আয়ারল্যান্ড ম্যাচের আগে পরে
দিবাকর ভরদ্বাজ জয়ের পর বলছি টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্তটা অসাধারণ হয়েছে। পরে ব্যাট করায় আইরিশদের ওপর একটা চাপ তৈরি হয়ে গিয়েছিল, সেটা দুর্দান্তভাবে কাজে লাগিয়েছেন বোলাররা। তামিম অসাধারণ একটা ইনিংস খেলে দিয়ে গেছেন। এই উইকেটে অমন একটা ইনিংস না হলে লড়াকু স্কোর করা যেত না।
মুশফিক-রকিবুলের জুটিটা দারুণ কার্যকর ছিল। উইকেটে বল আস্তে আসছিল। ওই সময় শট না খেলে স্ট্রাইক বদল করার মতো বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন তাঁরা।
দুই পেসার নিয়ে খেলতে নামাটা ঠিক সিদ্ধান্ত। আমরা শুরু থেকেই দুই পেসারের পক্ষে ছিলাম। বল একটু পুরোনো হলে দুই পেসারই যেভাবে স্লোয়ার দিয়েছেন, সেটা খুব প্রয়োজন ছিল।
একটু ঝুঁকি নিয়ে শফিউলকে মাঠে না নামালেই বোকামি হতো। শফিউল যে এই উইকেটে পুরোনো বলে মারাত্মক অস্ত্র হয়ে উঠতে পারেন, এটা তো জানা কথা।
পাঁচ ওভারের মধ্যে দুই স্পিনারকে আক্রমণে নিয়ে আসায় খেলা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। আমাদের এই উইকেটে স্পিনারদেরই আগে আক্রমণে আনতে হবে।
সাকিব নিজে এবং রাজ্জাক এক উইকেট পেয়েও যে আর বোলিংয়ে এলেন না, এর চেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত আর হয় না। মাঝের ওভারগুলোতে বল করার জন্য অভিজ্ঞ স্পিনারদের রেখে দেওয়াটা খুব দরকার ছিল।
নাঈমকে দিয়ে এক প্রান্তে বল করিয়ে যেতে হবে, এটা মোটামুটি স্বীকৃত একটা ব্যাপার। সাকিব যে নাঈমের ওপর এই আস্থা রেখেছেন, এ জন্য তাঁকে ধন্যবাদ।
আশরাফুল যে কত ভালো অফ স্পিনার হয়ে উঠেছেন, সেটা আমরা জানতাম। এমন একটা ম্যাচে একঝাঁক বাঁহাতি স্পিনার না খেলিয়ে এ রকম একজন অফ স্পিনার খেলানোর কথা যে কেন বারবার বলা হচ্ছিল, তার প্রমাণ এই ম্যাচ। এরপর আশরাফুল শুধু বোলার হিসেবেও দলে সুযোগ পেতে পারেন।
ম্যাচে সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব দিতে হবে তারুণ্যকে। এই তরুণেরা যে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন, সে কথাই বারবার বলে গেছেন কবিগুরু।
বিচক্ষণ অধিনায়কত্ব হয়েছে। সাকিব দিনকে দিন আরও পরিণত হয়ে উঠছেন। যেভাবে বোলিং চেঞ্জগুলো করলেন, তা দেখলে মাইক ব্রিয়ারলির (তাঁর অধিনায়কত্ব কখনো দেখিনি) কথা মনে পড়ে যায়! একদম যে সময় যে পরিবর্তনটি করা দরকার মনে হচ্ছিল, তাই করেছেন সাকিব।
হারলে বলতাম
আগের ম্যাচে টসে জিতে এক ভুল করেছিল। এ ম্যাচে আরেক ভুল হলো। আরে ভাই, মিরপুরে আগে ব্যাট করে ম্যাচ জেতা যায় নাকি? তার ওপর আবার ‘ডিউ ফ্যাক্টর’ আছে।
তামিম দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আউট হয়েই বিপদে ফেললেন দলকে। কেমন যেন ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়ে ফিরলেন। তাঁর এই আউটের জন্য জবাবদিহি করা উচিত।
মুশফিক-রকিবুলের জুটিটাই ডুবিয়েছে। একবার যখন উইকেটে সেট হয়ে গেছিস, রানের চাকা ঘোরানোর চেষ্টা কর। তা না, উইকেটে খুঁটি পুঁতে বসে থাকল দুজন। এঁদের কাছ থেকে আর কী আশা করা যায়!
