নভেম্বরে বন্ধ হচ্ছে রূপসী বাংলা হোটেল by ইশতিয়াক হুসাইন
আগামী নভেম্বর মাসে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচতারকা রূপসী বাংলা হোটেল। বন্ধ হয়ে যাওয়ার দিনক্ষণ চুড়ান্ত হয়ে যাওয়ায় অক্টোবর পর্যন্ত রূপসী বাংলা হোটেল কর্তৃপক্ষকে বুকিং নিতে বলা হয়েছে। এই সময়ের পর সব ধরনের বুকিং নিতে নিষেধ করা হয়েছে।
রূপসী বাংলা হোটেলের মালিক বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড (বিএসএল) কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি এ নির্দেশনা দিয়েছে।
বাংলাদেশে ২৭ বছর হোটেল পরিচালনা শেষে শেরাটন ২০১০ সালের ১ মে বিএসএলকে হোটেলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে বিএসএল রূপসী বাংলা নামে হোটেলটি পরিচালনা করে আসছে।
ইন্টারন্যাশনাল হোটেল চেইন ইন্টারকন্টিনেন্টাল রূপসী বাংলা হোটেল ৩০ বছরের জন্য লিজ নেওয়ায় এর পরিণতি আগেই নির্ধারিত হয়েছিল। ‘রূপসী বাংলা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে’ এ শিরোনামে বাংলানিউজই প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তখন সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। সম্প্রতি হোটেল বন্ধ হওয়ার চূড়ান্ত দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়।
চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি বিএসএলের সঙ্গে ইন্টারকন্টিনেন্টালের এ সংক্রান্ত চুক্তি হয়। আগামী ২০১৪ সালে হোটেলটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল নামে চালু হবে। এর আগে ২০১৩ জুড়ে চলবে হোটেলের সংস্কার কাজ। বড় ধরনের সংস্কার কাজ সামনে রেখেই হোটেলের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রাখা হচ্ছে।
এর মাধ্যমে ২৮ বছর পর ঢাকায় আবার ফিরে আসছে ইন্টারন্যাশনাল হোটেল চেইন ইন্টারকন্টিনেন্টাল।
বিএসএলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল পরিচালনার দায়িত্ব নিলেও বিএসএল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ‘রূপসী বাংলা’ নামটি থাকবে। সে অনুযায়ী হোটেলটির নাম হওয়ার কথা ছিল ‘হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল রূপসী বাংলা’। প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের সঙ্গে যেমন আমাদের দেশীয় নামটি যুক্ত রয়েছে, ঠিক একইভাবে রূপসী বাংলা নামটি থাকার কথা ছিল। কিন্তু ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেষ পর্যন্ত বিএসএলের এ সিদ্ধান্ত মানতে রাজি হয়নি।
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে স্থানীয় নামের সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল হোটেল চেইনের নাম যোগ করে হোটেলের নাম রাখার বহু নজির রয়েছে। তাছাড়া রূপসী বাংলা নামটি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে বিএসএলের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করে বাংলানিউজকে জানান, বিএসএল কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণেই শেষ পর্যন্ত নামটি রাখা যায়নি। তারা আন্তরিকভাবে চাইলে এবং এর যৌক্তিকতা ইন্টারকন্টিনেন্টালকে বোঝাতে সক্ষম হলে দেশের মান রক্ষা হতো।
ইন্টারকন্টিনেন্টাল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১৭০টি হোটেল পরিচালনা করছে। ১৯৮৩ সাল থেকে বিএসএল এর মালিকানাধীন হোটেলটি পরিচালনা করে শেরাটন। এর আগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালই মিন্টো রোডের এই হোটেলটি পরিচালনা করে আসছিল। ২০১০ সালের ১ মে থেকে রূপসী বাংলা হোটেল নামে হোটেলটি পরিচালনা করে আসছে বিএসএল। হোটেলটিতে প্রায় ৬৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন।
