সৃজনশীল পেশা ভিডিও এডিটিং by আল-আমিন হক
আমরা টেলিভিশনে যেসব সংবাদ, নাটকও সিনেমা দেখি, সেগুলো কিন্তু প্রচারের আগে এত পরিপাটি থাকে না। নাটক, সিনেমা, টেলিফিল্ম, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান কিংবা কোনো অনুষ্ঠানের ধারণ করা ভিডিও অথবা মিউজিক ভিডিও, যা-ই দেখি না কেন, সবই ধারণ করা হয় অনেক বড় আকারে। কিন্তু দেখানো হয় শুধু প্রয়োজনীয় অংশটুকু।
অপ্রয়োজনীয় অথবা তুলনামূলক কম ভালো অংশ ফেলে দিয়েই তৈরি হয় একটি ভালো ভিডিও ফুটেজ। ভিডিও ধারণের পর পরিপাটি করে সাজিয়ে একটি দৃশ্যের পর আরেকটি দৃশ্য সাজিয়ে তবেই দর্শকের দেখার উপযোগী করে তোলা হয়। যেটাকে বলা হয় ভিডিও এডিটিং।আর এ কাজটি করার জন্য দরকার একজন দক্ষ ভিডিও এডিটরের, যিনি তাঁর সৃজনশীলতা দিয়ে একটি ভিডিওকে করে তোলেন উপভোগ্য। পেশা হিসেবেও দেশে দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে।
মিডিয়া একাডেমি পাঠশালার প্রশিক্ষক ও ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রধান ভিডিও সম্পাদক ইয়াকুব আলী মিঠু বলেন, ‘প্রতিটি টিভি চ্যানেলে ২০ থেকে ২৫ জন ভিডিও এডিটর দরকার। সেটা যদি শুধু সংবাদ চ্যানেল হয়, তবে তার সংখ্যা আরও বেশি হয়। এ ছাড়া প্রোডাকশন হাউসগুলোতেও ভালো মানের ভিডিও এডিটরের চাহিদা অনেক।’ সৃজনশীল মেধার লোকজন ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ক্রমবর্ধমান চাহিদাসম্পন্ন এ পেশায় যোগ দিয়ে, অর্থাৎ দক্ষ ভিডিও এডিটর হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
ভিডিও এডিটরের কাজ: চিত্রগ্রাহকের ধারণ করা ভিডিও ফুটেজের অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত অংশ কাটছাঁট, ভিডিও ফুটেজের ধারাবাহিকতা ঠিক রেখে নতুনভাবে ভিডিওটি উপস্থাপন করাই একজন ভিডিও এডিটরের প্রধান কাজ। একজন ভিডিও এডিটর ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের সাহায্যে কারিগরি জ্ঞান ও সৃজনশীলতার মিশেলে একটি ভালো ভিডিও উপহার দেন।
এ পেশায় যাঁরা আসতে পারেন: কারিগরি দিক থেকে ভালো ও সৃজনশীল মেধার অধিকারী যে কেউ এ পেশায় আসতে পারেন বলে মনে করেন ইজিওয়ে কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী ইনামুল করিম। কম্পিউটারে কাজের ভালো ধারণা আছে এমন ব্যক্তিদের জন্য কাজটি অনেক সহজ হয়ে যায়। তবে সাউথ এশিয়ান মিডিয়া একাডেমি ‘পাঠশালা’র ফ্যাকাল্টি মডারেটর মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন মনে করেন, যে কেউ এ পেশায় আসতে পারেন। তবে এ মাধ্যমে তাঁদের প্রচুর আগ্রহ থাকতে হবে।
কাজের চাহিদা ও ক্ষেত্র: মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, ‘প্রশিক্ষণ শেষে একজন সহজেই এ পেশায় যুক্ত হতে পারেন। কারণ, আমাদের দেশে দক্ষ ভিডিও এডিটরের চাহিদা প্রচুর। ভালো ভিডিও এডিটরের প্রায় শতভাগই চাকরি পেয়ে থাকেন।’
প্রশিক্ষণ শেষে টিভি চ্যানেলে যেমন কাজ করার সুযোগ আছে, তেমনি ঘরে বসেও এ কাজ করা যায়। আবার অনেকেই যুক্ত হতে পারেন প্রোডাকশন হাউসগুলোতেও। এ ছাড়া রয়েছে অনেক এডিটিং ফার্ম, যেখানে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। দেশের বাইরেও কাজ করার অনেক সুযোগ আছে।
এ পেশায় ভালো করতে হলে: একজন ভিডিও এডিটরের অবশ্যই দেশ-বিদেশের সমসাময়িক অনুষ্ঠান সম্পর্কে স্বচ্ছ ও সম্যক জ্ঞান থাকতে হবে। একটি ভিডিও ফুটেজে কী ধরনের বৈচিত্র্য আনলে ছবির মান আরও ভালো হবে, সে বিষয়েও ভাবতে হবে।