দুদিন আগে থেকেই আমরা বলছিলাম, এক পেসার নিয়ে খেলা উচিত। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই পেসার নামিয়ে লাভ কী? পেসার কী কাজে লাগে। এর চেয়ে আরেকটা স্পিনার বেশি নেওয়া যেত।
যে ছেলে আগের দিনও চোটের জন্য অনুশীলন করতে পারেননি, সেই শফিউলকে কোন কারণে মাঠে নামানো হলো? এই অনভিজ্ঞ পেসারই তো ডোবালেন। না বুঝে-শুনে শুধু স্লোয়ার দেন!
এটা কী পাড়াতো ম্যাচ নাকি! পাঁচ ওভারের মধ্যেই স্পিন আক্রমণে নিয়ে এলেন সাকিব! আরে ভাই, তাহলে পেসার নিয়েছেন কেন দলে?
একটা করে উইকেট পাওয়ার পরও সাকিব ও রাজ্জাক কেন আর বোলিংয়ে এলেন না, এর স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাওয়া দরকার? বিসিবিকে এই ব্যাপারটা খতিয়ে দেখতে হবে। এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না তো?
নাঈমের মতো অকেশনাল বোলারকে দিয়ে প্রথম পাওয়ার প্লের সময় টানা বোলিং করানোটা রীতিমতো বোকামি। তিনি তো বল নিয়ন্ত্রণই করতে পারেন না। তিনি কী করে একটানা বোলিং করার সুযোগ পান?
আশরাফুল, যে কিনা লেগ স্পিন-অফ স্পিন কোনোটাই ঠিক করতে পারেন না, তাঁকে দেওয়া হলো বোলিং! তিনি তো পাড়ার ম্যাচেও বল করার যোগ্যতা রাখেন না। বিস্ময়কর সব হঠকারী সিদ্ধান্ত। আশরাফুলকে তো আর কখনোই জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চড়াতে দেওয়া উচিত না।
ইঁচড়ে পাকা কতগুলো ছেলেকে জাতীয় দলের জার্সি পরিয়ে দেওয়াটাই ভুল হয়েছে। শুধু ডেপোমি করা কথাবার্তা বলতে পারেন তাঁরা, দেশের মানমর্যাদা রাখতে পারেন না।
চোখে পড়ার মতো জঘন্য অধিনায়কত্ব হয়েছে। এই বয়সী একটা ছেলেকে অধিনায়কত্ব দেওয়ার ফলটা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে। যে ছেলে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করার আগে কখনো বড় কোনো দলে নেতৃত্বই দেননি, তাঁকে কেন অধিনায়ক করা হলো, এ ব্যাপারে বোর্ডকে জবাব দিতে হবে।
ম্যাচের আগে
এসব আয়ারল্যান্ড-ফায়ারল্যান্ডকে যে কারা ক্রিকেট খেলতে দেয়! এদের জন্য ক্রিকেটের জাতটা যাচ্ছে। বাংলাদেশ তো হেসে-খেলে জিতবে।
মধ্যবিরতিতে
ক্রিকেট নিয়ে এত ভাবার কী আছে? আয়ারল্যান্ড জিতল না হল্যান্ড—এই নিয়ে ঘুম নষ্ট করছে লোকেরা! আরে ভাই, ক্রিকেট তো আসলে কোনো খেলাই না। এ ব্যাপারে বিশিষ্ট তাত্ত্বিক....
