উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর সম্মানজনক পুনর্বাসন by মোহাম্মদ হাসান
ক্যাম্পে বসবাসরত সংখ্যালঘু উর্দু-ভাষী জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে দায়েরকৃত এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৫ মে ২০০৩ সালে মহামান্য হাইকোর্ট তার এক রায়ে ‘ক্যাম্পে বসবাসকারী উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীকে এদেশের নাগরিক অভিহিত করে তাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ প্রদান করেন।’
এ রায়ের ফলে এ জনগোষ্ঠীর এ দেশের সংবিধানে বর্ণিত সব মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার অর্জনের দ্বার উন্মোচিত হয়। এ ঐতিহাসিক রায় সে সময় ক্যাম্পে বসবাসকারী যুব প্রজন্মের কাছে আশার সঞ্চার করেছিল। শুধু তাই নয়, এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগে। জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি মহল নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার ও নেতৃত্ব ধরে রাখার লক্ষ্যে নাগরিকত্বের বিষয়টিকে দীর্ঘ ৩৫ বছর এ জনগোষ্ঠী থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল। মূলত তারাই এ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের পক্ষে প্রাথমিক বাধা। ২০০৩ সালের পর তারা দিশেহারা হয়ে যুব প্রজন্মের অধিকার আদায়ের এ আন্দোলনকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। কিন্তু যুব প্রজন্ম তাদের সব কিছু প্রতিহত করে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে তাদের গঠনমূলক আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরিক, সুশীল সমাজ এবং বুদ্ধিজীবীদের একাংশের সহযোগিতা ধন্যবাদের সঙ্গে স্মরণীয়।
২০০৭ সালে দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য গঠিত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তাদের প্রথম কাজ ছিল নাগরিকদের জন্য স্বচ্ছ ও নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন। এর সঙ্গে সঙ্গে দেশের ৩৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়ন কার্যক্রম শুরু। সেই কার্যক্রমে ক্যাম্পে বসবাসকারী এ জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় এক ধরনের অনির্ধারিত বিতর্ক। সরকারের প্রশাসন যন্ত্র এবং প্রথিতযশা আইনজীবীদের একটি অংশের মত ছিল ২০০৩ সালের রায়টি সবার জন্য প্রযোজ্য নয়, তাই সবাইকে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের আওতায় আনা যাবে না। তদুপরি ক্যাম্পে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির জন্য অন্যান্যের সঙ্গে যুব প্রজন্মও এ বিষয়ে সোচ্চার থাকে। সে সময়ে দেশের প্রচার মাধ্যমের সহযোগিতাও ধন্যবাদের সঙ্গে স্মরণীয়।
যখন ক্যাম্পবাসী উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীকে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রে অন্তর্ভুক্তি করা হচ্ছে না এবং বঞ্চনার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেছে, ঠিক তখনই ২০০৭ সালে জনগোষ্ঠীর অপর ১১ জন আবারও মহামান্য হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়। ২০০৮ সালের ১৮ মে মহামান্য আদালত পুনরায় এক রায়ে এ জনগোষ্ঠীর সবাইকে বাংলাদেশের নাগরিক উল্লেখ করে যারা ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে ইচ্ছুক তাদের সবাইকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনার নির্দেশ প্রদান করেন। সঙ্গে সঙ্গে যারা নিজেকে আটকেপড়া পাকিস্তানি হিসেবে গণ্য করে তাদেরকে নিজস্ব ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ দেন মহামান্য আদালত।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে যখন দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তখন এই প্রথমবারের মতো এ জনগোষ্ঠীর একটি সিংহ ভাগ নিজেদের রাজনৈতিক অধিকার চর্চার অংশ হিসেবে ভোট প্রদানে সক্ষম হয়। আশার বিষয় হচ্ছে, এই প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন করেছেন। সে সময়ে তারা নানা ধরনের আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন।
১১ জানুয়ারি ২০০৯ তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাদের দীর্ঘ এবং অনির্দিষ্টকালীন অধ্যায়ের ইতি টেনে সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ১৪ দলীয় মহাজোটের কালে ক্ষমতা স্থানান্তর করে। গঠিত হয় বহু প্রতীক্ষিত একটি নির্বাচিত ও গণতান্ত্রিক সরকার। তাই আমি পুনরায় স্মরণ করতে চাই মাইনরিটি রাইটস গ্রুপের প্রধান বেন ওয়াইটেকারের উক্তিটিকে। ‘যে দেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী যত বেশি সুরক্ষিত সে দেশে গণতন্ত্র তত বেশি সুসংহত।’
