এবিসি রেডিও-প্রথম আলো জবস ‘হতে চাই পেতে চাই’-দক্ষ মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বিশ্বব্যাপী
এবিসি রেডিওর স্টুডিওতে প্রথম আলো জবস ‘হতে চাই পেতে চাই’ অনুষ্ঠানে ১৭ এপ্রিল এসেছিলেন কেমব্রিজ মেরিটাইম কলেজের পরিচালক খোরশেদ আলম। তিনি কথা বলেছেন কথাবন্ধু ব্রতীর সঙ্গে। শিপিং বা মেরিন বিষয়ে পড়াশোনা এবং এ পেশার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অতিথি-বন্ধু ছিলেন কেমব্রিজ মেরিটাইম কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ক্যাডেট এম এইচ মাহবুব।
কথাবন্ধু: শিপিং বা মেরিটাইম পেশার বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলুন।
খোরশেদ আলম: শিপিং বা মেরিটাইম পেশা অন্য মূল্যবান পেশাগুলোর মধ্যে একটি। সারা বিশ্বে যে কটি পেশার চাহিদা রয়েছে, তার মধ্যে নটিক্যাল সায়েন্স, শিপবিল্ডিং, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং অন্যতম। অনেকে মনে করেন, মেরিটাইম পেশা শুধু মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা নটিক্যাল সায়েন্স। কিন্তু তা নয়। এখানে আরও অনেক বিষয় রয়েছে, যেমন: শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং, মেরিটাইম লজিস্টিক, শিপিং অ্যান্ড শিপিং ম্যানেজমেন্ট, শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক, লজিস্টিক অ্যান্ড ট্রান্সবুক অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।
কথাবন্ধু: বর্তমানে মেরিটাইম ও শিপিং বা জাহাজশিল্প বাংলাদেশের জন্য একটি অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র। এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলুন।
খোরশেদ আলম: মেরিটাইম ও শিপিং শিল্প বাংলাদেশের জন্য একটি অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র, এতে কোনো সন্দেহ নেই। জাতিসংঘের হিসাবমতে, প্রায় ৯০ শতাংশ মালামাল বিশ্ববাণিজ্যে পরিবাহিত হয় জাহাজের মাধ্যমে। ফলে শিপবিল্ডিং, শিপ রিপিয়ারিং, শিপিং পরিবহনসহ এ খাতে বিশ্বে সর্বমোট রাজস্ব আয়ের পরিমাণ এক হাজার ৬০০ বিলিয়ন ইউএস ডলার। এ থেকে ২ শতাংশ আয় যদি বাংলাদেশ নিয়ে আসে, তাহলে এর পরিমাণ দাঁড়াবে ৩২ থেকে ৩৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার। তাই অবশ্যই বাংলাদেশে এটি একটি অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র।
কথাবন্ধু: গতানুগতিক পেশা, যেমন—ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার না হয়ে শিক্ষার্থীরা এ পেশায় কেন আসবে? এখানে কাজের সুযোগ কতটুকু?
খোরশেদ আলম: ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হতে যেকোনো বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে ৯ থেকে ১০ বছর সময় লাগে। কিন্তু মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বা নটিক্যাল সায়েন্সে দুই বছরে এইচএনডি, অর্থাৎ হায়ার ন্যাশনাল ডিপ্লোমা করে পরে পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে চিফ ইঞ্জিনিয়ার বা ক্যাপ্টেন হয়ে মাসে কমপক্ষে ১০ হাজার ডলার বেতন পাওয়া সম্ভব। দক্ষ নাবিক, মেরিন ইঞ্জিনিয়ার, মেরিন অফিসার কিংবা জাহাজশিল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মীর চাহিদা বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষ ও যোগ্য লোকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এখানে খুব দ্রুত সফলতা পাওয়া যায়।
কথাবন্ধু: বাংলাদেশে এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্রে কী সুযোগ আছে? ভর্তির জন্য কী ধরনের যোগ্যতা দরকার?
