৩৩তম বিসিএস নিয়ে কারিগরি জটিলতা-পরীক্ষা দিতে পারছেন না সাড়ে ১১ হাজার প্রার্থী by শরিফুল হাসান
কারিগরি ত্রুটির কারণে ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদনপত্র জমাদান-প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেননি অন্তত ২০ হাজার পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে সাড়ে ১১ হাজার পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ে আবেদন করলেও টেলিটকে টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ জন্য তাঁরা পরীক্ষা দিতে পারবেন না।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষার আবেদনপত্র নিয়ে এমন কারিগরি সমস্যা হওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, শেষ মুহূর্তে অনলাইন বিপত্তি আর টেলিটকের চাপ সামলাতে না পারার দায় নিতে হচ্ছে তাঁদের।
সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) বলছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রক্রিয়া শেষ করতে যাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন তাঁদের বিষয়টি আমলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর টেলিটক কর্তৃপক্ষ বলছে, শেষ মুহূর্তের চাপের কারণে সাড়ে ১১ হাজার প্রার্থী টাকা জমা দিতে পারেননি। তবে এ বিষয়ে পিএসসির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
চার হাজার ২০৬টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য গত ২৮ মার্চ ৩৩তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এবারই প্রথম অনলাইন পদ্ধতিতে আবেদনপত্র নিচ্ছে পিএসসি। এ জন্য পিএসসির ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হয়েছে। এরপর টেলিটকে বার্তা পাঠিয়ে ৫০০ টাকা জমা দিতে হয়েছে। গত ৮ মার্চ সকাল ১০টা থেকে আবেদনপত্র জমাদান শুরু হয়ে ৭ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলে। তবে শেষ কয়েক দিনে টেলিটকে টাকা পাঠাতে ভোগান্তির শিকার হন অনেক প্রার্থী। অনেকে বারবার বার্তা পাঠালেও টাকা জমা দিতে পারেননি। নির্ধারিত সময়ে এক লাখ ৮৩ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থী যথাযথভাবে আবেদন করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করা আকরামুল হক জানান, ৫ এপ্রিল তিনি অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দেন। এরপর শুক্রবার রাত থেকে মুঠোফোনে বার্তা পাঠিয়ে টাকা জমা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শুক্র ও শনিবার সারা দিন চেষ্টা করেও টাকা জমা দিতে পারেননি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তৌহিদুর রহমানও একই অভিযোগ করেছেন। আরেক প্রার্থী হুমায়ুন রাশেদ বলেন, ‘অনলাইনে আবেদন করার পর আমি ৫ এপ্রিল পিনকোড পেয়েছি। কিন্তু বারবার চেষ্টা করার পরেও টাকা কাটেনি।’
জানতে চাইলে টেলিটকের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত কয়েক বছরের আবেদনকারী দেখে আমরা ধারণা করেছিলাম, এবারও হয়তো পৌনে দুই লাখ প্রার্থী আবেদন করবেন। কিন্তু অনলাইনে একেকজন প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য কিংবা সংশোধনের জন্য বারবার আবেদন করায় ১৩ লাখ আবেদন পড়ে। আবেদন-প্রক্রিয়া শুরুর পর প্রথম দিকে গড়ে হাজার দুয়েক করে টাকা পাঠানোর জন্য আবেদন করলেও শেষ দুই দিনে ২০ থেকে ২৫ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। এর ফলে অনেককেই বার্তা পেতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। শেষ মুহূর্তে নির্ধারিত সময়ে ১১ হাজার ৫৭৩ জন প্রার্থী টাকা জমা দিতে পারেননি।’ এ জন্য টেলিটকের সমস্যা দায়ী কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সফলভাবেই সব প্রক্রিয়া শেষ করেছি।’
