যৌন নিপীড়ন-আসুন, সিরাপিনার আত্মার কাছে ক্ষমা চাই by আনিসুজ্জামান মানিক
আসুন, আমরা সিরাপিনা মার্ডির আত্মার কাছে ক্ষমা চাই। যদি তার পবিত্র আত্মা ক্ষমা করে, তবেই কেবল আমাদের ইজ্জত রক্ষা হয়। আমরা অন্তত বলতে পারব, আমরা মানুষ ছিলাম। আমরা ক্ষমা চেয়েছি। সিরাপিনা তুমি আমাদের ক্ষমা করো। আমরা তোমার মতো আর কাউকে মরতে দেব না।
সিরাপিনা বরেন্দ্র অঞ্চলের সাঁওতালপাড়া ছেড়ে অনেক দূরে চলে গেছে। হাস্যোজ্জ্বল মাটির মেয়েটি কখনো আর ফিরে আসবে না। সে যাওয়ার সময় এই অসভ্য-নিষ্ঠুর-বর্বর বিবেকহীন পোশাকি মানুষগুলোকে শুধুই ঘৃণা করে গেছে। সে পারত তথাকথিত সমাজপতিদের মুখে একগাল থুথু ছিটিয়ে দিতে। এই সাহস তার ছিল। গায়ে আগুন দেওয়ার আগে কেউ যেন তার কাছে আসতে না পারে, সে জন্য সিরাপিনা হাঁসুয়া নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। যেন সে চিৎকার করে বলছে, এই অসভ্য মানুষ, তোমরা কেউ আমাকে স্পর্শ করো না। সমস্ত ঘৃণা তোমাদের প্রতি। সে অসভ্য-বর্বর সমাজপতিদের সত্যিকারের হিংস্র রূপ দেখেছে।
সিরাপিনা মাত্র ১৪ বছর বয়সে জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হারিয়েছে। সমাজপতিরা এই সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করেছে টাকার অঙ্কে। সিরাপিনা মেনে নিতে পারেনি। মৃত্যুর আগে টাকা নিতে নিষেধ করেছিল। সে বিচার চেয়েছিল। সে বিচার চায়। হিংস্র দানবদের বিচার চায়। যারা তাকে পালাক্রমে অপমান করেছে, তাদের বিচার চায়। সিরাপিনা টাকাকে ঘৃণা করলেও তার দিনমজুর বাবা স্থানীয় চার্চের ফাদারের নির্দেশের বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা রাখেন না। কিন্তু সিরাপানা রাখে। সে গায়ে আগুন দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, ইজ্জতের চেয়ে, আত্মসম্মানের চেয়ে এই পৃথিবীতে মূল্যবান কোনো ধন নেই। আসুন, আমরাও সিরাপিনার আদর্শ অবলম্বন করে আমাদের আত্মসম্মান রক্ষা করি। সিরাপিনা হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলা থেকে মাত্র ২৩ কিলোমিটার দূরে ঋষিকুল ইউনিয়নের আমতলী গ্রাম। এই গ্রামের সাঁওতালপল্লির মেয়ে সিরাপিনা মার্ডি। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই সিরাপিনা মার্ডি বিষাক্ত পৃথিবীর নগ্নরূপ দেখেছে। একসময় সাঁওতাল অধ্যুষিত ছিল ঋষিকুল ইউনিয়ন। এখন কয়েক ঘর মাত্র। এই ঘরের এক মেয়ে সিরাপিনা। আমরা যখন সিরাপিনাদের বাড়ি পৌঁছাই, তার আগেই সে এই জগৎ থেকে বিদায় নিয়েছে। মেয়েকে হারিয়ে সিরাপিনার মা নির্বাক। অনেক চেষ্টা করেও সিরাপিনার মায়ের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। অনেক প্রশ্নের জবাবে শূন্য আকাশের দিকে নির্বাক দৃষ্টিতে চেয়ে শুধু বলেছেন, মেয়ে কি ফিরে আসবে? এর কোনো উত্তর আমাদের জানা ছিল না। সিরাপিনার বাবার সঙ্গে কথা হয় সিরাপিনা যে স্থানে গায়ে আগুন দিয়েছিল, তার ঠিক দুই গজ দূরে দাঁড়িয়ে। তিনি জানালেন, তাঁর স্ত্রীও ধর্ষিত হয়েছিল। হতদরিদ্র হওয়ায় বিচার হয়নি। এ রকম ঘটনা প্রায়ই ঘটে এই সাঁওতালপল্লিতে। এসব নিয়ে উচ্চবাচ্য হয় না। মামলা হয় না। কিন্তু সিরাপিনা রক্তের উত্তরাধিকারকে শ্রদ্ধার সঙ্গে সম্মান করে জানান দিয়েছে, সে রাসমণির বংশধর। ইলা মিত্রের মাটির সন্তান সে। চার্চের তথাকথিত মীমাংসাকে মেনে নেয়নি। স্থানীয় চার্চের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
