মামলার আলামত বিক্রি-কোর্টের মালখানাতেই মাদক সস্তা!
চট্টগ্রাম আদালতের মালখানা থেকে চুরি হচ্ছে মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত। এর ফলে মামলা দুর্বল হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। আবার এখানেই মিলছে সস্তায় মাদকদ্রব্য_ ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবা ও চোলাই মদ। আদালতে মামলা বৃদ্ধি পাচ্ছে ধারাবাহিকভাবে, তাই আলামতও বেড়ে চলেছে।
বলা যায়, চুরি-দুর্নীতির এক মস্ত আখড়া চট্টগ্রাম আদালতের মালখানা। সেখানের দুটি মালখানায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ২০ গুণ বেশি আলামত কষ্টেসৃষ্টে রাখা হয়েছে। এসব কিনতে রীতিমতো ভিড় জমায় মাদকসেবীরা। মালখানার ইনচার্জও মানছেন মালামাল চুরি এবং তা বিক্রয়ের কথা। তবে তার সাফাই_ মালখানা থেকে নয়, বরং স্থানাভাবে আলামতের সবটা মালখানায় রাখা যায় না বলে একটি অংশ ধ্বংস করে ফেলা হয়। এ সময়ে পথে কোথাও চুরি হতে পারে। কিন্তু চুরি যে হচ্ছে, সেটাই আসল কথা। এর সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতেই হবে। সমকালের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে চুরির বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। অকুস্থলেই ক্রেতাদের কয়েকজন জানিয়েছেন, 'স্যালাইন প্যাকেটে ভরা মদ বাইরের চেয়ে কম দামে মেলে।' পান দোকানের আড়ালে যে একটি জমজমাট মাদকদ্রব্যের ব্যবসা চালু রয়েছে, সেটাও তারা জানিয়েছেন। এখানে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই লাভবান হচ্ছে। আরও উদ্বেগের বিষয়, কারাগার থেকে আদালতে হাজিরা দিতে আসা বন্দিরাও মাদকদ্রব্য কিনছে। ধরে নেওয়া যায়, তাদের মাধ্যমে কারাগারেও চলে যাচ্ছে মাদকদ্রব্য। অপরাধের যে কত ডালপালা! এক বা দু'দিন এমন ঘটনা ঘটলে সেটাও অন্যায়। কিন্তু এসব ঘটছে নিয়মিত। এর দায়দায়িত্ব চিহ্নিত হওয়া দরকার। এ জন্য বেশি পরিশ্রম করার দরকার পড়বে না। সম্ভবত বেড়াতেই ক্ষেতের ফসল সাবাড় করছে।
তবে সমস্যা কেবল কিছু দ্রব্য চুরি করার মধ্যে সীমিত নয়। আরও একটি গুরুতর সমস্যার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক। তার আক্ষেপ_ অনেক কষ্ট করে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের আটক করে বিচারের জন্য সোপর্দ করা হয়। কিন্তু মালখানা থেকে আলামত গায়েব হয়ে গেলে মামলাই যে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। বিচারকার্য পরিচালনার সময় আলামত অবশ্যই উপস্থাপন করা চাই। এ ঘটনা থেকে আরেকটি প্রশ্ন আসতে পারে_ মালখানা থেকে মালামাল হাওয়া হয়ে যাওয়ার বিষয়টি কি নিছকই চুরি, নাকি পেছন থেকে মাদক ব্যবসায়ে যুক্ত রাঘববোয়ালরা কলকাঠি নাড়ছে মামলা দুর্বল করে ফেলার উদ্দেশ্যে? মালখানার হেফাজত করার দায়িত্বে যারা রয়েছেন, তারা এ সমস্যা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দেখবেন বলে আশা করব।
সমকাল চট্টগ্রাম আদালত নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দেশের আরও কোথাও কোথাও এ ধরনের দুর্নীতি থাকা সম্ভব। এ প্রতিবেদনের সূত্র ধরে সেসব স্থানে অভিযান চালানো যেতে পারে। আশার কথা, চট্টগ্রাম মালখানা থেকে মামলার আলামত চুরিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন জেলা কোর্ট পরিদর্শক। এ ধরনের দুর্নীতি স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে মালখানার ব্যবস্থাপনাতেও পরিবর্তন আনা চাই।
তবে সমস্যা কেবল কিছু দ্রব্য চুরি করার মধ্যে সীমিত নয়। আরও একটি গুরুতর সমস্যার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক। তার আক্ষেপ_ অনেক কষ্ট করে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের আটক করে বিচারের জন্য সোপর্দ করা হয়। কিন্তু মালখানা থেকে আলামত গায়েব হয়ে গেলে মামলাই যে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। বিচারকার্য পরিচালনার সময় আলামত অবশ্যই উপস্থাপন করা চাই। এ ঘটনা থেকে আরেকটি প্রশ্ন আসতে পারে_ মালখানা থেকে মালামাল হাওয়া হয়ে যাওয়ার বিষয়টি কি নিছকই চুরি, নাকি পেছন থেকে মাদক ব্যবসায়ে যুক্ত রাঘববোয়ালরা কলকাঠি নাড়ছে মামলা দুর্বল করে ফেলার উদ্দেশ্যে? মালখানার হেফাজত করার দায়িত্বে যারা রয়েছেন, তারা এ সমস্যা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দেখবেন বলে আশা করব।
সমকাল চট্টগ্রাম আদালত নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দেশের আরও কোথাও কোথাও এ ধরনের দুর্নীতি থাকা সম্ভব। এ প্রতিবেদনের সূত্র ধরে সেসব স্থানে অভিযান চালানো যেতে পারে। আশার কথা, চট্টগ্রাম মালখানা থেকে মামলার আলামত চুরিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন জেলা কোর্ট পরিদর্শক। এ ধরনের দুর্নীতি স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে মালখানার ব্যবস্থাপনাতেও পরিবর্তন আনা চাই।
No comments