সূত্র জানায়, অনলাইনে আবেদন আর টাকা জমা দেওয়ার আবেদন একই সময়ে করার কারণেই এ সমস্যা হয়েছে। শেষ দুই দিনে প্রচণ্ড চাপ পড়লে টেলিটকের কর্মকর্তারা আবেদন করার সময় ঠিক রেখে টাকা জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর জন্য পিএসসি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান। কিন্তু পিএসসি রাজি হয়নি। একপর্যায়ে নির্ধারিত সময়ে যাঁরা আবেদন করেছেন কিন্তু টাকা জমা দিতে পারেননি, তাঁদের প্রক্রিয়াটি শেষ করার সময় চায় টেলিটক। পিএসসি তাতেও রাজি হয়নি।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ ই ম নেছারউদ্দিন জানিয়েছেন, ৩৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি জারির সময় বলা হয়েছিল, অবশ্যই ৭ এপ্রিলের মধ্যে আবেদনপত্র পূরণ ও টেলিটকে নির্ধারিত টাকা জমা দিতে হবে। শেষ দিকে চাপ পড়তে পারে—এমন আশঙ্কায় প্রার্থীদের শেষ দিনের অপেক্ষায় না থেকে আগেই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বারবার সতর্ক করা হয়। ১৪ মার্চ পিএসসি থেকে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তখনো বলা হয়, নির্ধারিত সময়ে যাঁরা আবেদন পূরণ ও টাকা জমা দিতে পারবেন না, তাঁদের আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। কাজেই এখন যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদের আবেদন আমলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
পিএসসির এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আবদুল মালেক নামের একজন প্রার্থী বলেন, ‘যদি শেষ দিনে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গিয়ে লম্বা লাইন হয়, তাহলে কী করা হয়? সবার টাকাই তো নেওয়া হয়। এটিও তো সেই একই ব্যাপার। কাজেই আইন অনুযায়ী আমরা সুযোগের দাবিদার।’
যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বার্তা পাঠালেও আবেদন-প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেননি, তাঁদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে ৩৩তম বিসিএসের দায়িত্বে থাকা পিএসসির সদস্য কাজী নাসিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা পিএসসি থেকে বারবার পরীক্ষার্থীদের বলেছি নির্ধারিত সময়ে আবেদন করতে। কাজেই যাঁরা নির্ধারিত সময়ে আবেদন করতে পারেননি, তাঁদের বিষয়ে আমরা আইন অনুযায়ী কিছুই করতে পারি না।’
সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) বলছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রক্রিয়া শেষ করতে যাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন তাঁদের বিষয়টি আমলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর টেলিটক কর্তৃপক্ষ বলছে, শেষ মুহূর্তের চাপের কারণে সাড়ে ১১ হাজার প্রার্থী টাকা জমা দিতে পারেননি। তবে এ বিষয়ে পিএসসির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
চার হাজার ২০৬টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য গত ২৮ মার্চ ৩৩তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এবারই প্রথম অনলাইন পদ্ধতিতে আবেদনপত্র নিচ্ছে পিএসসি। এ জন্য পিএসসির ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হয়েছে। এরপর টেলিটকে বার্তা পাঠিয়ে ৫০০ টাকা জমা দিতে হয়েছে। গত ৮ মার্চ সকাল ১০টা থেকে আবেদনপত্র জমাদান শুরু হয়ে ৭ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলে। তবে শেষ কয়েক দিনে টেলিটকে টাকা পাঠাতে ভোগান্তির শিকার হন অনেক প্রার্থী। অনেকে বারবার বার্তা পাঠালেও টাকা জমা দিতে পারেননি। নির্ধারিত সময়ে এক লাখ ৮৩ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থী যথাযথভাবে আবেদন করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করা আকরামুল হক জানান, ৫ এপ্রিল তিনি অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দেন। এরপর শুক্রবার রাত থেকে মুঠোফোনে বার্তা পাঠিয়ে টাকা জমা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শুক্র ও শনিবার সারা দিন চেষ্টা করেও টাকা জমা দিতে পারেননি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তৌহিদুর রহমানও একই অভিযোগ করেছেন। আরেক প্রার্থী হুমায়ুন রাশেদ বলেন, ‘অনলাইনে আবেদন করার পর আমি ৫ এপ্রিল পিনকোড পেয়েছি। কিন্তু বারবার চেষ্টা করার পরেও টাকা কাটেনি।’
