ঝিঁঝি পোকার নামে খেলা -গবেষণার এখনই সময়
নামকরণের সার্থকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অমুক কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বর্ণনা করো—এসএসসি পরীক্ষায় প্রায়ই এ প্রশ্নটি আসে। শুধু গল্প-কবিতার ক্ষেত্রে নামকরণের সার্থকতা থাকবে, আর অন্য ক্ষেত্রে থাকবে না, তা নয়। ক্রীড়াক্ষেত্রেও নামকরণের সার্থকতা বিদ্যমান। যেমন ফুটবল। ফুট একটি ইংরেজি শব্দ।
এর বাংলা অর্থ হলো পা অথবা ঠ্যাং। পা দিয়ে লাথি মেরে বল খেলা হয় বলে খেলাটির নাম ফুটবল। কিংবা কানামাছির কথাই ধরুন। খেলাটিতে কোনো অন্ধ মাছি থাকে না। কিন্তু একজনকে চোখ বেঁধে ছেড়ে দেওয়ার পর সে মাছির মতো এদিক-ওদিক ঘুরতে থাকে বলে খেলাটির নাম দেওয়া হয়েছে কানামাছি। নামের সঙ্গে খেলার একটা মিল আছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে, ক্রিকেট খেলাটির নামকরণ করা হয়েছে একটা পোকার নামে! ক্রিকেট মানে ঝিঁঝি পোকা। কিন্তু ক্রিকেট খেলতে লাগে ব্যাট-বল-স্টাম্প; ঝিঁঝি পোকা লাগে না। ঝিঁঝি পোকারা দূর-দূরান্ত থেকে ক্রিকেট খেলাও দেখতে আসে না। তা ছাড়া ক্রিকেট নামটির সঙ্গে খেলাটির কোনো মিলও নেই। এত সুন্দর একটি খেলা, অথচ সামান্য ঝিঁঝি পোকার নামে এর নামকরণ করা হয়েছে, ভাবতেই মাথা ঝিঁঝি করে ওঠে। পৃথিবীতে লাখ লাখ পোকামাকড় আছে। কিন্তু এত পোকা থাকতে কেন ঝিঁঝি পোকার নামে একটি খেলার নামকরণ করা হলো, সে এক বিরাট রহস্য। তেলাপোকা, ছারপোকা, গান্ধিপোকারা জনগণের বন্ধু। তাদের নামেও তো খেলার নাম দেওয়া যেত। এত পোকা থাকতে কেন ঝিঁঝি পোকাকেই প্রাধান্য দেওয়া হলো, কিংবা খেলাটির সঙ্গে আদৌ ঝিঁঝি পোকার কোনো সম্পর্ক আছে কি না, এ নিয়ে সুষ্ঠু গবেষণা করা উচিত গবেষকদের। নির্দিষ্ট একটি পোকাকে লাইম লাইটে এনে বাকি পোকাদের অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া রীতিমতো অপরাধের শামিল। অতএব, সঠিক গবেষণার মাধ্যমে বিষয়টির আশু সমাধানে কর্তৃপক্ষের ত্বরিত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
প্রচ্ছদ: মেহেদী হক
প্রচ্ছদ: মেহেদী হক
No comments