স্থানীয় চার্চ কর্তৃপক্ষ সিরাপিনাকে সেবাদাসী বানাতে চেয়েছিল। চার্চে নিয়ে কিছুদিন আটকেও রেখেছিল। এ নিয়ে চার্চের ফাদারের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম গোদাগাড়ী থানার হাজতখানায়। অন্য আসামিদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হলেও হাজতখানার মেঝেতে ফাদার ঘুমাচ্ছিলেন। আসামিদের একজন জানালেন, তিনি সালিসের সময় ছিলেন না, টাকা দেওয়ার মধ্যস্থতা করেছেন। চার্চের ফাদার মধ্যস্থতা করেছেন। সিরাপিনাদের প্রতিবেশী তোফাজ্জল হোসেন জানালেন, বিচার না পেয়ে সিরাপিনা আত্মহত্যা করেছে।
রাজশাহী জেলা মহিলা পরিষদ শাখার নেত্রীদের সঙ্গে আমরা ধর্ষকদের একজনের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাই। এই ধর্ষকের মায়ের সরল স্বীকারোক্তি, ‘এটা আমাদের ভেতরের ঘটনা, আপনি কেন এসেছেন?’ তিনি আরও জানালেন, টাকা দিয়ে সব মিটমাট করা হয়েছে। ছেলেকে তিনি শাসন করেছেন। ধর্ষণ করার অপরাধে ছেলেকে কান ধরে ১০ বার ওঠবস করিয়েছেন এবং ধর্ষক ছেলে স্বীকার করেছে, আর কোনো দিন এসব করবে না। এতেই ধর্ষকের মায়ের সান্ত্বনা। আসার সময় পেছন থেকে শুনতে পেলাম, ‘সরকার টাকা দিছে, তাই এসেছে।’ সরকারের কোনো পক্ষের সঙ্গেই আমাদের যোগাযোগ হয়নি। প্রথম আলোয় খবরটি দেখে নারী নেত্রী মাহবুবা কানিজ কেয়ার নেতৃত্বে আমরা সিরাপিনাদের বাড়ি যাই।
খ্রিষ্টধর্ম অনুসারে ভার্জিনিটি বেস্ট। এটা সত্য হলে চার্চের ফাদার কী করে ধর্ষণের মতো ভয়ংকর অপরাধকে টাকার মাধ্যমে সমঝোতা করেন? হতদরিদ্র আদিবাসী সমাজে ফাদারদের ভূমিকা বিশাল। ফাদারের সিদ্ধান্ত ছাড়া এরা কিছুই করে না।
সিরাপিনা বাঁচতে চেয়েছিল। সিরাপিনার ছোট বোনের কাছে সে বলেছিল, যদি বিয়ে না হয়, তাহলে পড়াশোনা করে চাকরি করবে। সেটা হলো না। আমতলী গ্রামের ধর্ষকের মা বলেছেন, গ্রামটি এবার ধ্বংস হয়ে যাবে। গোদাগাড়ী থানাহাজতে অপরাধী চক্র বলেছে, গ্রামটি ধ্বংস হয়ে যাবে। তারা যে সিরাপিনাকে হত্যার জন্য এ কথা বলেনি, সবই যেন পেটেন্ট করা কথা বলছে। সিরাপিনার আত্মসম্মানের কথাটি এদের কাছে বড় নয়। সিরাপিনার মতো ধর্ষকের মায়ের যদি একটি মেয়ে থাকত, তখন তিনি কী বলতেন? সাঁওতালপল্লির আরও সিরাপিনা নির্যাতিত হয়। সিরাপিনা আত্মহত্যা করে দেখিয়ে দিয়েছে, নির্যাতকের কোনো ধর্ম-বর্ণ নেই। নির্যাতকের একটিই পরিচয়, তারা প্রভাবশালী। এরা সবাই নির্যাতিতের পক্ষ নেয় না। এরা প্রভাবশালীর পক্ষে দাঁড়ায়। সিলেটের নূরজাহান থেকে ঋষিকুল ইউনিয়নের সিরাপিনা—সবাই হতদরিদ্র শ্রেণীর প্রতিনিধি। অত্যাচারীরা প্রভাবশালী।
আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীও অপরাধী। চার্চের ফাদারসহ বিচারে যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁরা সবাই সিরাপিনাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছেন। তাঁদের বিচার না হলে সিরাপিনার আত্মা শান্তি পাবে না। আসুন, আমরা প্রতিজ্ঞা করি, আর কোনো সিরাপিনাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেব না। আর কোনো সিরাপিনার আত্মার কাছে আমাদের ক্ষমা চাইতে হবে না।
আনিসুজ্জামান মানিক: শিক্ষক, দর্শন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
manik780@yahoo.com
সিরাপিনা মাত্র ১৪ বছর বয়সে জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হারিয়েছে। সমাজপতিরা এই সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করেছে টাকার অঙ্কে। সিরাপিনা মেনে নিতে পারেনি। মৃত্যুর আগে টাকা নিতে নিষেধ করেছিল। সে বিচার চেয়েছিল। সে বিচার চায়। হিংস্র দানবদের বিচার চায়। যারা তাকে পালাক্রমে অপমান করেছে, তাদের বিচার চায়। সিরাপিনা টাকাকে ঘৃণা করলেও তার দিনমজুর বাবা স্থানীয় চার্চের ফাদারের নির্দেশের বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা রাখেন না। কিন্তু সিরাপানা রাখে। সে গায়ে আগুন দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, ইজ্জতের চেয়ে, আত্মসম্মানের চেয়ে এই পৃথিবীতে মূল্যবান কোনো ধন নেই। আসুন, আমরাও সিরাপিনার আদর্শ অবলম্বন করে আমাদের আত্মসম্মান রক্ষা করি। সিরাপিনা হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলা থেকে মাত্র ২৩ কিলোমিটার দূরে ঋষিকুল ইউনিয়নের আমতলী গ্রাম। এই গ্রামের সাঁওতালপল্লির মেয়ে সিরাপিনা মার্ডি। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই সিরাপিনা মার্ডি বিষাক্ত পৃথিবীর নগ্নরূপ দেখেছে। একসময় সাঁওতাল অধ্যুষিত ছিল ঋষিকুল ইউনিয়ন। এখন কয়েক ঘর মাত্র। এই ঘরের এক মেয়ে সিরাপিনা। আমরা যখন সিরাপিনাদের বাড়ি পৌঁছাই, তার আগেই সে এই জগৎ থেকে বিদায় নিয়েছে। মেয়েকে হারিয়ে সিরাপিনার মা নির্বাক। অনেক চেষ্টা করেও সিরাপিনার মায়ের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। অনেক প্রশ্নের জবাবে শূন্য আকাশের দিকে নির্বাক দৃষ্টিতে চেয়ে শুধু বলেছেন, মেয়ে কি ফিরে আসবে? এর কোনো উত্তর আমাদের জানা ছিল না। সিরাপিনার বাবার সঙ্গে কথা হয় সিরাপিনা যে স্থানে গায়ে আগুন দিয়েছিল, তার ঠিক দুই গজ দূরে দাঁড়িয়ে। তিনি জানালেন, তাঁর স্ত্রীও ধর্ষিত হয়েছিল। হতদরিদ্র হওয়ায় বিচার হয়নি। এ রকম ঘটনা প্রায়ই ঘটে এই সাঁওতালপল্লিতে। এসব নিয়ে উচ্চবাচ্য হয় না। মামলা হয় না। কিন্তু সিরাপিনা রক্তের উত্তরাধিকারকে শ্রদ্ধার সঙ্গে সম্মান করে জানান দিয়েছে, সে রাসমণির বংশধর। ইলা মিত্রের মাটির সন্তান সে। চার্চের তথাকথিত মীমাংসাকে মেনে নেয়নি। স্থানীয় চার্চের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