জানতে চাইলে টেলিটকের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত কয়েক বছরের আবেদনকারী দেখে আমরা ধারণা করেছিলাম, এবারও হয়তো পৌনে দুই লাখ প্রার্থী আবেদন করবেন। কিন্তু অনলাইনে একেকজন প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য কিংবা সংশোধনের জন্য বারবার আবেদন করায় ১৩ লাখ আবেদন পড়ে। আবেদন-প্রক্রিয়া শুরুর পর প্রথম দিকে গড়ে হাজার দুয়েক করে টাকা পাঠানোর জন্য আবেদন করলেও শেষ দুই দিনে ২০ থেকে ২৫ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। এর ফলে অনেককেই বার্তা পেতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। শেষ মুহূর্তে নির্ধারিত সময়ে ১১ হাজার ৫৭৩ জন প্রার্থী টাকা জমা দিতে পারেননি।’ এ জন্য টেলিটকের সমস্যা দায়ী কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সফলভাবেই সব প্রক্রিয়া শেষ করেছি।’
সূত্র জানায়, অনলাইনে আবেদন আর টাকা জমা দেওয়ার আবেদন একই সময়ে করার কারণেই এ সমস্যা হয়েছে। শেষ দুই দিনে প্রচণ্ড চাপ পড়লে টেলিটকের কর্মকর্তারা আবেদন করার সময় ঠিক রেখে টাকা জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর জন্য পিএসসি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান। কিন্তু পিএসসি রাজি হয়নি। একপর্যায়ে নির্ধারিত সময়ে যাঁরা আবেদন করেছেন কিন্তু টাকা জমা দিতে পারেননি, তাঁদের প্রক্রিয়াটি শেষ করার সময় চায় টেলিটক। পিএসসি তাতেও রাজি হয়নি।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ ই ম নেছারউদ্দিন জানিয়েছেন, ৩৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি জারির সময় বলা হয়েছিল, অবশ্যই ৭ এপ্রিলের মধ্যে আবেদনপত্র পূরণ ও টেলিটকে নির্ধারিত টাকা জমা দিতে হবে। শেষ দিকে চাপ পড়তে পারে—এমন আশঙ্কায় প্রার্থীদের শেষ দিনের অপেক্ষায় না থেকে আগেই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বারবার সতর্ক করা হয়। ১৪ মার্চ পিএসসি থেকে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তখনো বলা হয়, নির্ধারিত সময়ে যাঁরা আবেদন পূরণ ও টাকা জমা দিতে পারবেন না, তাঁদের আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। কাজেই এখন যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদের আবেদন আমলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
পিএসসির এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আবদুল মালেক নামের একজন প্রার্থী বলেন, ‘যদি শেষ দিনে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গিয়ে লম্বা লাইন হয়, তাহলে কী করা হয়? সবার টাকাই তো নেওয়া হয়। এটিও তো সেই একই ব্যাপার। কাজেই আইন অনুযায়ী আমরা সুযোগের দাবিদার।’
যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বার্তা পাঠালেও আবেদন-প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেননি, তাঁদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে ৩৩তম বিসিএসের দায়িত্বে থাকা পিএসসির সদস্য কাজী নাসিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা পিএসসি থেকে বারবার পরীক্ষার্থীদের বলেছি নির্ধারিত সময়ে আবেদন করতে। কাজেই যাঁরা নির্ধারিত সময়ে আবেদন করতে পারেননি, তাঁদের বিষয়ে আমরা আইন অনুযায়ী কিছুই করতে পারি না।’
No comments