চুক্তি অনুযায়ী হোটেলটি মেরামতকালে রূপসী বাংলার বর্তমান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাকরিচ্যুত হবেন না। এদের প্রত্যেককে নিজ নিজ মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও অন্য হোটেলে চাকরি দেওয়া হবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, রূপসী বাংলার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা চাকরি হারাতে পারেন।
বাংলাদেশে ২৭ বছর হোটেল পরিচালনা শেষে শেরাটন ২০১০ সালের ১ মে বিএসএলকে হোটেলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে বিএসএল রূপসী বাংলা নামে হোটেলটি পরিচালনা করে আসছে।
ইন্টারন্যাশনাল হোটেল চেইন ইন্টারকন্টিনেন্টাল রূপসী বাংলা হোটেল ৩০ বছরের জন্য লিজ নেওয়ায় এর পরিণতি আগেই নির্ধারিত হয়েছিল। ‘রূপসী বাংলা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে’ এ শিরোনামে বাংলানিউজই প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তখন সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। সম্প্রতি হোটেল বন্ধ হওয়ার চূড়ান্ত দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়।
চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি বিএসএলের সঙ্গে ইন্টারকন্টিনেন্টালের এ সংক্রান্ত চুক্তি হয়। আগামী ২০১৪ সালে হোটেলটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল নামে চালু হবে। এর আগে ২০১৩ জুড়ে চলবে হোটেলের সংস্কার কাজ। বড় ধরনের সংস্কার কাজ সামনে রেখেই হোটেলের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রাখা হচ্ছে।
এর মাধ্যমে ২৮ বছর পর ঢাকায় আবার ফিরে আসছে ইন্টারন্যাশনাল হোটেল চেইন ইন্টারকন্টিনেন্টাল।
বিএসএলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল পরিচালনার দায়িত্ব নিলেও বিএসএল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ‘রূপসী বাংলা’ নামটি থাকবে। সে অনুযায়ী হোটেলটির নাম হওয়ার কথা ছিল ‘হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল রূপসী বাংলা’। প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের সঙ্গে যেমন আমাদের দেশীয় নামটি যুক্ত রয়েছে, ঠিক একইভাবে রূপসী বাংলা নামটি থাকার কথা ছিল। কিন্তু ইন্টারকন্টিনেন্টাল শেষ পর্যন্ত বিএসএলের এ সিদ্ধান্ত মানতে রাজি হয়নি।
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে স্থানীয় নামের সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল হোটেল চেইনের নাম যোগ করে হোটেলের নাম রাখার বহু নজির রয়েছে। তাছাড়া রূপসী বাংলা নামটি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে বিএসএলের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করে বাংলানিউজকে জানান, বিএসএল কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণেই শেষ পর্যন্ত নামটি রাখা যায়নি। তারা আন্তরিকভাবে চাইলে এবং এর যৌক্তিকতা ইন্টারকন্টিনেন্টালকে বোঝাতে সক্ষম হলে দেশের মান রক্ষা হতো।
ইন্টারকন্টিনেন্টাল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১৭০টি হোটেল পরিচালনা করছে। ১৯৮৩ সাল থেকে বিএসএল এর মালিকানাধীন হোটেলটি পরিচালনা করে শেরাটন। এর আগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালই মিন্টো রোডের এই হোটেলটি পরিচালনা করে আসছিল। ২০১০ সালের ১ মে থেকে রূপসী বাংলা হোটেল নামে হোটেলটি পরিচালনা করে আসছে বিএসএল। হোটেলটিতে প্রায় ৬৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন।
চুক্তি অনুযায়ী হোটেলটি মেরামতকালে রূপসী বাংলার বর্তমান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাকরিচ্যুত হবেন না। এদের প্রত্যেককে নিজ নিজ মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও অন্য হোটেলে চাকরি দেওয়া হবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, রূপসী বাংলার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা চাকরি হারাতে পারেন।
No comments