খোরশেদ আলম: জাহাজশিল্প-সংশ্লিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গুরুত্ব অনেক বেশি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য সরকারিভাবে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে সীমিতসংখ্যক কোর্স রয়েছে। তবে বাংলাদেশে কেমব্রিজ মেরিটাইম কলেজই একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যা ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক মেরিটাইম ও শিপিংয়ের ওপর উচ্চতর প্রফেশনাল ডিগ্রিদেওয়ার অনুমোদন পেয়েছে। কোর্স কারিকুলাম, গ্রেডিং, শিক্ষক ট্রেনিংসহ সবকিছুই ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষই শিক্ষার্থীর সর্বশেষ সনদপত্র দেয়। কেমব্রিজ মেরিটাইম কলেজে ভর্তির জন্য এসএসসি ও এইচএসসি—উভয় পরীক্ষায় জিপিএ-৩.৫ থাকতে হবে। একই সঙ্গে পদার্থবিদ্যা ও গণিত থাকতে হবে। শুধু যারা বিজ্ঞান বিভাগের, তারাই এ ক্ষেত্রে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে।
কথাবন্ধু: (শিক্ষার্থী ক্যাডেট এম এইচ মাহবুবকে) এ ধরনের পেশা বা এ বিষয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী হলেন কেন?
ক্যাডেট মাহবুব: ‘যদি জয় করতে চাও বিশ্ব, যদি জয় করতে চাও সমুদ্র, সে ক্ষেত্রে এটিই একমাত্র পেশা, যা তোমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।’ এ কথাটি আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। এ ছাড়া এ বিষয়ে পড়াশোনা করার কারণ, এটি একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা ছিল, সমুদ্রে ঘুরে বেড়াব। ফলে এখানেই নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই।
শ্রোতাবন্ধু মঈনুল (খুদে বার্তা থেকে): এ পেশার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাই। এ বিষয়ে পড়াশোনা করতে কী পরিমাণ টাকা খরচ হবে?
খোরশেদ আলম: এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে কোর্সের খরচ কেমন হবে। কেউ যদি ইউকে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নিতে চায়, সে ক্ষেত্রে তাকে ব্যয় করতে হবে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। কেউ যদি কেমব্রিজ মেরিটাইম কলেজ থেকে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা নটিক্যাল সায়েন্স করতে চায়, তার জন্য টিউশন ফিসহ সর্বমোট খরচ পড়বে ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকা। কেউ শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি করতে চায়, তাহলে তার লাগবে নয় লাখ টাকা।
শ্রোতাবন্ধু জোবায়ের (খুদে বার্তা থেকে): এ বিষয়ে পড়াশোনা করতে হলে শারীরিক উচ্চতা কত দরকার? বিদেশে কাজ করার সুযোগ কেমন?
খোরশেদ আলম: ছেলেদের ক্ষেত্রে পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে দরকার পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি। তবে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ও নটিক্যাল সায়েন্স পড়তে হলে চোখের জন্য ছয় বাই ছয় থাকতে হবে। একই সঙ্গে শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকতে হবে। আপনি যে দেশেই পড়াশোনা করেন না কেন, আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন-আইএমও হিসাব অনুযায়ী, এখানে আপনি বিশ্বের যেকোনো দেশেই কাজ করার সুযোগ পাবেন।
শ্রোতাবন্ধু শাকিল (খুদে বার্তা থেকে): এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য কেমব্রিজ মেরিটাইম কলেজের ঠিকানা জানতে চাই।
খোরশেদ আলম: কেমব্রিজ মেরিটাইম কলেজে ভর্তি হতে হলে শিক্ষার্থীদের সব ধরনের যোগ্যতা থাকতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে কলেজে ভর্তি হতে হবে। একই সঙ্গে মেডিকেল টেস্টও করতে হবে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ: কেমব্রিজ মেরিটাইম কলেজ (সিএমসি), বাড়ি-২, রোড-৪, সেক্টর-৯, উত্তরা, ঢাকা।
কথাবন্ধু: বাংলাদেশে এ শিল্পকে আরও বেশি কার্যকর করতে সরকারি কোনো সম্পূরক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি? কী ধরনের নীতি-নিয়ন্ত্রণ রয়েছে?
খোরশেদ আলম: এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাব। তিনি এ সেক্টরকে থার্ড সেক্টর হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত শিপবিল্ডিং ও মেরিটাইম শিক্ষার জন্য কোনো নীতিমালা হয়নি। নীতিমালাগুলো প্রক্রিয়াধীন। এটি দ্রুত করা উচিত। প্রয়োজনে বিশেষ কমিটি করে দ্রুত নীতিমালাগুলো করা উচিত।
কথাবন্ধু: সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে আপনার পরামর্শ কী?