খেলা শেষে
আবার প্রমাণিত হলো, ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। ক্রিকেটই একমাত্র খেলা, যা কবিকে কাব্য রচনায়, গল্পকারকে গল্প রচনায় প্রেরণা দিতে পারে। ক্রিকেট ছাড়া আর কোনো খেলার মানুষের মনে এভাবে পৌঁছানো সম্ভব নয়।
দুই পেসার নিয়ে খেলতে নামাটা ঠিক সিদ্ধান্ত। আমরা শুরু থেকেই দুই পেসারের পক্ষে ছিলাম। বল একটু পুরোনো হলে দুই পেসারই যেভাবে স্লোয়ার দিয়েছেন, সেটা খুব প্রয়োজন ছিল।
একটু ঝুঁকি নিয়ে শফিউলকে মাঠে না নামালেই বোকামি হতো। শফিউল যে এই উইকেটে পুরোনো বলে মারাত্মক অস্ত্র হয়ে উঠতে পারেন, এটা তো জানা কথা।
পাঁচ ওভারের মধ্যে দুই স্পিনারকে আক্রমণে নিয়ে আসায় খেলা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। আমাদের এই উইকেটে স্পিনারদেরই আগে আক্রমণে আনতে হবে।
সাকিব নিজে এবং রাজ্জাক এক উইকেট পেয়েও যে আর বোলিংয়ে এলেন না, এর চেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত আর হয় না। মাঝের ওভারগুলোতে বল করার জন্য অভিজ্ঞ স্পিনারদের রেখে দেওয়াটা খুব দরকার ছিল।
নাঈমকে দিয়ে এক প্রান্তে বল করিয়ে যেতে হবে, এটা মোটামুটি স্বীকৃত একটা ব্যাপার। সাকিব যে নাঈমের ওপর এই আস্থা রেখেছেন, এ জন্য তাঁকে ধন্যবাদ।
আশরাফুল যে কত ভালো অফ স্পিনার হয়ে উঠেছেন, সেটা আমরা জানতাম। এমন একটা ম্যাচে একঝাঁক বাঁহাতি স্পিনার না খেলিয়ে এ রকম একজন অফ স্পিনার খেলানোর কথা যে কেন বারবার বলা হচ্ছিল, তার প্রমাণ এই ম্যাচ। এরপর আশরাফুল শুধু বোলার হিসেবেও দলে সুযোগ পেতে পারেন।
ম্যাচে সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব দিতে হবে তারুণ্যকে। এই তরুণেরা যে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন, সে কথাই বারবার বলে গেছেন কবিগুরু।
বিচক্ষণ অধিনায়কত্ব হয়েছে। সাকিব দিনকে দিন আরও পরিণত হয়ে উঠছেন। যেভাবে বোলিং চেঞ্জগুলো করলেন, তা দেখলে মাইক ব্রিয়ারলির (তাঁর অধিনায়কত্ব কখনো দেখিনি) কথা মনে পড়ে যায়! একদম যে সময় যে পরিবর্তনটি করা দরকার মনে হচ্ছিল, তাই করেছেন সাকিব।
হারলে বলতাম
আগের ম্যাচে টসে জিতে এক ভুল করেছিল। এ ম্যাচে আরেক ভুল হলো। আরে ভাই, মিরপুরে আগে ব্যাট করে ম্যাচ জেতা যায় নাকি? তার ওপর আবার ‘ডিউ ফ্যাক্টর’ আছে।
তামিম দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আউট হয়েই বিপদে ফেললেন দলকে। কেমন যেন ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়ে ফিরলেন। তাঁর এই আউটের জন্য জবাবদিহি করা উচিত।
মুশফিক-রকিবুলের জুটিটাই ডুবিয়েছে। একবার যখন উইকেটে সেট হয়ে গেছিস, রানের চাকা ঘোরানোর চেষ্টা কর। তা না, উইকেটে খুঁটি পুঁতে বসে থাকল দুজন। এঁদের কাছ থেকে আর কী আশা করা যায়!
