নারীনেত্রী ফওজিয়া সামাদ by সালাম মাহমুদ
নারীনেত্রী বেগম ফওজিয়া সামাদ আসামের তদানীন্তন রাজধানী শিলংয়ে ১৯২৯ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সফর আলী এবং মা আজিজুন নেছা। বাবা চাকরি করতেন ব্রিটিশ প্রশাসনের উচ্চপদে। চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করার পর সফর আলী সপরিবারে মাতৃভূমি সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার থইগাঁও গ্রামে চলে আসেন।
বেগম ফওজিয়া সামাদ ১৯৪৬ সালে সিলেটে মুকুল ফৌজ গঠন করেন এবং মুকুল ফৌজের পরিচালক হিসেবে দক্ষতার সঙ্গে ছাত্রছাত্রী উভয় শাখারই নেতৃত্ব দেন। পড়ালেখা শেষে তিনি ১৯৪৭ সালে সিলেট গভর্নমেন্ট গার্লস হাইস্কুলে শিক্ষয়িত্রী হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪৭ সালে সর্বপ্রথম সিলেটে বেগম ফওজিয়া সামাদের নেতৃত্বে এইডেড হাইস্কুলে তিন দিনব্যাপী মুকুল ফৌজের সাহিত্য সম্মেলন ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৪৮ সালে এ দেশের বিখ্যাত বীমা বিশেষজ্ঞ বিজিআইসির প্রতিষ্ঠাতা এমএ সামাদের সঙ্গে বেগম ফওজিয়া সামাদ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৪৯ সাল থেকে ফওজিয়া সামাদ শিশু-কিশোরদের সাহিত্য পত্রিকা মাসিক 'মিনার' সম্পাদনা করেন। 'মিনার'কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল শিশু-কিশোরদের প্রিয় সংগঠন 'চাঁদের হাট'। আর এ চাঁদের হাটের নেতৃত্ব দিতেন বেগম ফওজিয়া সামাদ। একই সময় বেগম ফওজিয়া সামাদ সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন রেডিও পাকিস্তানে শিশু-কিশোরদের অনুষ্ঠান 'খেলাঘর' পরিচালনা করে। তারপর ধারাবাহিকভাবে পরিচালনা করতেন মহিলা বিভাগের অনুষ্ঠান 'মহিলা মাহফিল'। চাকরিসূত্রে এমএ সামাদের সঙ্গে চট্টগ্রামে যাওয়ার পর ১৯৫৩ সালে নারী সমিতি গঠন করা হয় এবং তিনি সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হন। অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে নারী সমিতি পরিচালনা করা অবস্থায় ১৯৫৬ সালে মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য মনোনীত হন। ১৯৬৩ সালে তার পরিবার আবার ঢাকায় চলে আসে।
১৯৭৩ সালে বেগম ফওজিয়া সামাদ ঢাকা লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী হন। ১৯৮৫ সালে তিনি বঞ্চিত দরিদ্র শিশু-কিশোরদের শিক্ষা অর্জনের কথা চিন্তা করে 'কুসুমকলি' নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। 'কুসুমকলি' স্কুলের নয়টি শাখা রয়েছে। শাখাগুলো হলো ঢাকার লালমাটিয়া এলাকায় দুটি, ধানমণ্ডির রায়ের বাজারে একটি, শ্যামলীতে একটি, ফার্মগেট ইন্দিরা রোডে একটি, রামপুরা উলন এলাকায় দুটি, গিলগাঁও গোড়ান এলাকায় দুটি।
বেগম ফওজিয়া সামাদের ইন্তেকালের পর 'কুসুমকলি' স্কুলের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সে ব্যবস্থাও তিনি করে গেছেন। একটানা ৩৮ বছর অর্থাৎ তিন যুগের অধিক সময় লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এক বিরল সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এক পুত্র ও তিন কন্যা এবং নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে বেগম ফওজিয়া সামাদ গত বছরের ২৫ এপ্রিল সিঙ্গাপুরের গ্গ্ন্যানিকেল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯৪৮ সালে এ দেশের বিখ্যাত বীমা বিশেষজ্ঞ বিজিআইসির প্রতিষ্ঠাতা এমএ সামাদের সঙ্গে বেগম ফওজিয়া সামাদ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৪৯ সাল থেকে ফওজিয়া সামাদ শিশু-কিশোরদের সাহিত্য পত্রিকা মাসিক 'মিনার' সম্পাদনা করেন। 'মিনার'কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল শিশু-কিশোরদের প্রিয় সংগঠন 'চাঁদের হাট'। আর এ চাঁদের হাটের নেতৃত্ব দিতেন বেগম ফওজিয়া সামাদ। একই সময় বেগম ফওজিয়া সামাদ সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন রেডিও পাকিস্তানে শিশু-কিশোরদের অনুষ্ঠান 'খেলাঘর' পরিচালনা করে। তারপর ধারাবাহিকভাবে পরিচালনা করতেন মহিলা বিভাগের অনুষ্ঠান 'মহিলা মাহফিল'। চাকরিসূত্রে এমএ সামাদের সঙ্গে চট্টগ্রামে যাওয়ার পর ১৯৫৩ সালে নারী সমিতি গঠন করা হয় এবং তিনি সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হন। অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে নারী সমিতি পরিচালনা করা অবস্থায় ১৯৫৬ সালে মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য মনোনীত হন। ১৯৬৩ সালে তার পরিবার আবার ঢাকায় চলে আসে।
১৯৭৩ সালে বেগম ফওজিয়া সামাদ ঢাকা লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী হন। ১৯৮৫ সালে তিনি বঞ্চিত দরিদ্র শিশু-কিশোরদের শিক্ষা অর্জনের কথা চিন্তা করে 'কুসুমকলি' নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। 'কুসুমকলি' স্কুলের নয়টি শাখা রয়েছে। শাখাগুলো হলো ঢাকার লালমাটিয়া এলাকায় দুটি, ধানমণ্ডির রায়ের বাজারে একটি, শ্যামলীতে একটি, ফার্মগেট ইন্দিরা রোডে একটি, রামপুরা উলন এলাকায় দুটি, গিলগাঁও গোড়ান এলাকায় দুটি।
বেগম ফওজিয়া সামাদের ইন্তেকালের পর 'কুসুমকলি' স্কুলের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সে ব্যবস্থাও তিনি করে গেছেন। একটানা ৩৮ বছর অর্থাৎ তিন যুগের অধিক সময় লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এক বিরল সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এক পুত্র ও তিন কন্যা এবং নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে বেগম ফওজিয়া সামাদ গত বছরের ২৫ এপ্রিল সিঙ্গাপুরের গ্গ্ন্যানিকেল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
No comments