ক্ষুধা দূর করতে জোট বেঁধেছে শতাধিক সংস্থা
বিশ্ব থেকে ক্ষুধা দূরীকরণে অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেনসহ যুক্তরাজ্যভিত্তিক শতাধিক সাহায্য সংস্থা জোট বেঁধেছে। এরই মধ্যে এ ব্যাপারে প্রচারাভিযানও শুরু করেছে তারা।
আগামী জুনে যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠেয় বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর জোট জি-৮-এর সম্মেলনে যুক্তরাজ্যকে এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা। বলেছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন যেন উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষুধার সমস্যাটি বিশ্বনেতাদের কাছে জোরালোভাবে তুলে ধরেন।
জোটের এ প্রচারাভিযানের নাম 'দি এনাফ ফুড ফর এভরিওয়ান ইফ'। ২০০৫ সালের 'মেক পভার্টি হিস্টোরি' বা 'দারিদ্র্যকে ইতিহাসের খাতায় পাঠিয়ে দাও' প্রচারাভিযানের পর এটাই হচ্ছে দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌথ আয়োজনে সবচেয়ে বড় উদ্যোগ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, নোবেলজয়ী মানবাধিকারকর্মী দক্ষিণ আফ্রিকার ডেসমন্ড টুটুর মতো ব্যক্তিত্বরা জোটের এ উদ্যোগে সমর্থন দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান জাস্টিন ফোরসিথ বলেন, 'আমরাই হতে পারি বিশ্ব থেকে ক্ষুধা চিরতরে দূরীকরণের প্রথম প্রজন্ম। আমরা ২০০৫ সালের মধ্যে দারিদ্র্যকে ইতিহাসের পাতায় পাঠাতে পারিনি। তবে সামনে এগোনোর এক বিশাল পদক্ষেপ নিতে পেরেছি। আমরা লাখ লাখ লোকের দারিদ্র্য দূর করেছি। এ অগ্রগতির সবচেয়ে দুর্বল অংশ হচ্ছে ক্ষুধা।'
টুটু বলেন, 'ক্ষুধা চিকিৎসার অযোগ্য কোনো রোগ নয় কিংবা এড়ানো যায় না এমন কোনো বিয়োগান্ত বিষয়ও নয়। কোনো শিশু আর পেটে ক্ষুধা নিয়ে ঘুমাতে যাবে না, এটা আমরা নিশ্চিত করতে পারি। পারি জীবন বাঁচাতে। আমরা প্রস্তুত হলে সব কিছুই করা সম্ভব। আমাদের কথা শুনতে বা পদক্ষেপ নিতে নেতাদের বলতে পারি।'
এই প্রচারাভিযানে জড়িত ব্যক্তিদের বিশ্বাস, পৃথিবীতে সবার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যের ব্যবস্থা করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে কিছু পদক্ষেপই যথেষ্ট। যেমন_শিশুদের ও গরিব পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত সাহায্য দেওয়াসহ দরিদ্র দেশগুলোর সরকার যদি বড় বড় কম্পানির কর ফাঁকি বন্ধ করতে পারে, তবে লোকজনকে আর না খেয়ে থাকতে হবে না। গরিব কৃষকদের তাদের জমি থেকে উচ্ছেদ করা চলবে না। জ্বালানিচালিত গাড়ি উৎপাদনের পরিবর্তে শস্য ফলাতে হবে। পর্যাপ্ত খাদ্যের নিশ্চয়তার প্রশ্নে সরকার ও বড় কম্পানিগুলো তাদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সৎ ও স্বচ্ছ হতে হবে।
জোটের নেতারা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তিনি যেন জি-৮ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষুধার সমস্যাটি নিয়ে কথা বলেন। ওই সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট ব্রিটেন।