যোগ্যতা: প্রশিক্ষণার্থীদের ন্যূনতম মাধ্যমিক পাস হতে হবে। তবে এ পেশায় ভালো করতে হলে আরও বেশি পড়াশোনা থাকলে বা স্নাতক পাস হলে ভালো হয় বলে জানান ইয়াকুব আলী মিঠু। তিনি আরও বলেন, ‘গণমাধ্যম সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকাও এ পেশার জন্য জরুরি।’
আয়: সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সাধারণত কাজের শুরুতে একজন ভিডিও এডিটরের মাসিক বেতন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। কাজে দক্ষতা দেখাতে পারলে তা দ্রুত বেড়ে যায়। এভাবেই একজন দক্ষ ভিডিও এডিটর এক লাখ টাকা কিংবা তারচেয়েও বড় অঙ্কের বেতন পেতে পারেন।
কোথায় শিখবেন: জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটসহ দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানেই এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণের মেয়াদ এক মাস কিংবা তারও বেশি হতে পারে। প্রশিক্ষণ ফি ছয় হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা কিংবা তারও বেশি হতে পারে।
যোগাযোগ
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট: ১২৫/এ দারুস সালাম এ ডব্লিউ চৌধুরী রোড, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬। ফোন: ৮০৩৫৯৫৮, পিএবিএক্স: ৯০০৭৪১০-৪, ফ্যাক্স: ৯০০৫৫৮০।
পাঠশালা: সাউথ এশিয়ান মিডিয়া একাডেমি, ১৬ শুক্রাবাদ, পান্থপথ, ঢাকা-১২০৭, ফোন: ৮৮-২-৯১২৯৮৪৭, ৯১৩৬৮৯৫, www.pathshala.net, www.drik.net।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া (বিজেম): ২৫৭/৮, এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন ঢাল, ঢাকা-১২০৫। ফোন: ৮৬১৭৯১২, ০১৭১৫-৮২২৭৭৮।
সেন্টার ফর অ্যাডভান্স মিডিয়া: নূরজাহান টাওয়ার, চতুর্থ তলা, ২ লিংক রোড, বাংলামোটর, ঢাকা।
ইজিওয়ে কমিউনিকেশন: ১৮০-১৮১ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি (ষষ্ঠ তলা), বিজয় নগর, ঢাকা-১০০০, ফোন: ০১৯১১০১৪১৮০, ০১৬৭৮০২৯৭২৪।
ইমেজ মিডিয়া ট্রেনিং সেন্টার: ৫২ নিউ ইস্কাটন, টিএমসি বিল্ডিং (পঞ্চম তলা), মোবাইল: ০১৭১৩৩৩৯৬৯৬।
মিডিয়া একাডেমি পাঠশালার প্রশিক্ষক ও ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রধান ভিডিও সম্পাদক ইয়াকুব আলী মিঠু বলেন, ‘প্রতিটি টিভি চ্যানেলে ২০ থেকে ২৫ জন ভিডিও এডিটর দরকার। সেটা যদি শুধু সংবাদ চ্যানেল হয়, তবে তার সংখ্যা আরও বেশি হয়। এ ছাড়া প্রোডাকশন হাউসগুলোতেও ভালো মানের ভিডিও এডিটরের চাহিদা অনেক।’ সৃজনশীল মেধার লোকজন ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ক্রমবর্ধমান চাহিদাসম্পন্ন এ পেশায় যোগ দিয়ে, অর্থাৎ দক্ষ ভিডিও এডিটর হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
ভিডিও এডিটরের কাজ: চিত্রগ্রাহকের ধারণ করা ভিডিও ফুটেজের অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত অংশ কাটছাঁট, ভিডিও ফুটেজের ধারাবাহিকতা ঠিক রেখে নতুনভাবে ভিডিওটি উপস্থাপন করাই একজন ভিডিও এডিটরের প্রধান কাজ। একজন ভিডিও এডিটর ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের সাহায্যে কারিগরি জ্ঞান ও সৃজনশীলতার মিশেলে একটি ভালো ভিডিও উপহার দেন।