খোরশেদ আলম: এ পেশায় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। কর্মমুখী শিক্ষার ক্ষেত্রে এর কোনো বিকল্প নেই। দেশের কল্যাণে কাজ করতে চাইলে এ পেশায় আসা উচিত।
গ্রন্থনা: সুদীপ দে
কথাবন্ধু: শিপিং বা মেরিটাইম পেশার বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলুন।
খোরশেদ আলম: শিপিং বা মেরিটাইম পেশা অন্য মূল্যবান পেশাগুলোর মধ্যে একটি। সারা বিশ্বে যে কটি পেশার চাহিদা রয়েছে, তার মধ্যে নটিক্যাল সায়েন্স, শিপবিল্ডিং, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং অন্যতম। অনেকে মনে করেন, মেরিটাইম পেশা শুধু মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা নটিক্যাল সায়েন্স। কিন্তু তা নয়। এখানে আরও অনেক বিষয় রয়েছে, যেমন: শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং, মেরিটাইম লজিস্টিক, শিপিং অ্যান্ড শিপিং ম্যানেজমেন্ট, শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক, লজিস্টিক অ্যান্ড ট্রান্সবুক অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।
কথাবন্ধু: বর্তমানে মেরিটাইম ও শিপিং বা জাহাজশিল্প বাংলাদেশের জন্য একটি অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র। এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলুন।
খোরশেদ আলম: মেরিটাইম ও শিপিং শিল্প বাংলাদেশের জন্য একটি অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র, এতে কোনো সন্দেহ নেই। জাতিসংঘের হিসাবমতে, প্রায় ৯০ শতাংশ মালামাল বিশ্ববাণিজ্যে পরিবাহিত হয় জাহাজের মাধ্যমে। ফলে শিপবিল্ডিং, শিপ রিপিয়ারিং, শিপিং পরিবহনসহ এ খাতে বিশ্বে সর্বমোট রাজস্ব আয়ের পরিমাণ এক হাজার ৬০০ বিলিয়ন ইউএস ডলার। এ থেকে ২ শতাংশ আয় যদি বাংলাদেশ নিয়ে আসে, তাহলে এর পরিমাণ দাঁড়াবে ৩২ থেকে ৩৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার। তাই অবশ্যই বাংলাদেশে এটি একটি অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র।
কথাবন্ধু: গতানুগতিক পেশা, যেমন—ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার না হয়ে শিক্ষার্থীরা এ পেশায় কেন আসবে? এখানে কাজের সুযোগ কতটুকু?
খোরশেদ আলম: ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হতে যেকোনো বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে ৯ থেকে ১০ বছর সময় লাগে। কিন্তু মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বা নটিক্যাল সায়েন্সে দুই বছরে এইচএনডি, অর্থাৎ হায়ার ন্যাশনাল ডিপ্লোমা করে পরে পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে চিফ ইঞ্জিনিয়ার বা ক্যাপ্টেন হয়ে মাসে কমপক্ষে ১০ হাজার ডলার বেতন পাওয়া সম্ভব। দক্ষ নাবিক, মেরিন ইঞ্জিনিয়ার, মেরিন অফিসার কিংবা জাহাজশিল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মীর চাহিদা বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষ ও যোগ্য লোকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এখানে খুব দ্রুত সফলতা পাওয়া যায়।
কথাবন্ধু: বাংলাদেশে এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্রে কী সুযোগ আছে? ভর্তির জন্য কী ধরনের যোগ্যতা দরকার?
খোরশেদ আলম: জাহাজশিল্প-সংশ্লিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গুরুত্ব অনেক বেশি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য সরকারিভাবে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে সীমিতসংখ্যক কোর্স রয়েছে। তবে বাংলাদেশে কেমব্রিজ মেরিটাইম কলেজই একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যা ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক মেরিটাইম ও শিপিংয়ের ওপর উচ্চতর প্রফেশনাল ডিগ্রিদেওয়ার অনুমোদন পেয়েছে। কোর্স কারিকুলাম, গ্রেডিং, শিক্ষক ট্রেনিংসহ সবকিছুই ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষই শিক্ষার্থীর সর্বশেষ সনদপত্র দেয়। কেমব্রিজ মেরিটাইম কলেজে ভর্তির জন্য এসএসসি ও এইচএসসি—উভয় পরীক্ষায় জিপিএ-৩.৫ থাকতে হবে। একই সঙ্গে পদার্থবিদ্যা ও গণিত থাকতে হবে। শুধু যারা বিজ্ঞান বিভাগের, তারাই এ ক্ষেত্রে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে।
কথাবন্ধু: (শিক্ষার্থী ক্যাডেট এম এইচ মাহবুবকে) এ ধরনের পেশা বা এ বিষয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী হলেন কেন?
