কঠোর, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন-আরও দুটি হত্যাকাণ্ড
সোমবারের প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ছাপা হয়েছে জান্নাতুল ফেরদৌসের ছবি। রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী এই শিশুটির বয়স হয়েছিল মাত্র ১০ বছর। সংবাদপত্রের পাতায় সে এল দুঃসংবাদের শিরোনাম হয়ে। গত রোববার জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে একটি ট্রেনের কামরায় একটা কার্টনের ভেতরে পাওয়া গেছে তার মৃতদেহ।
পুলিশ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে; প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা স্বীকার করেছেন, জান্নাতুলকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছেন। শিশুটির লাশ কার্টনে করে কুরিয়ার সার্ভিসে বেনামে কোথাও পাঠিয়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন; কিন্তু তা করতে গেলে ধরা পড়ে যেতে পারেন—এই আশঙ্কায় কার্টনটি তাঁরা রেখে আসেন একটি ট্রেনের কামরায়। দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই খুনের ঘটনা ঘটছে; কিন্তু ১০ বছরের শিশু জান্নাতুলের খুনের আগে ধর্ষিত হওয়ার মতো ঘটনায় স্তম্ভিত হতে হয়; কতখানি বিকারগ্রস্ত হলে, কতটা অমানুষে পর্যবসিত হলে মানুষ নামের কোনো জন্তু এমন ঘটনা ঘটাতে পারে, তা ভেবে বিস্মিত হতে হয়।
আরেকটি হত্যাকাণ্ডের খবর ছাপা হয়েছে একই দিনের প্রথম আলোর শেষ পাতায়। আমিনুল ইসলাম (৪১) ছিলেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি (বিসিডব্লিউএস) নামের একটি বেসরকারি সংস্থার সংগঠক। সংস্থাটি সাভারের আশুলিয়ার পোশাকশ্রমিকদের নিয়ে অধিকারভিত্তিক কাজ করে। গত বুধবার সন্ধ্যায় সংস্থাটির কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। বৃহস্পতিবার সকালে ঘাটাইল থানার পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ থেকে। পুলিশের ভাষ্য, হত্যার আগে তাঁর ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়েছে। আমিনুল ইসলামের স্ত্রীর ধারণা, তিনি ‘গুপ্তহত্যা’র শিকার হয়ে থাকতে পারেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ‘গুপ্তহত্যা’ বেড়েছে। মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে, কদিন পর তার লাশ পাওয়া যাচ্ছে। সে লাশ কখনো গুলিবিদ্ধ, কখনো ক্ষতবিক্ষত। শিশু জান্নাতুলের ধর্ষণ ও হত্যার মতো ঘটনাগুলো মানবতার অধঃপতনের লক্ষণ স্পষ্ট করে তোলে; শ্রমিক-সংগঠক আমিনুল ইসলামের ‘গুপ্তহত্যা’র মতো ঘটনাগুলো ভীষণ উদ্বেগ জাগায়। উভয় ক্ষেত্রে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি।
আরেকটি হত্যাকাণ্ডের খবর ছাপা হয়েছে একই দিনের প্রথম আলোর শেষ পাতায়। আমিনুল ইসলাম (৪১) ছিলেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি (বিসিডব্লিউএস) নামের একটি বেসরকারি সংস্থার সংগঠক। সংস্থাটি সাভারের আশুলিয়ার পোশাকশ্রমিকদের নিয়ে অধিকারভিত্তিক কাজ করে। গত বুধবার সন্ধ্যায় সংস্থাটির কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। বৃহস্পতিবার সকালে ঘাটাইল থানার পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ থেকে। পুলিশের ভাষ্য, হত্যার আগে তাঁর ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়েছে। আমিনুল ইসলামের স্ত্রীর ধারণা, তিনি ‘গুপ্তহত্যা’র শিকার হয়ে থাকতে পারেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ‘গুপ্তহত্যা’ বেড়েছে। মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে, কদিন পর তার লাশ পাওয়া যাচ্ছে। সে লাশ কখনো গুলিবিদ্ধ, কখনো ক্ষতবিক্ষত। শিশু জান্নাতুলের ধর্ষণ ও হত্যার মতো ঘটনাগুলো মানবতার অধঃপতনের লক্ষণ স্পষ্ট করে তোলে; শ্রমিক-সংগঠক আমিনুল ইসলামের ‘গুপ্তহত্যা’র মতো ঘটনাগুলো ভীষণ উদ্বেগ জাগায়। উভয় ক্ষেত্রে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি।
No comments