তিন দিনের টানা হরতাল-দেশ ও জনগণের ক্ষতি আর নয়
বিএনপির ডাকা ও তাদের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দলগুলোর সমর্থিত টানা তিন দিনের হরতাল শেষ হলো গতকাল। প্রথমে এক দিনের হরতাল আহ্বান করা হলেও পরে এর সময়সীমা বাড়ানো হয় নানা কারণ দাঁড় করিয়ে। গত তিন দিনের হরতালে শুধু দুর্ভোগই নয়, জন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে তাতে আবারও প্রতীয়মান হলো, সংঘাত-সহিংসতা রাজনীতির অন্যতম উপাদান হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এর পাশাপাশি অর্থনীতির সামগ্রিক ক্ষতির দিকটি বিবেচনায় নিলে শঙ্কার দাগটি আরো মোটা হয়ে ওঠে।
শান্তিপূর্ণ হরতাল ও পিকেটিং গণতান্ত্রিক রাজনীতির স্বীকৃত অধিকার হলেও বাংলাদেশের বিদ্যমান বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে বহুল ব্যবহৃত রাজনীতির এ অস্ত্রের অপব্যবহার নিয়ে বারবার জোরদার প্রশ্ন উত্থাপিত হয়ে আসছে। হরতালের নামে নানা রকম নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণে দেশের গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তিও বিনষ্ট হচ্ছে। কিন্তু দেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক কিংবা পরিচালকরা বিষয়টি আমলেই নিতে চাচ্ছেন না। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তারা হরতালের বিরোধিতা করলেও ক্ষমতার বাইরে গিয়েই স্ববিরোধী অবস্থান নিচ্ছে। বিষয়টি সামগ্রিকভাবে সুস্থ রাজনীতি চর্চা, অনুশীলন এবং গণতন্ত্র ও অর্থনীতর জন্য ক্রমেই প্রকট হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। জনজীবনের সীমাহীন ভোগান্তি আর পৈশাচিক, বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডের অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ধারাবাহিকতা একই সঙ্গে অর্থনীতি ধ্বংসের অপরিণামদর্শিতা দারিদ্র্যপীড়িত দেশটিতে অকল্যাণের পথকেই প্রশস্ত করছে। যাঁরা দিন এনে দিন খান এক একটি হরতাল তাঁদের জন্য কতটা অভিশাপ এর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নতুন করে নিষ্প্রয়োজন। হরতালের কারণে শিল্প-কারখানায় উৎপাদনের চাকা স্থবির হয়ে যায়, ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাভাবিক পথ রুদ্ধ হয়, কোনো কোনো মহলের অমানবিকতা রাষ্ট্র ও সমাজজীবনে ফেলে গাঢ় কালো ছায়া, আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে নানা ধরনের নেতিবাচকতাও। জীবন ও সম্পদহানির যে মর্মন্তুদ ঘটনাবলি গত তিন দিনে ঘটেছে তা চরম নিন্দনীয়, অগ্রহণযোগ্য ও নিঃসন্দেহে প্রতিবাদযোগ্যও। রাজনীতির আকাশে প্রতিহিংসার যে কালো মেঘ বিস্তৃত হচ্ছে এর দায় রাজনীতিসংশ্লিষ্ট সবার। রাজনীতি একটি রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য অপরিহার্য এবং গণমানুষের মুক্তির উন্নতি কিংবা কল্যাণের মাধ্যম। অনস্বীকার্য যে আমাদের দেশের রাজনীতির অর্জন ব্যাপক; কিন্তু চলমান রাজনীতি সব অর্জনের বিসর্জনের পথটাই প্রশস্ত করছে। এমনটি দেশ ও জনগণের জন্য কোনোভাবেই শুভপ্রদ নয়। এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে।
সরকার ও বিরোধী দলের উচিত, রাজনীতিতে সুস্থ ধারা ফিরিয়ে আনতে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়া। এই দায় এড়ানোর কোনো পথ কারোরই নেই। ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি সবার জন্যই অশনিসংকেত। তাই সংঘাত-সংঘর্ষের পথ পরিহার করে দেশ ও জনগণের কল্যাণে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে আদর্শিক বিরোধ সত্ত্বেও দৃঢ় অবস্থান নেওয়া সম্ভব। ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়িচালককে সুস্থভাবে সবার মাঝে ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধভাবে এগোলে সবারই কল্যাণ হবে। আগুন, গুলি, সংঘাত, সংঘর্ষ, ভাঙচুর কোনো সমাধান নয়; বরং এসবই সার্বিক ক্ষতির দিকটিই স্ফীত করছে। গঠনমূলক রাজনীতির ধারা ও সুস্থ রাজনীতির অনুশীলন বেগবান করতে পারলেই সব অকল্যাণের যবনিকাপাত ঘটবে, সব কিছু পরিশীলিত হবে।