স্থানীয় চার্চ কর্তৃপক্ষ সিরাপিনাকে সেবাদাসী বানাতে চেয়েছিল। চার্চে নিয়ে কিছুদিন আটকেও রেখেছিল। এ নিয়ে চার্চের ফাদারের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম গোদাগাড়ী থানার হাজতখানায়। অন্য আসামিদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হলেও হাজতখানার মেঝেতে ফাদার ঘুমাচ্ছিলেন। আসামিদের একজন জানালেন, তিনি সালিসের সময় ছিলেন না, টাকা দেওয়ার মধ্যস্থতা করেছেন। চার্চের ফাদার মধ্যস্থতা করেছেন। সিরাপিনাদের প্রতিবেশী তোফাজ্জল হোসেন জানালেন, বিচার না পেয়ে সিরাপিনা আত্মহত্যা করেছে।
রাজশাহী জেলা মহিলা পরিষদ শাখার নেত্রীদের সঙ্গে আমরা ধর্ষকদের একজনের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাই। এই ধর্ষকের মায়ের সরল স্বীকারোক্তি, ‘এটা আমাদের ভেতরের ঘটনা, আপনি কেন এসেছেন?’ তিনি আরও জানালেন, টাকা দিয়ে সব মিটমাট করা হয়েছে। ছেলেকে তিনি শাসন করেছেন। ধর্ষণ করার অপরাধে ছেলেকে কান ধরে ১০ বার ওঠবস করিয়েছেন এবং ধর্ষক ছেলে স্বীকার করেছে, আর কোনো দিন এসব করবে না। এতেই ধর্ষকের মায়ের সান্ত্বনা। আসার সময় পেছন থেকে শুনতে পেলাম, ‘সরকার টাকা দিছে, তাই এসেছে।’ সরকারের কোনো পক্ষের সঙ্গেই আমাদের যোগাযোগ হয়নি। প্রথম আলোয় খবরটি দেখে নারী নেত্রী মাহবুবা কানিজ কেয়ার নেতৃত্বে আমরা সিরাপিনাদের বাড়ি যাই।
খ্রিষ্টধর্ম অনুসারে ভার্জিনিটি বেস্ট। এটা সত্য হলে চার্চের ফাদার কী করে ধর্ষণের মতো ভয়ংকর অপরাধকে টাকার মাধ্যমে সমঝোতা করেন? হতদরিদ্র আদিবাসী সমাজে ফাদারদের ভূমিকা বিশাল। ফাদারের সিদ্ধান্ত ছাড়া এরা কিছুই করে না।
সিরাপিনা বাঁচতে চেয়েছিল। সিরাপিনার ছোট বোনের কাছে সে বলেছিল, যদি বিয়ে না হয়, তাহলে পড়াশোনা করে চাকরি করবে। সেটা হলো না। আমতলী গ্রামের ধর্ষকের মা বলেছেন, গ্রামটি এবার ধ্বংস হয়ে যাবে। গোদাগাড়ী থানাহাজতে অপরাধী চক্র বলেছে, গ্রামটি ধ্বংস হয়ে যাবে। তারা যে সিরাপিনাকে হত্যার জন্য এ কথা বলেনি, সবই যেন পেটেন্ট করা কথা বলছে। সিরাপিনার আত্মসম্মানের কথাটি এদের কাছে বড় নয়। সিরাপিনার মতো ধর্ষকের মায়ের যদি একটি মেয়ে থাকত, তখন তিনি কী বলতেন? সাঁওতালপল্লির আরও সিরাপিনা নির্যাতিত হয়। সিরাপিনা আত্মহত্যা করে দেখিয়ে দিয়েছে, নির্যাতকের কোনো ধর্ম-বর্ণ নেই। নির্যাতকের একটিই পরিচয়, তারা প্রভাবশালী। এরা সবাই নির্যাতিতের পক্ষ নেয় না। এরা প্রভাবশালীর পক্ষে দাঁড়ায়। সিলেটের নূরজাহান থেকে ঋষিকুল ইউনিয়নের সিরাপিনা—সবাই হতদরিদ্র শ্রেণীর প্রতিনিধি। অত্যাচারীরা প্রভাবশালী।
আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীও অপরাধী। চার্চের ফাদারসহ বিচারে যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁরা সবাই সিরাপিনাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছেন। তাঁদের বিচার না হলে সিরাপিনার আত্মা শান্তি পাবে না। আসুন, আমরা প্রতিজ্ঞা করি, আর কোনো সিরাপিনাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেব না। আর কোনো সিরাপিনার আত্মার কাছে আমাদের ক্ষমা চাইতে হবে না।
আনিসুজ্জামান মানিক: শিক্ষক, দর্শন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
manik780@yahoo.com
No comments