ঝরে পড়া কমাতে হবে, পাসের হার বাড়াতে হবে-জেএসসি পরীক্ষার ফল
দেশের আটটি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত অষ্টম শ্রেণীর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার যে ফল গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে, তা উৎসাহব্যঞ্জক নয়। সারা দেশে গড় পাসের হার ৭১ দশমিক ৩৪ শতাংশ; সর্বোচ্চ সাফল্য জিপিএ-৫ পেয়েছে এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও বেশ কম। অধিকাংশ পরীক্ষার্থীই জিপিএ-২ ও জিপিএ-৩-এর মাঝামাঝি গ্রেড পেয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের তুলনায় এ চিত্র অনেকটা ম্লান। এর পেছনে কী কী কারণ থাকতে পারে, তা শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখবেন। প্রথমবার পরীক্ষা হয়েছে, তাই কিছু দুর্বলতা থাকা অস্বাভাবিক নয়। সাধারণভাবে পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে শিক্ষার্থীরা আগের বছরগুলোর প্রশ্নপত্রের আলোকে প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করে; শিক্ষকেরাও যেসব ‘সাজেশন’ দেন, সেগুলোও আগের বছরগুলোর প্রশ্নপত্রের আলোকেই দিয়ে থাকেন। এ পরীক্ষায় তেমন কোনো সুযোগ ছিল না। কিন্তু তাতে করে শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞানের কোনো হেরফের ঘটার কথা নয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ফল ভালো, কিন্তু অষ্টম শ্রেণীর এ পরীক্ষার ফলে দেখা যাচ্ছে, ছেলেরাই এগিয়ে রয়েছে। এর কী কারণ থাকতে পারে, তাও খতিয়ে দেখা উচিত। এখানে লক্ষ করা রাখা যেতে পারে, ওপরের পর্যায়ে গিয়ে পরিবার বা বিদ্যালয়ের তরফ থেকে মেয়েশিশুদের পড়াশোনার প্রতি যত্ন ও মনোযোগ কমে যাচ্ছে কি না। ৮০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেও পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। এই বিপুলসংখ্যক ছেলেমেয়ে অষ্টম শ্রেণীতেই শিক্ষাজীবন থেকে কেন ঝরে পড়ল, তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কেউই যাতে ঝরে না পড়ে, সে লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। কারণ, একুশ শতকের এই বিশ্বে টিকে থাকতে হলে, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হলে জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত শ্রমশক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। সে লক্ষ্যে ন্যূনতম উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সবাইকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। অষ্টম শ্রেণীতেই কাউকে ঝরে পড়তে দেওয়া চলবে না।
আমরা আশা করি, আগামী বছরগুলোতে এই পরীক্ষার ফল আরও ভালো হবে। তবে শুধু ভালো ফল করার দিকেই দৃষ্টি দিলে চলবে না, পড়াশোনার গুণগত মানও যেন ভালো ফলের সঙ্গে সঙ্গে অর্জিত হয়, সেদিকেই বেশি মনোযোগী হতে হবে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সবাইকে।
প্রাথমিক পর্যায়ে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ফল ভালো, কিন্তু অষ্টম শ্রেণীর এ পরীক্ষার ফলে দেখা যাচ্ছে, ছেলেরাই এগিয়ে রয়েছে। এর কী কারণ থাকতে পারে, তাও খতিয়ে দেখা উচিত। এখানে লক্ষ করা রাখা যেতে পারে, ওপরের পর্যায়ে গিয়ে পরিবার বা বিদ্যালয়ের তরফ থেকে মেয়েশিশুদের পড়াশোনার প্রতি যত্ন ও মনোযোগ কমে যাচ্ছে কি না। ৮০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেও পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। এই বিপুলসংখ্যক ছেলেমেয়ে অষ্টম শ্রেণীতেই শিক্ষাজীবন থেকে কেন ঝরে পড়ল, তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কেউই যাতে ঝরে না পড়ে, সে লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। কারণ, একুশ শতকের এই বিশ্বে টিকে থাকতে হলে, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হলে জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত শ্রমশক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। সে লক্ষ্যে ন্যূনতম উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সবাইকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। অষ্টম শ্রেণীতেই কাউকে ঝরে পড়তে দেওয়া চলবে না।
আমরা আশা করি, আগামী বছরগুলোতে এই পরীক্ষার ফল আরও ভালো হবে। তবে শুধু ভালো ফল করার দিকেই দৃষ্টি দিলে চলবে না, পড়াশোনার গুণগত মানও যেন ভালো ফলের সঙ্গে সঙ্গে অর্জিত হয়, সেদিকেই বেশি মনোযোগী হতে হবে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সবাইকে।
No comments