জোটের চেয়ারম্যান বেন জ্যাকসন বলেন, 'বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য ও সংক্রমিত রোগ কমাতে পেরেছি বলে আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, প্রতিবছর এইডস, ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মার মতো রোগের চেয়ে অনেক বেশি লোক মারা যায় ক্ষুধার কারণে।' তিনি আরো বলেন, 'এ সমস্যার মূল উৎপাটনে আমাদের সরকার, সুশীল সমাজ ও জনহিতৈষীদের যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন। সবাই মিলে এমন এক বিশ্ব গড়ব, যেখানে কোনো শিশু আর না খেয়ে থাকবে না।' সূত্র : বিবিসি।
জোটের এ প্রচারাভিযানের নাম 'দি এনাফ ফুড ফর এভরিওয়ান ইফ'। ২০০৫ সালের 'মেক পভার্টি হিস্টোরি' বা 'দারিদ্র্যকে ইতিহাসের খাতায় পাঠিয়ে দাও' প্রচারাভিযানের পর এটাই হচ্ছে দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌথ আয়োজনে সবচেয়ে বড় উদ্যোগ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, নোবেলজয়ী মানবাধিকারকর্মী দক্ষিণ আফ্রিকার ডেসমন্ড টুটুর মতো ব্যক্তিত্বরা জোটের এ উদ্যোগে সমর্থন দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান জাস্টিন ফোরসিথ বলেন, 'আমরাই হতে পারি বিশ্ব থেকে ক্ষুধা চিরতরে দূরীকরণের প্রথম প্রজন্ম। আমরা ২০০৫ সালের মধ্যে দারিদ্র্যকে ইতিহাসের পাতায় পাঠাতে পারিনি। তবে সামনে এগোনোর এক বিশাল পদক্ষেপ নিতে পেরেছি। আমরা লাখ লাখ লোকের দারিদ্র্য দূর করেছি। এ অগ্রগতির সবচেয়ে দুর্বল অংশ হচ্ছে ক্ষুধা।'
টুটু বলেন, 'ক্ষুধা চিকিৎসার অযোগ্য কোনো রোগ নয় কিংবা এড়ানো যায় না এমন কোনো বিয়োগান্ত বিষয়ও নয়। কোনো শিশু আর পেটে ক্ষুধা নিয়ে ঘুমাতে যাবে না, এটা আমরা নিশ্চিত করতে পারি। পারি জীবন বাঁচাতে। আমরা প্রস্তুত হলে সব কিছুই করা সম্ভব। আমাদের কথা শুনতে বা পদক্ষেপ নিতে নেতাদের বলতে পারি।'
এই প্রচারাভিযানে জড়িত ব্যক্তিদের বিশ্বাস, পৃথিবীতে সবার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যের ব্যবস্থা করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে কিছু পদক্ষেপই যথেষ্ট। যেমন_শিশুদের ও গরিব পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত সাহায্য দেওয়াসহ দরিদ্র দেশগুলোর সরকার যদি বড় বড় কম্পানির কর ফাঁকি বন্ধ করতে পারে, তবে লোকজনকে আর না খেয়ে থাকতে হবে না। গরিব কৃষকদের তাদের জমি থেকে উচ্ছেদ করা চলবে না। জ্বালানিচালিত গাড়ি উৎপাদনের পরিবর্তে শস্য ফলাতে হবে। পর্যাপ্ত খাদ্যের নিশ্চয়তার প্রশ্নে সরকার ও বড় কম্পানিগুলো তাদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সৎ ও স্বচ্ছ হতে হবে।
জোটের নেতারা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তিনি যেন জি-৮ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষুধার সমস্যাটি নিয়ে কথা বলেন। ওই সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট ব্রিটেন।
জোটের চেয়ারম্যান বেন জ্যাকসন বলেন, 'বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য ও সংক্রমিত রোগ কমাতে পেরেছি বলে আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, প্রতিবছর এইডস, ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মার মতো রোগের চেয়ে অনেক বেশি লোক মারা যায় ক্ষুধার কারণে।' তিনি আরো বলেন, 'এ সমস্যার মূল উৎপাটনে আমাদের সরকার, সুশীল সমাজ ও জনহিতৈষীদের যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন। সবাই মিলে এমন এক বিশ্ব গড়ব, যেখানে কোনো শিশু আর না খেয়ে থাকবে না।' সূত্র : বিবিসি।
No comments