নির্বাচিত কলাম
বিশ্বকাপ নিয়ে রয়েছে রস+আলোর বিশেষ আয়োজন। রয়েছে ডিয়াগো ম্যারাডোনাসহ বিভিন্ন কলামিস্টের কলাম। সময়ের অভাবে তাঁরা কলামগুলো লিখতে পারেননি। তাঁদের হয়ে কলামগুলো লিখেছেন আদনান মুকিত
জনৈক আম্পায়ার লিখছেন রস+আলোয় বড্ড ভুল করল আইসিসি
জনৈক আম্পায়ার লিখছেন রস+আলোয় বড্ড ভুল করল আইসিসি
গত ম্যাচটি অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে দেখলাম। যে দুজন আম্পায়ার ছিলেন, দুজনই বোকাদের র্যাংকিংয়ে যথাক্রমে ১ ও ২ নম্বরে আছেন। বিশ্বকাপের মতো এত বড় একটা টুর্নামেন্টে এ ধরনের অনভিজ্ঞ আম্পায়ারদের সুযোগ দিয়ে বিরাট ভুল করেছে আইসিসি। আমাদের বললেই তো এ ভেজালটা হতো না। টাকা একটু বেশি লাগত, তাতে কী? ভালো জিনিসের জন্য একটু বেশি টাকা তো লাগবেই।
দুজন আম্পায়ারই বেশ নার্ভাস ছিলেন। বোলার রাগী চোখে আবেদন করলেই ভয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তাঁদের আঙুল উঠে আসছিল। স্টাম্প ভাঙলেই থার্ড আম্পায়ারের সাহায্য নিয়েছেন তাঁরা। এ পর্যায়ে এসে থার্ড আম্পায়ারের সাহায্য নেওয়ার মানে কী? সব সিদ্ধান্ত থার্ড আম্পায়ার দিলে আপনাদের রাখা হয়েছে কেন? বোলারদের ক্যাপ, সানগ্লাস আর সোয়েটার রাখার জন্য যে আম্পায়ারদের জন্ম হয়নি—এ কথা তাঁরা ভুলেই গেছেন। এ ধরনের মানুষ আম্পায়ার সমাজের কলঙ্ক।
ম্যারাডোনার চোখে লিখছেন রস+আলোয়
ফাইনাল হবে দুটি দলের মধ্যেই
বিশ্বকাপের উত্তাপ ভালোভাবেই গায়ে লাগছে। অত্যাধুনিক থার্মোমিটার দিয়ে উত্তাপটা মাপার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমি আর আমার স্ত্রী কেউই থার্মোমিটারের ব্যবহারটা জানি না। সে যা-ই হোক, বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আর্জেন্টিনা খেলছে না, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। খুবই সহজ একটা খেলা। আমি খেললে কেউ আমাকে হারাতে পারত না। অত বড় একটা বল হাত দিয়ে জালে ঢুকিয়ে দিলাম, আর এটা তো পুঁচকে জিনিস। এ জন্যই খেলাটা খুব ভালো লাগে আমার। কে হাত দিয়ে বল ধরল এ নিয়ে কোনো বিতর্ক হয় না এখানে। পা দিয়ে লাথি মারলেও কিছু বলে না দেখে খেলতে ইচ্ছে করে। এখন অবশ্য খেলার বয়স নেই। তবে আমার অফুরন্ত অবসর। দেখি, কোচ হয়ে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপে নিতে পারি কি না।
খেলাটার অনেক কিছুই বেশ অদ্ভুত লাগে আমার। ফুটবলে রেফারি থাকে একজন। পুরো মাঠ দৌড়াতে দৌড়াতে রেফারির কিডনি স্থানচ্যুত হয়ে যায়। অথচ ক্রিকেটের রেফারি দুজন। দুজনই হাত-পা নাড়া ছাড়া কোনো কাজ করে না। লাল কার্ড, হলুদ কার্ড—এসবও নেই। এটা ঠিক না। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে ক্রিকেটে ফাউল করা যায় না। প্রচণ্ড জোরে দৌড়ে আসা একটা খেলোয়াড়কে ল্যাং মেরে ফেলে দেওয়ার যে কি আনন্দ তা বুঝল না ক্রিকেটবিশ্ব। আমি বেশ মনোযোগ দিয়ে খেলাগুলো দেখি। কয়েকটা ছেলের পায়ের কাজ অসাধারণ। ছোট বলটাকে কী সুন্দর লাথি মেরে কাঠিতে লাগায়, কী সুন্দর করে পা দিয়ে বলটা ঠেকায়। সত্যিই দারুণ! ঠিকমতো ট্রেনিং দিলে এরা ভালো স্ট্রাইকার হতে পারবে। আর সব দলই প্র্যাকটিসের সময় ফুটবল খেলে দেখে খুব ভালো লাগল। বিশ্বকাপ খেলুক আর না খেলুক, আমার প্রিয় খেলোয়াড় শেন ওয়ার্ন। আমার মতো ওকেও মিথ্যে অপবাদ দিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে দেওয়া হয়নি। ভালো মানুষ যে সব সময় ষড়যন্ত্রের শিকার হয় তা আমাদের দেখলেই বোঝা যায়। ওয়ার্নের সবকিছুই সুন্দর, তবে ওর গার্লফ্রেন্ডটা একটু বেশি সুন্দর। আবার ক্রিকেটে ফিরে আসি। নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি, ফাইনাল খেলায় দুটি দলের মধ্যে অবশ্যই একটি দল চ্যাম্পিয়ন হবে। আর যারা বিশ্বকাপ জিতবে, তাদেরই ট্রফিটা দেওয়া হবে। আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
