আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই-হরতালে সরকারি দলের কী কাজ?
বিরোধী দল আহূত যেকোনো হরতালে যাতে কোনো অঘটন না ঘটে, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়, সে জন্য সরকার অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্য মোতায়েন করে থাকে। অন্যান্য ক্ষেত্রে তারা অপরাধীদের পাকড়াও করতে ব্যর্থ হলেও হরতালের দায়িত্ব পালনে বরাবর কৃতিত্ব দেখিয়ে এসেছে।
ইদানীং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যদের মারমুখী আচরণের কারণে হরতালের সময় বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা রাজপথে নামতেই পারছেন না। অর্থাৎ হরতালকারীদের ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাই যথেষ্ট।
কিন্তু আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, হরতালের সময় সরকারি দল তথা তাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগ রাজপথে যে দৌরাত্ম্য দেখাচ্ছে, তা জনমনে ভীতির সঞ্চার করছে। আরও দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হলো, অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যরা এই ‘ক্ষমতার বরপুত্র’দের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। কখনো কখনো সরকারি দলের কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পার্থক্য করা কঠিন হয়ে পড়ে।
গত সোমবার সিলেটের বিশ্বনাথে পুলিশ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে সেখানে পুলিশের হাতে আটক জাকির নামের যুবদলের একজন কর্মীকে বেধড়ক পেটান ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা। পুলিশের হাতে আটক ব্যক্তির নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সেই বাহিনীরই। সেখানে ছাত্রলীগ বা যুবলীগের কর্মীরা ঢুকলেন কীভাবে?
কয়েক দিন আগে ঢাকার আদালতপাড়ায়ও পুলিশের হাতে আটক অবস্থায় বিরোধীদলীয় কর্মীদের ওপর ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা চড়াও হয়েছিল। এসব ঘটনা আইনের শাসনের পরিপন্থী।
গত তিন দিনই হরতাল চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের বিভিন্ন স্থানে মিছিল বের করতে দেখা গেছে। এসব মিছিল জনমনে স্বস্তি দেয় না, বরং উদ্বেগ বাড়ায়। দেশের মানুষ আইনের শাসন চায়; দলীয় ক্যাডারদের মাস্তানি চায় না। কিংবা বিরোধীদলীয় কর্মীরাও যখন হরতালের নামে গাড়ি ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগ করেন, তা-ও নিন্দনীয়। দেশবাসী এমন একটি শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশ চায়, যেখানে কেউ বাসে আগুন দিয়ে মানুষ মারবে না কিংবা পুলিশের হাতে আটক বিরোধীদলীয় কর্মীদের ওপর চড়াও হবে না। আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।
কিন্তু আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, হরতালের সময় সরকারি দল তথা তাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগ রাজপথে যে দৌরাত্ম্য দেখাচ্ছে, তা জনমনে ভীতির সঞ্চার করছে। আরও দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হলো, অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যরা এই ‘ক্ষমতার বরপুত্র’দের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। কখনো কখনো সরকারি দলের কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পার্থক্য করা কঠিন হয়ে পড়ে।
গত সোমবার সিলেটের বিশ্বনাথে পুলিশ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে সেখানে পুলিশের হাতে আটক জাকির নামের যুবদলের একজন কর্মীকে বেধড়ক পেটান ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা। পুলিশের হাতে আটক ব্যক্তির নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সেই বাহিনীরই। সেখানে ছাত্রলীগ বা যুবলীগের কর্মীরা ঢুকলেন কীভাবে?
কয়েক দিন আগে ঢাকার আদালতপাড়ায়ও পুলিশের হাতে আটক অবস্থায় বিরোধীদলীয় কর্মীদের ওপর ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা চড়াও হয়েছিল। এসব ঘটনা আইনের শাসনের পরিপন্থী।
গত তিন দিনই হরতাল চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের বিভিন্ন স্থানে মিছিল বের করতে দেখা গেছে। এসব মিছিল জনমনে স্বস্তি দেয় না, বরং উদ্বেগ বাড়ায়। দেশের মানুষ আইনের শাসন চায়; দলীয় ক্যাডারদের মাস্তানি চায় না। কিংবা বিরোধীদলীয় কর্মীরাও যখন হরতালের নামে গাড়ি ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগ করেন, তা-ও নিন্দনীয়। দেশবাসী এমন একটি শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশ চায়, যেখানে কেউ বাসে আগুন দিয়ে মানুষ মারবে না কিংবা পুলিশের হাতে আটক বিরোধীদলীয় কর্মীদের ওপর চড়াও হবে না। আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।
No comments