এ জনগোষ্ঠীর বসবাসের অবস্থা একটু আলোচনা করলে দেখা যাবে, ১৯৭২ সাল থেকে এ জনগোষ্ঠী ক্যাম্পের মতো একটি অস্থায়ী আবাসস্থলে বসবাস করছে। ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোয় অবস্থিত ক্যাম্পগুলোয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকরির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদার অপ্রতুল ব্যবস্থা। উপজেলা বা জেলা শহরগুলোয় অবস্থিত ক্যাম্পগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। তাদের পক্ষ হয়ে কথা বলার কেউ নেই। চাকরি, কর্মসংস্থান এবং কাজের অভাবে সেসব এলাকার ক্যাম্পবাসী একবেলা অথবা আধবেলা খেয়ে কোনো রকম জীবন অতিবাহিত করছে। এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা নেই বললেই চলে। শিক্ষার হার মাত্র ৭ কিংবা ৮ ভাগ। শিক্ষার অভাবে আর দরিদ্রতার কারণে বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক ব্যাধি প্রকট। বাংলাদেশ সর্বজনীন মানবাধিকার সনদ, শিশু অধিকার সনদ ও নারীর অধিকার রক্ষা (সিডো) অনুস্বাক্ষরকৃত একটি দেশ, যা অবশ্যই দেশের জনগণের অধিকার রক্ষার অংশ হিসেবে তাদের পক্ষে স্বাক্ষরিত হয়েছে। কিন্তু মনে হয় সেই সনদে এ জনগোষ্ঠীর জন্য কোনো স্থান নেই। সনদের কোনোটাই প্রযোজ্য হচ্ছে না এ জনগোষ্ঠীর জন্য। আজও এ জনগোষ্ঠীকে থাকতে হচ্ছে সেই অস্থায়ী ঠিকানা ক্যাম্পে। দীর্ঘ আইনি ও গঠনমূলক লড়াইয়ের মাধ্যমে নাগরিক অধিকার অর্জনের পরও শুধু মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বয়হীনতার কারণে এ জনগোষ্ঠী পাসপোর্টের মতো একটি সাধারণ কিন্তু অতি প্রয়োজনীয় একটি দলিল অর্জন থেকে বঞ্চিত। বঞ্চনা আর অধিকার হরনের এ অবস্থা আর কতদিন পর্যন্ত চলবে? এখানে আরেকটি বিষয়ে উল্লেখ্য, শুধু ঢাকা শহরে অবস্থিত ক্যাম্পগুলোর উন্নয়ন হলেই সারা দেশে অবস্থিত ক্যাম্পগুলোর উন্নয়ন হবে এমন ভাবার কোনো উপায় নেই। তাই পুরো জনগোষ্ঠীর মর্যাদার সঙ্গে পুনর্বাসনের প্রয়াসকে যৌক্তিক ও ফলপ্রসূ করতে হলে তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়নের জন্য একটি কৌশলপত্র তৈরি ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা খুবই জরুরি, যাতে করে এ জনগোষ্ঠী এদেশের মূলস্রোতের সঙ্গে মিশে জাতীয় উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখতে পারে। এ জন্য প্রয়োজন সরকার, বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ও দাতা দেশের অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা। ওই বিষয়কে ত্বরান্বিত করতে আরো প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছার।
উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর মর্যাদার সঙ্গে পুনর্বাসন এখন সময়ের দাবি।
লেখক : মহাসচিব, উর্দুভাষী যুব প্রজন্ম অ্যাসোসিয়েশন
e-mail: hasanhr@gmail.com
২০০৭ সালে দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য গঠিত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তাদের প্রথম কাজ ছিল নাগরিকদের জন্য স্বচ্ছ ও নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন। এর সঙ্গে সঙ্গে দেশের ৩৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়ন কার্যক্রম শুরু। সেই কার্যক্রমে ক্যাম্পে বসবাসকারী এ জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় এক ধরনের অনির্ধারিত বিতর্ক। সরকারের প্রশাসন যন্ত্র এবং প্রথিতযশা আইনজীবীদের একটি অংশের মত ছিল ২০০৩ সালের রায়টি সবার জন্য প্রযোজ্য নয়, তাই সবাইকে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের আওতায় আনা যাবে না। তদুপরি ক্যাম্পে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির জন্য অন্যান্যের সঙ্গে যুব প্রজন্মও এ বিষয়ে সোচ্চার থাকে। সে সময়ে দেশের প্রচার মাধ্যমের সহযোগিতাও ধন্যবাদের সঙ্গে স্মরণীয়।
