গাড়িগুলোর কী দোষ?-চট্টগ্রামে ভাঙচুর
ঘটনা যা-ই ঘটুক, তার রেশ ও রোষের শিকার হবে রাস্তার গাড়ি। ঢাকায়, চট্টগ্রামে বা দেশের অন্য কোথাও হেরফের হবে না। শনিবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের ক্ষোভের শিকার হলো রাস্তার অসংখ্য গাড়ি, যার সঙ্গে এই গাড়িগুলোর কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি এটি কোনো সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিক্রিয়াও নয়।
একটি ক্লিনিকের নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বাগিবতণ্ডার ফল হচ্ছে এই ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ। এই প্রবণতাকে এখন আর সাধারণ সামাজিক অসুস্থতা হিসেবে বিবেচনা করা যাচ্ছে না। এটি স্থায়ী রোগে পরিণত হয়েছে।
যে বাগিবতণ্ডা বা অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে ছাত্ররা ক্লিনিকটিতে হামলা চালিয়েই থেমে থাকলেন না, রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করলেন, রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ জনগণকে দুর্ভোগের মধ্যে ফেললেন, সেই ঘটনার সূত্রপাতের দায় কিন্তু ছাত্রদেরই। পত্রিকার খবর অনুযায়ী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের দুই ছাত্র চিকিৎসক দেখাতে গিয়েছিলেন পাশের একটি ক্লিনিকে। সিরিয়াল মেনে চিকিৎসক দেখাতে রাজি ছিলেন না তাঁরা, ঘটনার শুরু এখান থেকেই। এক নিরাপত্তারক্ষীকে থাপড় মারলে অন্য নিরাপত্তারক্ষীরা এসে এই দুই ছাত্রকে আটক করেন। এরপর ক্লিনিকটিতে শুরু হয় পাশের মেডিকেল কলেজ থেকে ছুটে আসা ছাত্রদের ভাঙচুর।
ক্লিনিকের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে যখন এই ছাত্ররা ভাঙচুর চালাচ্ছিলেন, তখন সেখানকার রোগীদের মধ্যে কোন ধরনের ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা অনুমান করতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। যাঁরা এই ভাঙচুরে অংশ নিয়েছেন, সেই ছাত্ররা কি ঠান্ডা মাথায় এখন বিষয়টি একটু ভেবে দেখবেন? আপনারা কি ভেবে দেখবেন যে আপনাদের সহপাঠী দুজনই ভুল করেছেন, যাঁরা সিরিয়াল ভেঙে রোগী দেখাতে গিয়ে নিরাপত্তাকর্মীকে থাপড় মেরেছেন? আপনারা কি ভেবে দেখবেন, এরপর রাস্তায় যাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করলেন, রাস্তা অবরোধ করে যাঁদের কষ্ট দিলেন, তাঁরা কী দোষ করেছেন? এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।
এই প্রশ্নগুলো ভেবে দেখলে নিজেদের ভুলগুলো বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। আর ভুলগুলো একবার বুঝতে পারলে ভবিষ্যতে সে ধরনের ভুল না করারই কথা। যেকোনো অজুহাতে রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর কিংবা সম্পত্তি নষ্ট করার প্রবণতা কঠোর হাতে বন্ধ করতে হবে। এসব অঘটনের জন্য যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
যে বাগিবতণ্ডা বা অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে ছাত্ররা ক্লিনিকটিতে হামলা চালিয়েই থেমে থাকলেন না, রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করলেন, রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ জনগণকে দুর্ভোগের মধ্যে ফেললেন, সেই ঘটনার সূত্রপাতের দায় কিন্তু ছাত্রদেরই। পত্রিকার খবর অনুযায়ী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের দুই ছাত্র চিকিৎসক দেখাতে গিয়েছিলেন পাশের একটি ক্লিনিকে। সিরিয়াল মেনে চিকিৎসক দেখাতে রাজি ছিলেন না তাঁরা, ঘটনার শুরু এখান থেকেই। এক নিরাপত্তারক্ষীকে থাপড় মারলে অন্য নিরাপত্তারক্ষীরা এসে এই দুই ছাত্রকে আটক করেন। এরপর ক্লিনিকটিতে শুরু হয় পাশের মেডিকেল কলেজ থেকে ছুটে আসা ছাত্রদের ভাঙচুর।
ক্লিনিকের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে যখন এই ছাত্ররা ভাঙচুর চালাচ্ছিলেন, তখন সেখানকার রোগীদের মধ্যে কোন ধরনের ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা অনুমান করতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। যাঁরা এই ভাঙচুরে অংশ নিয়েছেন, সেই ছাত্ররা কি ঠান্ডা মাথায় এখন বিষয়টি একটু ভেবে দেখবেন? আপনারা কি ভেবে দেখবেন যে আপনাদের সহপাঠী দুজনই ভুল করেছেন, যাঁরা সিরিয়াল ভেঙে রোগী দেখাতে গিয়ে নিরাপত্তাকর্মীকে থাপড় মেরেছেন? আপনারা কি ভেবে দেখবেন, এরপর রাস্তায় যাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করলেন, রাস্তা অবরোধ করে যাঁদের কষ্ট দিলেন, তাঁরা কী দোষ করেছেন? এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।
এই প্রশ্নগুলো ভেবে দেখলে নিজেদের ভুলগুলো বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। আর ভুলগুলো একবার বুঝতে পারলে ভবিষ্যতে সে ধরনের ভুল না করারই কথা। যেকোনো অজুহাতে রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর কিংবা সম্পত্তি নষ্ট করার প্রবণতা কঠোর হাতে বন্ধ করতে হবে। এসব অঘটনের জন্য যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
No comments