সরকারের নজরদারি জরুরি প্রয়োজন-এলপি গ্যাসের বাড়তি দাম
এ দেশে গৃহস্থালির কাজে এলপি গ্যাস ব্যবহারকারীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশি টাকা দিয়ে তাঁদের গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে হয়। বাড়তি দামও স্থিতিশীল থাকে না; নির্ধারিত ডিলার ও তাঁদের নিয়োজিত খুচরা বিক্রেতারা কারসাজি করে ক্রমাগত বাড়তি মূল্য হাঁকেন; কৃত্রিম সংকটের কথা বলে বাড়তি মুনাফা করেন।
প্রথম আলোয় বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে বিশদ তথ্য রয়েছে। দেশে উৎপাদিত সরকারি খাতের প্রতি সিলিন্ডার এলপিজির নির্ধারিত দাম খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে ৭০০ টাকা। কিন্তু দেশের কোথাও কোনো গ্রাহক এই দামে সিলিন্ডার কিনতে পারেন না। কোথাও এক হাজার ২০০ টাকা, কোথাও আরও বেশি দামে এক সিলিন্ডার এলপিজি কিনতে হয়। বেসরকারি খাতের প্রতি সিলিন্ডার এলপিজির নির্ধারিত দাম এক হাজার ১০০ টাকা। কিন্তু গ্রাহকদের কিনতে হয় দেড় হাজার টাকায়।
দেশে বর্তমানে এলপিজির চাহিদা কত, সে সম্পর্কে সরকারি বা বেসরকারি কোনো খাতেই সুনির্দিষ্ট হিসাব নেই। তবে বলা হয়ে থাকে, বার্ষিক চাহিদা এক কোটি ২০ লাখ সিলিন্ডার (সিলিন্ডারপ্রতি ১২ কেজি এলপিজি); কিন্তু এই চাহিদার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সরবরাহ করা হয়। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় সরবরাহ নিতান্তই অপ্রতুল। মূলত এই সুযোগেই ডিলার ও তাঁদের নিয়োজিত খুচরা বিক্রেতারা নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশি দাম আদায় করতে পারছেন।
কিন্তু এটা অন্যায়; সরবরাহ কম বলেই নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম আদায় করার অধিকার কারোর নেই। তাহলে দাম নির্ধারণের কোনো অর্থই থাকে না। এমনিতেই বাংলাদেশের এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারপ্রতি মূল্য যা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা পার্শ্ববর্তী ভারতের তুলনায় অনেক বেশি। ভারতে ১৪ দশমিক ২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের সর্বোচ্চ খুচরা দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৫০ টাকার সমান। আর বাংলাদেশের ১২ কেজি এলপিজির সিলিন্ডারপ্রতি নির্ধারিত মূল্য ৭০০ টাকা, কিন্তু গ্রাহকেরা এই টাকায় তা কিনতে পারেন না, কিনতে হয় এক হাজার বা তারও বেশি টাকায়। অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুণ দাম দিয়েও আমাদের গ্রাহকেরা পাচ্ছেন ভারতের গ্রাহকদের চেয়ে কম পরিমাণ এলপিজি। অনেক সময় সিলিন্ডারে ১২ কেজির চেয়েও কম এলপিজি থাকে।
সরকার এলপিজি খাতে উচ্চ হারে শুল্ক আদায় করে। কিন্তু সরকারি বা বেসরকারি কোনো খাতেই এলপিজি বিপণনের ক্ষেত্রে সরকারের কোনো নজরদারি নেই। থাকলে গ্রাহকদের এভাবে জিম্মি করে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা এত বেশি দাম হাঁকাতে পারতেন না। আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নির্ধারিত দামেই যেন এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি হয়, তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
দেশে বর্তমানে এলপিজির চাহিদা কত, সে সম্পর্কে সরকারি বা বেসরকারি কোনো খাতেই সুনির্দিষ্ট হিসাব নেই। তবে বলা হয়ে থাকে, বার্ষিক চাহিদা এক কোটি ২০ লাখ সিলিন্ডার (সিলিন্ডারপ্রতি ১২ কেজি এলপিজি); কিন্তু এই চাহিদার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সরবরাহ করা হয়। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় সরবরাহ নিতান্তই অপ্রতুল। মূলত এই সুযোগেই ডিলার ও তাঁদের নিয়োজিত খুচরা বিক্রেতারা নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশি দাম আদায় করতে পারছেন।
কিন্তু এটা অন্যায়; সরবরাহ কম বলেই নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম আদায় করার অধিকার কারোর নেই। তাহলে দাম নির্ধারণের কোনো অর্থই থাকে না। এমনিতেই বাংলাদেশের এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারপ্রতি মূল্য যা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা পার্শ্ববর্তী ভারতের তুলনায় অনেক বেশি। ভারতে ১৪ দশমিক ২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের সর্বোচ্চ খুচরা দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৫০ টাকার সমান। আর বাংলাদেশের ১২ কেজি এলপিজির সিলিন্ডারপ্রতি নির্ধারিত মূল্য ৭০০ টাকা, কিন্তু গ্রাহকেরা এই টাকায় তা কিনতে পারেন না, কিনতে হয় এক হাজার বা তারও বেশি টাকায়। অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুণ দাম দিয়েও আমাদের গ্রাহকেরা পাচ্ছেন ভারতের গ্রাহকদের চেয়ে কম পরিমাণ এলপিজি। অনেক সময় সিলিন্ডারে ১২ কেজির চেয়েও কম এলপিজি থাকে।
সরকার এলপিজি খাতে উচ্চ হারে শুল্ক আদায় করে। কিন্তু সরকারি বা বেসরকারি কোনো খাতেই এলপিজি বিপণনের ক্ষেত্রে সরকারের কোনো নজরদারি নেই। থাকলে গ্রাহকদের এভাবে জিম্মি করে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা এত বেশি দাম হাঁকাতে পারতেন না। আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নির্ধারিত দামেই যেন এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি হয়, তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
No comments