ক্যাডেট মাহবুব: ‘যদি জয় করতে চাও বিশ্ব, যদি জয় করতে চাও সমুদ্র, সে ক্ষেত্রে এটিই একমাত্র পেশা, যা তোমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।’ এ কথাটি আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। এ ছাড়া এ বিষয়ে পড়াশোনা করার কারণ, এটি একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা ছিল, সমুদ্রে ঘুরে বেড়াব। ফলে এখানেই নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই।
শ্রোতাবন্ধু মঈনুল (খুদে বার্তা থেকে): এ পেশার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাই। এ বিষয়ে পড়াশোনা করতে কী পরিমাণ টাকা খরচ হবে?
খোরশেদ আলম: এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে কোর্সের খরচ কেমন হবে। কেউ যদি ইউকে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নিতে চায়, সে ক্ষেত্রে তাকে ব্যয় করতে হবে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। কেউ যদি কেমব্রিজ মেরিটাইম কলেজ থেকে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা নটিক্যাল সায়েন্স করতে চায়, তার জন্য টিউশন ফিসহ সর্বমোট খরচ পড়বে ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকা। কেউ শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি করতে চায়, তাহলে তার লাগবে নয় লাখ টাকা।
শ্রোতাবন্ধু জোবায়ের (খুদে বার্তা থেকে): এ বিষয়ে পড়াশোনা করতে হলে শারীরিক উচ্চতা কত দরকার? বিদেশে কাজ করার সুযোগ কেমন?
খোরশেদ আলম: ছেলেদের ক্ষেত্রে পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে দরকার পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি। তবে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ও নটিক্যাল সায়েন্স পড়তে হলে চোখের জন্য ছয় বাই ছয় থাকতে হবে। একই সঙ্গে শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকতে হবে। আপনি যে দেশেই পড়াশোনা করেন না কেন, আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন-আইএমও হিসাব অনুযায়ী, এখানে আপনি বিশ্বের যেকোনো দেশেই কাজ করার সুযোগ পাবেন।
শ্রোতাবন্ধু শাকিল (খুদে বার্তা থেকে): এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য কেমব্রিজ মেরিটাইম কলেজের ঠিকানা জানতে চাই।
খোরশেদ আলম: কেমব্রিজ মেরিটাইম কলেজে ভর্তি হতে হলে শিক্ষার্থীদের সব ধরনের যোগ্যতা থাকতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে কলেজে ভর্তি হতে হবে। একই সঙ্গে মেডিকেল টেস্টও করতে হবে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ: কেমব্রিজ মেরিটাইম কলেজ (সিএমসি), বাড়ি-২, রোড-৪, সেক্টর-৯, উত্তরা, ঢাকা।
কথাবন্ধু: বাংলাদেশে এ শিল্পকে আরও বেশি কার্যকর করতে সরকারি কোনো সম্পূরক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি? কী ধরনের নীতি-নিয়ন্ত্রণ রয়েছে?
খোরশেদ আলম: এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাব। তিনি এ সেক্টরকে থার্ড সেক্টর হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত শিপবিল্ডিং ও মেরিটাইম শিক্ষার জন্য কোনো নীতিমালা হয়নি। নীতিমালাগুলো প্রক্রিয়াধীন। এটি দ্রুত করা উচিত। প্রয়োজনে বিশেষ কমিটি করে দ্রুত নীতিমালাগুলো করা উচিত।
কথাবন্ধু: সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে আপনার পরামর্শ কী?
খোরশেদ আলম: এ পেশায় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। কর্মমুখী শিক্ষার ক্ষেত্রে এর কোনো বিকল্প নেই। দেশের কল্যাণে কাজ করতে চাইলে এ পেশায় আসা উচিত।
গ্রন্থনা: সুদীপ দে
No comments