শান্তিপূর্ণ হরতাল ও পিকেটিং গণতান্ত্রিক রাজনীতির স্বীকৃত অধিকার হলেও বাংলাদেশের বিদ্যমান বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে বহুল ব্যবহৃত রাজনীতির এ অস্ত্রের অপব্যবহার নিয়ে বারবার জোরদার প্রশ্ন উত্থাপিত হয়ে আসছে। হরতালের নামে নানা রকম নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণে দেশের গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তিও বিনষ্ট হচ্ছে। কিন্তু দেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক কিংবা পরিচালকরা বিষয়টি আমলেই নিতে চাচ্ছেন না। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তারা হরতালের বিরোধিতা করলেও ক্ষমতার বাইরে গিয়েই স্ববিরোধী অবস্থান নিচ্ছে। বিষয়টি সামগ্রিকভাবে সুস্থ রাজনীতি চর্চা, অনুশীলন এবং গণতন্ত্র ও অর্থনীতর জন্য ক্রমেই প্রকট হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। জনজীবনের সীমাহীন ভোগান্তি আর পৈশাচিক, বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডের অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ধারাবাহিকতা একই সঙ্গে অর্থনীতি ধ্বংসের অপরিণামদর্শিতা দারিদ্র্যপীড়িত দেশটিতে অকল্যাণের পথকেই প্রশস্ত করছে। যাঁরা দিন এনে দিন খান এক একটি হরতাল তাঁদের জন্য কতটা অভিশাপ এর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নতুন করে নিষ্প্রয়োজন। হরতালের কারণে শিল্প-কারখানায় উৎপাদনের চাকা স্থবির হয়ে যায়, ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাভাবিক পথ রুদ্ধ হয়, কোনো কোনো মহলের অমানবিকতা রাষ্ট্র ও সমাজজীবনে ফেলে গাঢ় কালো ছায়া, আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে নানা ধরনের নেতিবাচকতাও। জীবন ও সম্পদহানির যে মর্মন্তুদ ঘটনাবলি গত তিন দিনে ঘটেছে তা চরম নিন্দনীয়, অগ্রহণযোগ্য ও নিঃসন্দেহে প্রতিবাদযোগ্যও। রাজনীতির আকাশে প্রতিহিংসার যে কালো মেঘ বিস্তৃত হচ্ছে এর দায় রাজনীতিসংশ্লিষ্ট সবার। রাজনীতি একটি রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য অপরিহার্য এবং গণমানুষের মুক্তির উন্নতি কিংবা কল্যাণের মাধ্যম। অনস্বীকার্য যে আমাদের দেশের রাজনীতির অর্জন ব্যাপক; কিন্তু চলমান রাজনীতি সব অর্জনের বিসর্জনের পথটাই প্রশস্ত করছে। এমনটি দেশ ও জনগণের জন্য কোনোভাবেই শুভপ্রদ নয়। এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে।
সরকার ও বিরোধী দলের উচিত, রাজনীতিতে সুস্থ ধারা ফিরিয়ে আনতে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়া। এই দায় এড়ানোর কোনো পথ কারোরই নেই। ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি সবার জন্যই অশনিসংকেত। তাই সংঘাত-সংঘর্ষের পথ পরিহার করে দেশ ও জনগণের কল্যাণে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে আদর্শিক বিরোধ সত্ত্বেও দৃঢ় অবস্থান নেওয়া সম্ভব। ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়িচালককে সুস্থভাবে সবার মাঝে ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধভাবে এগোলে সবারই কল্যাণ হবে। আগুন, গুলি, সংঘাত, সংঘর্ষ, ভাঙচুর কোনো সমাধান নয়; বরং এসবই সার্বিক ক্ষতির দিকটিই স্ফীত করছে। গঠনমূলক রাজনীতির ধারা ও সুস্থ রাজনীতির অনুশীলন বেগবান করতে পারলেই সব অকল্যাণের যবনিকাপাত ঘটবে, সব কিছু পরিশীলিত হবে।
No comments