মধ্যযুগীয় বর্বরতা
ভাবতে অবাক লাগে, এ দেশে এখনো মধ্যযুগীয় বর্বরতা বিদ্যমান। অজ্ঞতা, কুসংস্কার এখনো মধ্যযুগীয় নয়, সম্ভবত তারও আগের পর্যায়ে রয়ে গেছে। তা না হলে ইটখোলায় ইটের সঙ্গে মানুষের মাথা পোড়ালে ইটের রং সুন্দর হবে_এমন অবাস্তব চিন্তাভাবনা আসে কী করে! আর কতটা অন্ধবিশ্বাসী ও নিষ্ঠুর হলে সেই ভাটারই একজন শ্রমিককে
হত্যা করে তার মাথা ইটের সঙ্গে পোড়ানো হতে পারে! গা শিউরে ওঠা এ ঘটনা ঘটেছে আজ থেকে এক বছর আগে ঠাকুরগাঁও জেলায়। লোমহর্ষক এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের পর পুলিশ সম্প্রতি আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে। আদালতের কাছে আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রত্যাশায় থাকলাম।
মধ্যযুগের গল্প-কাহিনীতে পাওয়া যায়, জমিদার কিংবা রাজরাজড়াদের নতুন কাটানো দিঘিতে টলটলে পানি ওঠার জন্য ১০১টি নরবলি দিতে হতো। জ্যান্ত মানুষকে পুঁতে ফেলা হতো দিঘির গভীর মাটিতে। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে জ্ঞান-বিজ্ঞান এতটাই অগ্রসর, কোন পুকুরে পানি থাকবে না থাকবে সেটা মাটির স্তর পরীক্ষা করলেই জানা যায়। ইটের রং কিভাবে সুন্দর হবে তা জানাও কঠিন কাজ নয়। তার পরও কিভাবে কিছু মানুষের মধ্যে এ ধরনের অন্ধবিশ্বাস এখনো রয়ে গেছে, তা কল্পনা করাও কঠিন। আর তাদের বিবেকবুদ্ধি কিভাবে সায় দিল, এ জন্য মোজাম নামে একজন শ্রমিককে হত্যা করে ইটখোলার আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে। লাভ ও লোভ_আধুনিক যুগের একটি অন্ধকার দিক। মুনাফা বা লাভের জন্য মানুষ করতে পারে না এমন কাজ নেই। ছোটখাটো ব্যক্তিমালিকানা থেকে অতি বৃহৎ করপোরেট পুঁজি পর্যন্ত চেহারা কমবেশি একই রকম। মানুষ হত্যা বা ব্যক্তিমানুষের বেঁচে থাকার আকুতি তাদের বিবেকের দ্বার পর্যন্ত পেঁৗছায় না।
এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়। বিশেষ করে ইটখোলায় মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার অনেক ঘটনা আগেও ঘটেছে। ইতিপূর্বে সাভারেও অনুরূপ নৃশংস ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। সেটা ইটের রং সুন্দর করার জন্য নয়, ব্যক্তিগত শত্রুতা মেটানোর জন্যই ঘটেছিল। ব্যক্তিগত শত্রুতা মেটাতে এভাবে ইটখোলায় পুড়িয়ে মারার ঘটনা দেশের অন্যান্য স্থান থেকেও শোনা যায়। এখন অনুমান করা কঠিন, ঠাকুরগাঁওয়ের ঘটনা কতটা কুসংস্কার থেকে আর কতটা ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে ঘটেছে। যা হোক, আইন তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাবে। মোজাম হত্যার সুবিচার পাবে তার পরিবার। একই সঙ্গে সামাজিক অপরাধ বোধ থেকে মুক্ত হবে দেশের সভ্য সমাজ।
মধ্যযুগের গল্প-কাহিনীতে পাওয়া যায়, জমিদার কিংবা রাজরাজড়াদের নতুন কাটানো দিঘিতে টলটলে পানি ওঠার জন্য ১০১টি নরবলি দিতে হতো। জ্যান্ত মানুষকে পুঁতে ফেলা হতো দিঘির গভীর মাটিতে। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে জ্ঞান-বিজ্ঞান এতটাই অগ্রসর, কোন পুকুরে পানি থাকবে না থাকবে সেটা মাটির স্তর পরীক্ষা করলেই জানা যায়। ইটের রং কিভাবে সুন্দর হবে তা জানাও কঠিন কাজ নয়। তার পরও কিভাবে কিছু মানুষের মধ্যে এ ধরনের অন্ধবিশ্বাস এখনো রয়ে গেছে, তা কল্পনা করাও কঠিন। আর তাদের বিবেকবুদ্ধি কিভাবে সায় দিল, এ জন্য মোজাম নামে একজন শ্রমিককে হত্যা করে ইটখোলার আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে। লাভ ও লোভ_আধুনিক যুগের একটি অন্ধকার দিক। মুনাফা বা লাভের জন্য মানুষ করতে পারে না এমন কাজ নেই। ছোটখাটো ব্যক্তিমালিকানা থেকে অতি বৃহৎ করপোরেট পুঁজি পর্যন্ত চেহারা কমবেশি একই রকম। মানুষ হত্যা বা ব্যক্তিমানুষের বেঁচে থাকার আকুতি তাদের বিবেকের দ্বার পর্যন্ত পেঁৗছায় না।
এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়। বিশেষ করে ইটখোলায় মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার অনেক ঘটনা আগেও ঘটেছে। ইতিপূর্বে সাভারেও অনুরূপ নৃশংস ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। সেটা ইটের রং সুন্দর করার জন্য নয়, ব্যক্তিগত শত্রুতা মেটানোর জন্যই ঘটেছিল। ব্যক্তিগত শত্রুতা মেটাতে এভাবে ইটখোলায় পুড়িয়ে মারার ঘটনা দেশের অন্যান্য স্থান থেকেও শোনা যায়। এখন অনুমান করা কঠিন, ঠাকুরগাঁওয়ের ঘটনা কতটা কুসংস্কার থেকে আর কতটা ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে ঘটেছে। যা হোক, আইন তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাবে। মোজাম হত্যার সুবিচার পাবে তার পরিবার। একই সঙ্গে সামাজিক অপরাধ বোধ থেকে মুক্ত হবে দেশের সভ্য সমাজ।
No comments