দুদিন আগে থেকেই আমরা বলছিলাম, এক পেসার নিয়ে খেলা উচিত। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই পেসার নামিয়ে লাভ কী? পেসার কী কাজে লাগে। এর চেয়ে আরেকটা স্পিনার বেশি নেওয়া যেত।
যে ছেলে আগের দিনও চোটের জন্য অনুশীলন করতে পারেননি, সেই শফিউলকে কোন কারণে মাঠে নামানো হলো? এই অনভিজ্ঞ পেসারই তো ডোবালেন। না বুঝে-শুনে শুধু স্লোয়ার দেন!
এটা কী পাড়াতো ম্যাচ নাকি! পাঁচ ওভারের মধ্যেই স্পিন আক্রমণে নিয়ে এলেন সাকিব! আরে ভাই, তাহলে পেসার নিয়েছেন কেন দলে?
একটা করে উইকেট পাওয়ার পরও সাকিব ও রাজ্জাক কেন আর বোলিংয়ে এলেন না, এর স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাওয়া দরকার? বিসিবিকে এই ব্যাপারটা খতিয়ে দেখতে হবে। এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না তো?
নাঈমের মতো অকেশনাল বোলারকে দিয়ে প্রথম পাওয়ার প্লের সময় টানা বোলিং করানোটা রীতিমতো বোকামি। তিনি তো বল নিয়ন্ত্রণই করতে পারেন না। তিনি কী করে একটানা বোলিং করার সুযোগ পান?
আশরাফুল, যে কিনা লেগ স্পিন-অফ স্পিন কোনোটাই ঠিক করতে পারেন না, তাঁকে দেওয়া হলো বোলিং! তিনি তো পাড়ার ম্যাচেও বল করার যোগ্যতা রাখেন না। বিস্ময়কর সব হঠকারী সিদ্ধান্ত। আশরাফুলকে তো আর কখনোই জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চড়াতে দেওয়া উচিত না।
ইঁচড়ে পাকা কতগুলো ছেলেকে জাতীয় দলের জার্সি পরিয়ে দেওয়াটাই ভুল হয়েছে। শুধু ডেপোমি করা কথাবার্তা বলতে পারেন তাঁরা, দেশের মানমর্যাদা রাখতে পারেন না।
চোখে পড়ার মতো জঘন্য অধিনায়কত্ব হয়েছে। এই বয়সী একটা ছেলেকে অধিনায়কত্ব দেওয়ার ফলটা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে। যে ছেলে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করার আগে কখনো বড় কোনো দলে নেতৃত্বই দেননি, তাঁকে কেন অধিনায়ক করা হলো, এ ব্যাপারে বোর্ডকে জবাব দিতে হবে।
ম্যাচের আগে
এসব আয়ারল্যান্ড-ফায়ারল্যান্ডকে যে কারা ক্রিকেট খেলতে দেয়! এদের জন্য ক্রিকেটের জাতটা যাচ্ছে। বাংলাদেশ তো হেসে-খেলে জিতবে।
মধ্যবিরতিতে
ক্রিকেট নিয়ে এত ভাবার কী আছে? আয়ারল্যান্ড জিতল না হল্যান্ড—এই নিয়ে ঘুম নষ্ট করছে লোকেরা! আরে ভাই, ক্রিকেট তো আসলে কোনো খেলাই না। এ ব্যাপারে বিশিষ্ট তাত্ত্বিক....
খেলা শেষে
আবার প্রমাণিত হলো, ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। ক্রিকেটই একমাত্র খেলা, যা কবিকে কাব্য রচনায়, গল্পকারকে গল্প রচনায় প্রেরণা দিতে পারে। ক্রিকেট ছাড়া আর কোনো খেলার মানুষের মনে এভাবে পৌঁছানো সম্ভব নয়।
No comments