দুজন আম্পায়ারই বেশ নার্ভাস ছিলেন। বোলার রাগী চোখে আবেদন করলেই ভয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তাঁদের আঙুল উঠে আসছিল। স্টাম্প ভাঙলেই থার্ড আম্পায়ারের সাহায্য নিয়েছেন তাঁরা। এ পর্যায়ে এসে থার্ড আম্পায়ারের সাহায্য নেওয়ার মানে কী? সব সিদ্ধান্ত থার্ড আম্পায়ার দিলে আপনাদের রাখা হয়েছে কেন? বোলারদের ক্যাপ, সানগ্লাস আর সোয়েটার রাখার জন্য যে আম্পায়ারদের জন্ম হয়নি—এ কথা তাঁরা ভুলেই গেছেন। এ ধরনের মানুষ আম্পায়ার সমাজের কলঙ্ক।
ম্যারাডোনার চোখে লিখছেন রস+আলোয়
ফাইনাল হবে দুটি দলের মধ্যেই
বিশ্বকাপের উত্তাপ ভালোভাবেই গায়ে লাগছে। অত্যাধুনিক থার্মোমিটার দিয়ে উত্তাপটা মাপার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমি আর আমার স্ত্রী কেউই থার্মোমিটারের ব্যবহারটা জানি না। সে যা-ই হোক, বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আর্জেন্টিনা খেলছে না, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। খুবই সহজ একটা খেলা। আমি খেললে কেউ আমাকে হারাতে পারত না। অত বড় একটা বল হাত দিয়ে জালে ঢুকিয়ে দিলাম, আর এটা তো পুঁচকে জিনিস। এ জন্যই খেলাটা খুব ভালো লাগে আমার। কে হাত দিয়ে বল ধরল এ নিয়ে কোনো বিতর্ক হয় না এখানে। পা দিয়ে লাথি মারলেও কিছু বলে না দেখে খেলতে ইচ্ছে করে। এখন অবশ্য খেলার বয়স নেই। তবে আমার অফুরন্ত অবসর। দেখি, কোচ হয়ে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপে নিতে পারি কি না।
খেলাটার অনেক কিছুই বেশ অদ্ভুত লাগে আমার। ফুটবলে রেফারি থাকে একজন। পুরো মাঠ দৌড়াতে দৌড়াতে রেফারির কিডনি স্থানচ্যুত হয়ে যায়। অথচ ক্রিকেটের রেফারি দুজন। দুজনই হাত-পা নাড়া ছাড়া কোনো কাজ করে না। লাল কার্ড, হলুদ কার্ড—এসবও নেই। এটা ঠিক না। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে ক্রিকেটে ফাউল করা যায় না। প্রচণ্ড জোরে দৌড়ে আসা একটা খেলোয়াড়কে ল্যাং মেরে ফেলে দেওয়ার যে কি আনন্দ তা বুঝল না ক্রিকেটবিশ্ব। আমি বেশ মনোযোগ দিয়ে খেলাগুলো দেখি। কয়েকটা ছেলের পায়ের কাজ অসাধারণ। ছোট বলটাকে কী সুন্দর লাথি মেরে কাঠিতে লাগায়, কী সুন্দর করে পা দিয়ে বলটা ঠেকায়। সত্যিই দারুণ! ঠিকমতো ট্রেনিং দিলে এরা ভালো স্ট্রাইকার হতে পারবে। আর সব দলই প্র্যাকটিসের সময় ফুটবল খেলে দেখে খুব ভালো লাগল। বিশ্বকাপ খেলুক আর না খেলুক, আমার প্রিয় খেলোয়াড় শেন ওয়ার্ন। আমার মতো ওকেও মিথ্যে অপবাদ দিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে দেওয়া হয়নি। ভালো মানুষ যে সব সময় ষড়যন্ত্রের শিকার হয় তা আমাদের দেখলেই বোঝা যায়। ওয়ার্নের সবকিছুই সুন্দর, তবে ওর গার্লফ্রেন্ডটা একটু বেশি সুন্দর। আবার ক্রিকেটে ফিরে আসি। নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি, ফাইনাল খেলায় দুটি দলের মধ্যে অবশ্যই একটি দল চ্যাম্পিয়ন হবে। আর যারা বিশ্বকাপ জিতবে, তাদেরই ট্রফিটা দেওয়া হবে। আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
No comments