এ পেশায় যাঁরা আসতে পারেন: কারিগরি দিক থেকে ভালো ও সৃজনশীল মেধার অধিকারী যে কেউ এ পেশায় আসতে পারেন বলে মনে করেন ইজিওয়ে কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী ইনামুল করিম। কম্পিউটারে কাজের ভালো ধারণা আছে এমন ব্যক্তিদের জন্য কাজটি অনেক সহজ হয়ে যায়। তবে সাউথ এশিয়ান মিডিয়া একাডেমি ‘পাঠশালা’র ফ্যাকাল্টি মডারেটর মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন মনে করেন, যে কেউ এ পেশায় আসতে পারেন। তবে এ মাধ্যমে তাঁদের প্রচুর আগ্রহ থাকতে হবে।
কাজের চাহিদা ও ক্ষেত্র: মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, ‘প্রশিক্ষণ শেষে একজন সহজেই এ পেশায় যুক্ত হতে পারেন। কারণ, আমাদের দেশে দক্ষ ভিডিও এডিটরের চাহিদা প্রচুর। ভালো ভিডিও এডিটরের প্রায় শতভাগই চাকরি পেয়ে থাকেন।’
প্রশিক্ষণ শেষে টিভি চ্যানেলে যেমন কাজ করার সুযোগ আছে, তেমনি ঘরে বসেও এ কাজ করা যায়। আবার অনেকেই যুক্ত হতে পারেন প্রোডাকশন হাউসগুলোতেও। এ ছাড়া রয়েছে অনেক এডিটিং ফার্ম, যেখানে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। দেশের বাইরেও কাজ করার অনেক সুযোগ আছে।
এ পেশায় ভালো করতে হলে: একজন ভিডিও এডিটরের অবশ্যই দেশ-বিদেশের সমসাময়িক অনুষ্ঠান সম্পর্কে স্বচ্ছ ও সম্যক জ্ঞান থাকতে হবে। একটি ভিডিও ফুটেজে কী ধরনের বৈচিত্র্য আনলে ছবির মান আরও ভালো হবে, সে বিষয়েও ভাবতে হবে।
যোগ্যতা: প্রশিক্ষণার্থীদের ন্যূনতম মাধ্যমিক পাস হতে হবে। তবে এ পেশায় ভালো করতে হলে আরও বেশি পড়াশোনা থাকলে বা স্নাতক পাস হলে ভালো হয় বলে জানান ইয়াকুব আলী মিঠু। তিনি আরও বলেন, ‘গণমাধ্যম সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকাও এ পেশার জন্য জরুরি।’
আয়: সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সাধারণত কাজের শুরুতে একজন ভিডিও এডিটরের মাসিক বেতন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। কাজে দক্ষতা দেখাতে পারলে তা দ্রুত বেড়ে যায়। এভাবেই একজন দক্ষ ভিডিও এডিটর এক লাখ টাকা কিংবা তারচেয়েও বড় অঙ্কের বেতন পেতে পারেন।
কোথায় শিখবেন: জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটসহ দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানেই এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণের মেয়াদ এক মাস কিংবা তারও বেশি হতে পারে। প্রশিক্ষণ ফি ছয় হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা কিংবা তারও বেশি হতে পারে।
যোগাযোগ
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট: ১২৫/এ দারুস সালাম এ ডব্লিউ চৌধুরী রোড, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬। ফোন: ৮০৩৫৯৫৮, পিএবিএক্স: ৯০০৭৪১০-৪, ফ্যাক্স: ৯০০৫৫৮০।
পাঠশালা: সাউথ এশিয়ান মিডিয়া একাডেমি, ১৬ শুক্রাবাদ, পান্থপথ, ঢাকা-১২০৭, ফোন: ৮৮-২-৯১২৯৮৪৭, ৯১৩৬৮৯৫, www.pathshala.net, www.drik.net।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া (বিজেম): ২৫৭/৮, এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন ঢাল, ঢাকা-১২০৫। ফোন: ৮৬১৭৯১২, ০১৭১৫-৮২২৭৭৮।
সেন্টার ফর অ্যাডভান্স মিডিয়া: নূরজাহান টাওয়ার, চতুর্থ তলা, ২ লিংক রোড, বাংলামোটর, ঢাকা।
ইজিওয়ে কমিউনিকেশন: ১৮০-১৮১ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি (ষষ্ঠ তলা), বিজয় নগর, ঢাকা-১০০০, ফোন: ০১৯১১০১৪১৮০, ০১৬৭৮০২৯৭২৪।
ইমেজ মিডিয়া ট্রেনিং সেন্টার: ৫২ নিউ ইস্কাটন, টিএমসি বিল্ডিং (পঞ্চম তলা), মোবাইল: ০১৭১৩৩৩৯৬৯৬।
No comments