ঢাকা সিটি নির্বাচন ২৪ মে-চমক দিতে চায় বিএনপি
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী সমর্থনের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি। তবে এ নির্বাচনে কোনো না কোনোভাবে অংশ নেওয়ার পক্ষে দলটি। এমনকি চমকও দেখাবে বলে মন্তব্য করেছেন শীর্ষস্থানীয় একজন নেতা।
প্রকাশ্যে তোড়জোড় না থাকলেও মধ্যমসারির কয়েকজন নেতা ইতিমধ্যেই প্রার্থী হতে দলের উচ্চপর্যায়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ভেতরে ভেতরে তাঁরা প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছেন।
দলটির নীতিনির্ধারকেরা জানিয়েছেন, নির্বাচনে অংশ নিতে দলের ভেতরে চাপ আছে। তা ছাড়া তাঁদের প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনাও বেশি। তাই শেষ পর্যন্ত বিএনপি কোনো না কোনোভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে। প্রয়োজনে অন্য দলের বা নির্দলীয় যোগ্য কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।
বিএনপির নেতারা ডিসিসি উত্তর ও দক্ষিণের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে দলীয় চেয়ারপারসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান ও সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ফাঁকা মাঠ ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না। তাঁরা কোনো না কোনো উপায়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে মত দেন।
জানতে চাইলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়ার ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি। প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে বিএনপি চমক দেবে। নির্বাচনে দলের ভূমিকা কী হবে, তা যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আইনগতভাবে এটা দলীয় নির্বাচন নয়। দল সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না।
বিএনপি প্রথম থেকেই ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) বিভক্ত করার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এর প্রতিবাদে হরতালও দিয়েছে। এই হরতালে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ সরাসরি সমর্থনও জানিয়েছিলেন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ব্যাপারে দলটির সিদ্ধান্ত আছে। তাই এ নির্বাচনে অংশ নিলে তা জনগণের কাছে দ্বিমুখী অবস্থান হবে কি না, সেটাই খতিয়ে দেখছে দলটি। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভায়ও ঢাকাকে বিভক্ত করাকে সরকারের একগুঁয়েমি ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বলা হয়েছে।
মধ্যমসারির নেতাদের দৌড়ঝাঁপ: দল সিদ্ধান্ত না নিলেও বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা মেয়র পদে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের মতো পোস্টার-ব্যানার টানিয়ে প্রচারণা শুরু করেননি তাঁরা।
ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে লড়তে আগ্রহী বিএনপির নেতাদের মধ্যে আছেন সাবেক কমিশনার এম এ কাইয়ুম, যুববিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাবেক কমিশনার আবু সাঈদ খান।
মহানগর দক্ষিণ থেকে নির্বাচনে আগ্রহী বিএনপির নেতারা হলেন কেন্দ্রীয় অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, সাবেক সাংসদ সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ।
তবে উত্তর থেকে মেয়র পদে নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নামও দলে আলোচনায় আছে। রুহুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, এটা দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তাঁর নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা প্রথম আলোকে বলেন, দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে মেয়র পদে জয়ী হওয়ার মতো অনেক প্রার্থী বিএনপিতে আছে।
দলটির নীতিনির্ধারকেরা জানিয়েছেন, নির্বাচনে অংশ নিতে দলের ভেতরে চাপ আছে। তা ছাড়া তাঁদের প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনাও বেশি। তাই শেষ পর্যন্ত বিএনপি কোনো না কোনোভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে। প্রয়োজনে অন্য দলের বা নির্দলীয় যোগ্য কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।
বিএনপির নেতারা ডিসিসি উত্তর ও দক্ষিণের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে দলীয় চেয়ারপারসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান ও সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ফাঁকা মাঠ ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না। তাঁরা কোনো না কোনো উপায়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে মত দেন।
জানতে চাইলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়ার ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি। প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে বিএনপি চমক দেবে। নির্বাচনে দলের ভূমিকা কী হবে, তা যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আইনগতভাবে এটা দলীয় নির্বাচন নয়। দল সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না।
বিএনপি প্রথম থেকেই ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) বিভক্ত করার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এর প্রতিবাদে হরতালও দিয়েছে। এই হরতালে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ সরাসরি সমর্থনও জানিয়েছিলেন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ব্যাপারে দলটির সিদ্ধান্ত আছে। তাই এ নির্বাচনে অংশ নিলে তা জনগণের কাছে দ্বিমুখী অবস্থান হবে কি না, সেটাই খতিয়ে দেখছে দলটি। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভায়ও ঢাকাকে বিভক্ত করাকে সরকারের একগুঁয়েমি ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বলা হয়েছে।
মধ্যমসারির নেতাদের দৌড়ঝাঁপ: দল সিদ্ধান্ত না নিলেও বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা মেয়র পদে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের মতো পোস্টার-ব্যানার টানিয়ে প্রচারণা শুরু করেননি তাঁরা।
ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে লড়তে আগ্রহী বিএনপির নেতাদের মধ্যে আছেন সাবেক কমিশনার এম এ কাইয়ুম, যুববিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাবেক কমিশনার আবু সাঈদ খান।
মহানগর দক্ষিণ থেকে নির্বাচনে আগ্রহী বিএনপির নেতারা হলেন কেন্দ্রীয় অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, সাবেক সাংসদ সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ।
তবে উত্তর থেকে মেয়র পদে নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নামও দলে আলোচনায় আছে। রুহুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, এটা দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তাঁর নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা প্রথম আলোকে বলেন, দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে মেয়র পদে জয়ী হওয়ার মতো অনেক প্রার্থী বিএনপিতে আছে।
No comments