ভিকারুননিসা নূন ডিবেটিং ক্লাব- যুক্তির আলোয় দেখা by তাহমিনা হক
‘আমাদের কাছে এ ক্লাব কেবল একটি ক্লাবই নয়, যেন একটা পরিবার। এই তো কিছুদিন আগে, ভিকারুননিসা নূন ডিবেটিং ক্লাব (ভিডিসি) ফেস্ট ২০১২-এর আয়োজনে জীবনের সেরা দুটি সপ্তাহ কাটিয়েছি আমরা। যাদের দেখে বিতর্ক করতে আসা, তাদের খুব কাছ থেকে বোঝার সুযোগ এবং শত শত বিতার্কিকের পদচারণে মুখরিত ছিল এই ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ।
এ ক্লাব আমাকে নিজের বুদ্ধি, বিবেক ও জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে যুক্তিবাদী মানুষ হওয়া যায়, তা শিখিয়েছে।’ ক্লাব সম্পর্কে এমনটিই বলছিল ক্লাবের ২০১২-১৩ সালের প্রেসিডেন্ট সিলভিয়া সানজানা।
জেনারেল সেক্রেটারি নিশাত তাসনিম জানায়, ‘এ ক্লাব আমদের যুক্তিবাদী মানুষ হতে ও নিজের মতামত ব্যক্ত করার সাহস দিয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে সবকিছু যুক্তি দিয়ে বিচার করতে এবং আত্মবিশ্বাসী হতে শিখিয়েছে।’
ক্লাবের মডারেটর শবনম সিলভিয়া খান জানান, ১৯৯০ সালের দিকে স্কুল ও ক্লাব পর্যায়ের বিতর্কের মধ্য দিয়ে এ ক্লাবের যাত্রা শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের যুক্তিবাদী ও সচেতন করে তোলার জন্য এর জন্ম। এ ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট আগ্রহ ও শিক্ষকদের দক্ষ পরিচালনায় অল্প দিনের মধ্যেই এটি সফলতা অর্জন করতে পেরেছে।
বিতর্ক চর্চা বিতার্কিকদের জীবনে অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট নাফিসা জায়েদ বলে, ‘যখন প্রথম ভিডিসিতে এসেছিলাম, তখন ভাবিনি বিতর্ক থেকে এত কিছু পাব। ভিডিসির হয়ে অনেক বিতর্ক করেছি, যার জন্য নানা সময় নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে মিশেছি। তাদের কথা সর্ব ক্ষেত্রে কাজে লেগেছে।’
সিলভিয়ার ক্ষেত্রে, বিতর্ক তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে শিখিয়েছে। তাঁর ভাষায়, ‘আমি উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বিজ্ঞান বিভাগে পড়েছি। বিতর্ক করতে গিয়ে আইন ও যুক্তি আমাকে এতই আকৃষ্ট করেছিল যে সিদ্ধান্ত নিই আইনে পড়ার। জীবনের ভালো বন্ধুগুলো পেয়েছি এ ক্লাবে এসে।’
দেশকে কীভাবে বিতর্কের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব? এমন প্রশ্নের জবাবে নিশাত জানায়, দেশের নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার মাধ্যমেই দেশের উন্নতি সম্ভব। সিলভিয়ার দৃষ্টিতে, বিতর্ক করতে এসে দেশ ও বিশ্বকে নিয়ে ভাবার ও বোঝার সুযোগ হয়েছে। যুক্তিবাদী ও আত্মপ্রত্যয়ী মানুষই দেশকে এগিয়ে নিতে পেরেছে। তারা পারে এবং পারবে। বিতর্ক চর্চা আমাদের এসব গুণ আয়ত্ত করতে শিক্ষা দেয়।
শবনম সিলভিয়া খান বলেন, ‘এ ক্লাবের প্রথম দিকের বিতার্কিক থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রায় অনেকেই দেশ-বিদেশের বড় বড় সংস্থায় কাজ করছে। আমরা বিতর্ককে উৎসাহিত করে থাকি, এটি শিক্ষকদের দায়িত্ব। প্রতিবছরই আমরা স্কুল (শিশু ও স্কুল) ও ক্লাবে (কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়) চার পর্যায়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি। আমাদের এ আয়োজন দেখে অন্যরাও উৎসাহিত হচ্ছে।’
জেনারেল সেক্রেটারি নিশাত তাসনিম জানায়, ‘এ ক্লাব আমদের যুক্তিবাদী মানুষ হতে ও নিজের মতামত ব্যক্ত করার সাহস দিয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে সবকিছু যুক্তি দিয়ে বিচার করতে এবং আত্মবিশ্বাসী হতে শিখিয়েছে।’
ক্লাবের মডারেটর শবনম সিলভিয়া খান জানান, ১৯৯০ সালের দিকে স্কুল ও ক্লাব পর্যায়ের বিতর্কের মধ্য দিয়ে এ ক্লাবের যাত্রা শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের যুক্তিবাদী ও সচেতন করে তোলার জন্য এর জন্ম। এ ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট আগ্রহ ও শিক্ষকদের দক্ষ পরিচালনায় অল্প দিনের মধ্যেই এটি সফলতা অর্জন করতে পেরেছে।
বিতর্ক চর্চা বিতার্কিকদের জীবনে অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট নাফিসা জায়েদ বলে, ‘যখন প্রথম ভিডিসিতে এসেছিলাম, তখন ভাবিনি বিতর্ক থেকে এত কিছু পাব। ভিডিসির হয়ে অনেক বিতর্ক করেছি, যার জন্য নানা সময় নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে মিশেছি। তাদের কথা সর্ব ক্ষেত্রে কাজে লেগেছে।’
সিলভিয়ার ক্ষেত্রে, বিতর্ক তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে শিখিয়েছে। তাঁর ভাষায়, ‘আমি উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বিজ্ঞান বিভাগে পড়েছি। বিতর্ক করতে গিয়ে আইন ও যুক্তি আমাকে এতই আকৃষ্ট করেছিল যে সিদ্ধান্ত নিই আইনে পড়ার। জীবনের ভালো বন্ধুগুলো পেয়েছি এ ক্লাবে এসে।’
দেশকে কীভাবে বিতর্কের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব? এমন প্রশ্নের জবাবে নিশাত জানায়, দেশের নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার মাধ্যমেই দেশের উন্নতি সম্ভব। সিলভিয়ার দৃষ্টিতে, বিতর্ক করতে এসে দেশ ও বিশ্বকে নিয়ে ভাবার ও বোঝার সুযোগ হয়েছে। যুক্তিবাদী ও আত্মপ্রত্যয়ী মানুষই দেশকে এগিয়ে নিতে পেরেছে। তারা পারে এবং পারবে। বিতর্ক চর্চা আমাদের এসব গুণ আয়ত্ত করতে শিক্ষা দেয়।
শবনম সিলভিয়া খান বলেন, ‘এ ক্লাবের প্রথম দিকের বিতার্কিক থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রায় অনেকেই দেশ-বিদেশের বড় বড় সংস্থায় কাজ করছে। আমরা বিতর্ককে উৎসাহিত করে থাকি, এটি শিক্ষকদের দায়িত্ব। প্রতিবছরই আমরা স্কুল (শিশু ও স্কুল) ও ক্লাবে (কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়) চার পর্যায়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি। আমাদের এ আয়োজন দেখে অন্যরাও উৎসাহিত হচ্ছে।’
No comments