খুলনায় প্রধানমন্ত্রী-যা চেয়েছিলেন তার চেয়েও বেশি পেয়েছেন, আবার ভোট দিন by গৌরাঙ্গ নন্দী, আরিফুজ্জামান তুহিন ও কৌশিক দে
খুলনার উন্নয়ন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে তাঁর দলকে ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন ওই এলাকার জনগণের প্রতি। তিনি বলেছেন, 'আপনারা যা চেয়েছিলেন, তার চেয়েও বেশি পেয়েছেন। আগামী নির্বাচনে আবার আমাদের ভোট দিন।
গত নির্বাচনে খুলনার একটি বাদে সব আসন আমাদের দিয়েছিলেন, এবার সব আসন দিন। কথা দিচ্ছি, উন্নয়ন অব্যাহত রাখব।'
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় সার্কিট হাউস ময়দানে খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি গত চার বছরে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন হয় আর বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকলে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, বিদেশে অর্থপাচার হয়।
ভাষণের শুরুতে শেখ হাসিনা বলেন, 'জাতির পিতা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে এ বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানানো হয়। আমরা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শুরু করে জনগণের কাছে দেওয়া ওয়াদা পূরণ করেছি। ট্রাইব্যুনাল বাচ্চু রাজাকারকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে খুলনা অঞ্চলের শিল্প-কারখানা বন্ধ করে দিয়ে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছিল। খুলনার সাংবাদিক, রাজনীতিক, ব্যবসায়ীসহ অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। আমরা কথা দিয়েছিলাম মিল-কলকারখানা চালু করব, বন্ধ থাকা খুলনার শেষ জুট মিলটি (দৌলতপুর জুট মিল) আজকে চালু করলাম। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরা ব্যাপক অর্থ বরাদ্দ করেছি।' তিনি বলেন, খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য আরো তিনটি নতুন থানা স্থাপন করা হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও রূপসা সেতু-সংলগ্ন এলাকাকে সিটি করপোরেশনের আওতায় আনা হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'প্রতিহিংসার বশে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে আমাদের শুরু করা শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা আবার তা চালু করেছি। দৌলতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ আয়তনের ৫০ একর জায়গার ওপর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে।' আওয়ামী লীগকে তিনি উন্নয়ন দর্শনের দল হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, আওয়ামী লীগের উন্নয়নের রাজনীতির কারণে বিশ্বসভায় বাংলাদেশ ক্রমাগত এগিয়ে চলেছে।
বিএনপি-জামায়াত জোটের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তাদের আমলে দেশ জঙ্গি-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পরিচিতি পেয়েছিল। দেশ কোনো উন্নতি করতে পারেনি। তাদের আমলে দেশের অর্থ আমেরিকা, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে পাচার হয়েছে। আমেরিকার তদন্ত সংস্থা এফবিআই এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দিয়েছে। পাচার হওয়া অর্থ সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত এসেছে।'
জনসভা শুরু হয় দুপুর ১২টায়। প্রধানমন্ত্রী বিকেল সাড়ে ৩টায় সমাবেশস্থলে পৌঁছান। ওই সময় তিনি বোতাম টিপে ১১টি স্থাপনা উদ্বোধন করেন। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে দৌলতপুর জুট মিল, শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের টেস্ট ভেন্যু, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, নবনির্মিত ছাত্রী হল, মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য অদম্য বাংলা, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক কমপ্লেক্স, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার কাম সেন্ট্রাল ক্যাফেটেরিয়া, খুলনা মেডিক্যাল কলেজের শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ছাত্রীনিবাস এবং খুলনা শিশু হাসপাতালের বিশেষায়িত নতুন ভবন। তিনি খুলনা ওয়াসা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন।
এর আগে দুপুর ১২টায় প্রধানমন্ত্রী খুলনা নৌঘাঁটিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ পদ্মার কমিশনিং করেন। যুদ্ধজাহাজ পদ্মার কমিশনিং অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পদ্মা সেতু নিয়ে কথা নেই : জনসভায় স্থানীয় ও কেন্দীয় নেতাদের বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৪টায় বক্তব্য শুরু করেন। বক্তব্যের পুরোটাই ছিল গত চার বছরে খুলনা ও সারা দেশের উন্নয়নের ফিরিস্তি। তবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের অন্যতম দাবি পদ্মা সেতু নিয়ে কোনো কথা বলেননি তিনি।
বিদ্যুৎ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ছিয়ানব্বই সালে ক্ষমতায় এসে দেখি বিদ্যুতের জন্য সারা দেশে হাহাকার চলছে। আমরাই প্রথমে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন এই খুলনায় গড়ে তুলি। বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকার বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। তারা খাম্বা দিয়েছিল। কারণ খালেদা জিয়ার ছেলে খাম্বার ব্যবসা করত।'
