (সার্চ কমিটি) গঠন করে তার ওপর দায়িত্ব দেওয়া। তদন্ত প্রতিবেদনেও সেই কথা বলা হয়েছে। অন্য একটি পদ্ধতি হতে পারে, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসইসির জন্য আগ্রহী প্রার্থী আহ্বান করা। সরকার তাও করেনি। তাহলে কীভাবে বোঝা গেল যে ‘যোগ্য’ লোকের অভাব?
শেয়ারবাজারে ধস নামানোর পেছনে কিছু প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে এসইসির ব্যর্থতার কথাও এসেছে। শেয়ারবাজারে দেশের হাজার হাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী তাঁদের সব পুঁজি খুইয়ে যখন পথে বসলেন, সরকারের দিক থেকে তখন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা ছিল জরুরি। কিন্তু সরকার তো সেটা করলই না, বরং উদ্যোগ গ্রহণে বিলম্বের যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠার ব্যর্থ চেষ্টায় ব্যস্ত। যদি সার্চ কমিটি গঠন করে দেখা যেত, লোক পাওয়া যাচ্ছে না, তখন নাহয় এ কথার যুক্তি থাকত। এসইসি পুনর্গঠনে সরকারের সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। যদি যোগ্য লোকের অভাবের কারণে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগসহ পুনর্গঠন থামিয়ে রাখা হয়, তাহলে অন্তর্বর্তী সময়ে এসইসির বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব কে নেবে? যাদের ব্যর্থতার কারণে একবার শেয়ারবাজারে বিপর্যয় হলো বলে অভিযোগ, তাদের কাজ যে আবার এক বিপর্যয় ডেকে আনবে না, তার নিশ্চয়তা কী?
শেয়ারবাজার নিয়ে গড়িমসির কোনো সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়দায়িত্ব নির্ধারণ এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শেয়ারবাজারের নাজুকতা দেশের অর্থনীতিকে স্পর্শ করে। বিশেষত, বিপুলসংখ্যক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর স্বার্থ এখানে জড়িত। সুতরাং এ ক্ষেত্রে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
সর্বাগ্রে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হোক। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে, এটা দুঃখজনক। এখানে তো রাখঢাকের কোনো ব্যাপার থাকতে পারে না। সরকার সব সময় বলে, সবকিছু স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হবে আর সরকারেরই গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আদালতের আশ্রয় নিতে হবে, এটা কেমন কথা? যা হোক, এখন সরকারের উচিত, দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া। সরকারকে দৃঢ়তার সঙ্গে এই সংকেত পাঠাতে হবে যে শেয়ারবাজার নিয়ে কারসাজি করে কেউ পার পাবে না। এ লক্ষ্যে অবিলম্বে এসইসি পুনর্গঠন করে পুঁজিবাজারে নবপ্রাণ সঞ্চার করা হোক।
শেয়ারবাজারে ধস নামানোর পেছনে কিছু প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে এসইসির ব্যর্থতার কথাও এসেছে। শেয়ারবাজারে দেশের হাজার হাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী তাঁদের সব পুঁজি খুইয়ে যখন পথে বসলেন, সরকারের দিক থেকে তখন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা ছিল জরুরি। কিন্তু সরকার তো সেটা করলই না, বরং উদ্যোগ গ্রহণে বিলম্বের যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠার ব্যর্থ চেষ্টায় ব্যস্ত। যদি সার্চ কমিটি গঠন করে দেখা যেত, লোক পাওয়া যাচ্ছে না, তখন নাহয় এ কথার যুক্তি থাকত। এসইসি পুনর্গঠনে সরকারের সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। যদি যোগ্য লোকের অভাবের কারণে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগসহ পুনর্গঠন থামিয়ে রাখা হয়, তাহলে অন্তর্বর্তী সময়ে এসইসির বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব কে নেবে? যাদের ব্যর্থতার কারণে একবার শেয়ারবাজারে বিপর্যয় হলো বলে অভিযোগ, তাদের কাজ যে আবার এক বিপর্যয় ডেকে আনবে না, তার নিশ্চয়তা কী?
শেয়ারবাজার নিয়ে গড়িমসির কোনো সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়দায়িত্ব নির্ধারণ এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শেয়ারবাজারের নাজুকতা দেশের অর্থনীতিকে স্পর্শ করে। বিশেষত, বিপুলসংখ্যক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর স্বার্থ এখানে জড়িত। সুতরাং এ ক্ষেত্রে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
সর্বাগ্রে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হোক। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে, এটা দুঃখজনক। এখানে তো রাখঢাকের কোনো ব্যাপার থাকতে পারে না। সরকার সব সময় বলে, সবকিছু স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হবে আর সরকারেরই গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আদালতের আশ্রয় নিতে হবে, এটা কেমন কথা? যা হোক, এখন সরকারের উচিত, দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া। সরকারকে দৃঢ়তার সঙ্গে এই সংকেত পাঠাতে হবে যে শেয়ারবাজার নিয়ে কারসাজি করে কেউ পার পাবে না। এ লক্ষ্যে অবিলম্বে এসইসি পুনর্গঠন করে পুঁজিবাজারে নবপ্রাণ সঞ্চার করা হোক।
No comments