যখন ক্যাম্পবাসী উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীকে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রে অন্তর্ভুক্তি করা হচ্ছে না এবং বঞ্চনার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেছে, ঠিক তখনই ২০০৭ সালে জনগোষ্ঠীর অপর ১১ জন আবারও মহামান্য হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়। ২০০৮ সালের ১৮ মে মহামান্য আদালত পুনরায় এক রায়ে এ জনগোষ্ঠীর সবাইকে বাংলাদেশের নাগরিক উল্লেখ করে যারা ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে ইচ্ছুক তাদের সবাইকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনার নির্দেশ প্রদান করেন। সঙ্গে সঙ্গে যারা নিজেকে আটকেপড়া পাকিস্তানি হিসেবে গণ্য করে তাদেরকে নিজস্ব ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ দেন মহামান্য আদালত।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে যখন দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তখন এই প্রথমবারের মতো এ জনগোষ্ঠীর একটি সিংহ ভাগ নিজেদের রাজনৈতিক অধিকার চর্চার অংশ হিসেবে ভোট প্রদানে সক্ষম হয়। আশার বিষয় হচ্ছে, এই প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন করেছেন। সে সময়ে তারা নানা ধরনের আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন।
১১ জানুয়ারি ২০০৯ তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাদের দীর্ঘ এবং অনির্দিষ্টকালীন অধ্যায়ের ইতি টেনে সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ১৪ দলীয় মহাজোটের কালে ক্ষমতা স্থানান্তর করে। গঠিত হয় বহু প্রতীক্ষিত একটি নির্বাচিত ও গণতান্ত্রিক সরকার। তাই আমি পুনরায় স্মরণ করতে চাই মাইনরিটি রাইটস গ্রুপের প্রধান বেন ওয়াইটেকারের উক্তিটিকে। ‘যে দেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী যত বেশি সুরক্ষিত সে দেশে গণতন্ত্র তত বেশি সুসংহত।’
এ জনগোষ্ঠীর বসবাসের অবস্থা একটু আলোচনা করলে দেখা যাবে, ১৯৭২ সাল থেকে এ জনগোষ্ঠী ক্যাম্পের মতো একটি অস্থায়ী আবাসস্থলে বসবাস করছে। ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোয় অবস্থিত ক্যাম্পগুলোয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকরির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদার অপ্রতুল ব্যবস্থা। উপজেলা বা জেলা শহরগুলোয় অবস্থিত ক্যাম্পগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। তাদের পক্ষ হয়ে কথা বলার কেউ নেই। চাকরি, কর্মসংস্থান এবং কাজের অভাবে সেসব এলাকার ক্যাম্পবাসী একবেলা অথবা আধবেলা খেয়ে কোনো রকম জীবন অতিবাহিত করছে। এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা নেই বললেই চলে। শিক্ষার হার মাত্র ৭ কিংবা ৮ ভাগ। শিক্ষার অভাবে আর দরিদ্রতার কারণে বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক ব্যাধি প্রকট। বাংলাদেশ সর্বজনীন মানবাধিকার সনদ, শিশু অধিকার সনদ ও নারীর অধিকার রক্ষা (সিডো) অনুস্বাক্ষরকৃত একটি দেশ, যা অবশ্যই দেশের জনগণের অধিকার রক্ষার অংশ হিসেবে তাদের পক্ষে স্বাক্ষরিত হয়েছে। কিন্তু মনে হয় সেই সনদে এ জনগোষ্ঠীর জন্য কোনো স্থান নেই। সনদের কোনোটাই প্রযোজ্য হচ্ছে না এ জনগোষ্ঠীর জন্য। আজও এ জনগোষ্ঠীকে থাকতে হচ্ছে সেই অস্থায়ী ঠিকানা ক্যাম্পে। দীর্ঘ আইনি ও গঠনমূলক লড়াইয়ের মাধ্যমে নাগরিক অধিকার অর্জনের পরও শুধু মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বয়হীনতার কারণে এ জনগোষ্ঠী পাসপোর্টের মতো একটি সাধারণ কিন্তু অতি প্রয়োজনীয় একটি দলিল অর্জন থেকে বঞ্চিত। বঞ্চনা আর অধিকার হরনের এ অবস্থা আর কতদিন পর্যন্ত চলবে? এখানে আরেকটি বিষয়ে উল্লেখ্য, শুধু ঢাকা শহরে অবস্থিত ক্যাম্পগুলোর উন্নয়ন হলেই সারা দেশে অবস্থিত ক্যাম্পগুলোর উন্নয়ন হবে এমন ভাবার কোনো উপায় নেই। তাই পুরো জনগোষ্ঠীর মর্যাদার সঙ্গে পুনর্বাসনের প্রয়াসকে যৌক্তিক ও ফলপ্রসূ করতে হলে তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়নের জন্য একটি কৌশলপত্র তৈরি ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা খুবই জরুরি, যাতে করে এ জনগোষ্ঠী এদেশের মূলস্রোতের সঙ্গে মিশে জাতীয় উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখতে পারে। এ জন্য প্রয়োজন সরকার, বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ও দাতা দেশের অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা। ওই বিষয়কে ত্বরান্বিত করতে আরো প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছার।
উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর মর্যাদার সঙ্গে পুনর্বাসন এখন সময়ের দাবি।
লেখক : মহাসচিব, উর্দুভাষী যুব প্রজন্ম অ্যাসোসিয়েশন
e-mail: hasanhr@gmail.com
No comments