নিরাপত্তার স্বার্থেই ভবনটি ভেঙে ফেলা দরকার-মাথার ওপর বাড়ি পড়োপড়ো
জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যে আশ্রয়কেন্দ্রটি বানানো হয়েছিল, সেটাই এখন জননিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নোয়াখালীর সদর উপজেলার আশ্বদিয়া ইউনিয়নের একটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের অবস্থা এমনই জীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, তা যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে।
সমস্যা সেখানে নয়, সমস্যা হচ্ছে, ভবনটি একটি স্কুলের পাশে, এর নিচ দিয়ে ও পাশের রাস্তা দিয়ে চলাচল করে স্কুলের শিশুরা। অন্য পাশেও একটি রাস্তা রয়েছে, জনগণের চলাচলের জন্য। ভবনটি ভেঙে পড়লে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
স্কুলের শিশুরা ও এলাকাবাসী বিপদের কথা জানে, কিন্তু স্কুলে না এসে আর রাস্তা দিয়ে চলাচল না করে উপায় কী! ‘আমরা প্রতিদিন স্কুলে ঢোকার মুহূর্তে ভীষণ ভয়ের মধ্যে থাকি, কখন যে পাশের তিনতলা ভবনটি আমাদের ওপর ভেঙে পড়ে। এর পরও প্রতিদিন ভবনটির নিচ ও পাশ দিয়েই স্কুলে যাতায়াত করি।’ কতটা অসহায় অবস্থার মধ্যে রয়েছে কালাচাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা!
’৭২-৭৩ সালে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রটির অধিকাংশ কলামের ঢালাই খসে পড়েছে, বের হওয়া রডও অনেক কলাম থেকে খুলে নিয়ে গেছে চোরেরা। ভবনটি যেকোনো সময় ধসে পড়বে, তা বুঝতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। প্রথম আলোর বিশাল বাংলা পাতায় ছাপা হওয়া ছবিটি দেখলেই বোঝা যাবে, কী রকম মূর্তিমান আতঙ্ক হিসেবে আশ্রয়কেন্দ্রটি দাঁড়িয়ে আছে। ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে আড়াই বছরের বেশি সময় আগে। জনগণের প্রতি এই বিপজ্জনক ভবনটির পাশ দিয়ে চলাচল না করার অনুরোধ করা হয়েছে একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে। ব্যস, সব দায়িত্ব শেষ!
পরিত্যক্ত এই আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে প্রতিবেদন ও ছবি ছাপা হওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসনের টনক নড়বে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়। যদি নড়ে, তবে অন্তত ৩৪০ জন ছাত্রছাত্রীকে প্রতিদিন আতঙ্কের মধ্যে স্কুলে যেতে হবে না। স্থানীয় লোকজনও পাশের রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে পারবে স্বস্তি নিয়ে।
স্কুলের শিশুরা ও এলাকাবাসী বিপদের কথা জানে, কিন্তু স্কুলে না এসে আর রাস্তা দিয়ে চলাচল না করে উপায় কী! ‘আমরা প্রতিদিন স্কুলে ঢোকার মুহূর্তে ভীষণ ভয়ের মধ্যে থাকি, কখন যে পাশের তিনতলা ভবনটি আমাদের ওপর ভেঙে পড়ে। এর পরও প্রতিদিন ভবনটির নিচ ও পাশ দিয়েই স্কুলে যাতায়াত করি।’ কতটা অসহায় অবস্থার মধ্যে রয়েছে কালাচাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা!
’৭২-৭৩ সালে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রটির অধিকাংশ কলামের ঢালাই খসে পড়েছে, বের হওয়া রডও অনেক কলাম থেকে খুলে নিয়ে গেছে চোরেরা। ভবনটি যেকোনো সময় ধসে পড়বে, তা বুঝতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। প্রথম আলোর বিশাল বাংলা পাতায় ছাপা হওয়া ছবিটি দেখলেই বোঝা যাবে, কী রকম মূর্তিমান আতঙ্ক হিসেবে আশ্রয়কেন্দ্রটি দাঁড়িয়ে আছে। ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে আড়াই বছরের বেশি সময় আগে। জনগণের প্রতি এই বিপজ্জনক ভবনটির পাশ দিয়ে চলাচল না করার অনুরোধ করা হয়েছে একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে। ব্যস, সব দায়িত্ব শেষ!
পরিত্যক্ত এই আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে প্রতিবেদন ও ছবি ছাপা হওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসনের টনক নড়বে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়। যদি নড়ে, তবে অন্তত ৩৪০ জন ছাত্রছাত্রীকে প্রতিদিন আতঙ্কের মধ্যে স্কুলে যেতে হবে না। স্থানীয় লোকজনও পাশের রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে পারবে স্বস্তি নিয়ে।
No comments