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, 'কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে আমরা ব্যাপক সহযোগিতা করে চলেছি।' মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষা, বিনা মূল্যে বই, অসহায় ও দুস্থদের খাদ্য সহায়তা, বিধবা ভাতা দেওয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা, নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুভাষ বোস, মোল্লা জালাল উদ্দিন এমপি, ননী গোপাল মণ্ডল এমপি, সোহরাব আলী সানা এমপি, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হোসেন এমপি, ফজিলাতুননেছা ইন্দিরা এমপি, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা এস এম কামাল হোসেন, আব্দুল মতিন, যুবলীগের নেতা মাহবুবুল আলম হিরণ, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় সার্কিট হাউস ময়দানে খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি গত চার বছরে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন হয় আর বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকলে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, বিদেশে অর্থপাচার হয়।
ভাষণের শুরুতে শেখ হাসিনা বলেন, 'জাতির পিতা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে এ বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানানো হয়। আমরা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শুরু করে জনগণের কাছে দেওয়া ওয়াদা পূরণ করেছি। ট্রাইব্যুনাল বাচ্চু রাজাকারকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে খুলনা অঞ্চলের শিল্প-কারখানা বন্ধ করে দিয়ে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছিল। খুলনার সাংবাদিক, রাজনীতিক, ব্যবসায়ীসহ অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। আমরা কথা দিয়েছিলাম মিল-কলকারখানা চালু করব, বন্ধ থাকা খুলনার শেষ জুট মিলটি (দৌলতপুর জুট মিল) আজকে চালু করলাম। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরা ব্যাপক অর্থ বরাদ্দ করেছি।' তিনি বলেন, খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য আরো তিনটি নতুন থানা স্থাপন করা হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও রূপসা সেতু-সংলগ্ন এলাকাকে সিটি করপোরেশনের আওতায় আনা হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'প্রতিহিংসার বশে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে আমাদের শুরু করা শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা আবার তা চালু করেছি। দৌলতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ আয়তনের ৫০ একর জায়গার ওপর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে।' আওয়ামী লীগকে তিনি উন্নয়ন দর্শনের দল হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, আওয়ামী লীগের উন্নয়নের রাজনীতির কারণে বিশ্বসভায় বাংলাদেশ ক্রমাগত এগিয়ে চলেছে।
বিএনপি-জামায়াত জোটের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তাদের আমলে দেশ জঙ্গি-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পরিচিতি পেয়েছিল। দেশ কোনো উন্নতি করতে পারেনি। তাদের আমলে দেশের অর্থ আমেরিকা, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে পাচার হয়েছে। আমেরিকার তদন্ত সংস্থা এফবিআই এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দিয়েছে। পাচার হওয়া অর্থ সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত এসেছে।'
জনসভা শুরু হয় দুপুর ১২টায়। প্রধানমন্ত্রী বিকেল সাড়ে ৩টায় সমাবেশস্থলে পৌঁছান। ওই সময় তিনি বোতাম টিপে ১১টি স্থাপনা উদ্বোধন করেন। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে দৌলতপুর জুট মিল, শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের টেস্ট ভেন্যু, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, নবনির্মিত ছাত্রী হল, মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য অদম্য বাংলা, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক কমপ্লেক্স, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার কাম সেন্ট্রাল ক্যাফেটেরিয়া, খুলনা মেডিক্যাল কলেজের শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ছাত্রীনিবাস এবং খুলনা শিশু হাসপাতালের বিশেষায়িত নতুন ভবন। তিনি খুলনা ওয়াসা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন।
এর আগে দুপুর ১২টায় প্রধানমন্ত্রী খুলনা নৌঘাঁটিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ পদ্মার কমিশনিং করেন। যুদ্ধজাহাজ পদ্মার কমিশনিং অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পদ্মা সেতু নিয়ে কথা নেই : জনসভায় স্থানীয় ও কেন্দীয় নেতাদের বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৪টায় বক্তব্য শুরু করেন। বক্তব্যের পুরোটাই ছিল গত চার বছরে খুলনা ও সারা দেশের উন্নয়নের ফিরিস্তি। তবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের অন্যতম দাবি পদ্মা সেতু নিয়ে কোনো কথা বলেননি তিনি।
বিদ্যুৎ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ছিয়ানব্বই সালে ক্ষমতায় এসে দেখি বিদ্যুতের জন্য সারা দেশে হাহাকার চলছে। আমরাই প্রথমে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন এই খুলনায় গড়ে তুলি। বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকার বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। তারা খাম্বা দিয়েছিল। কারণ খালেদা জিয়ার ছেলে খাম্বার ব্যবসা করত।'
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, 'কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে আমরা ব্যাপক সহযোগিতা করে চলেছি।' মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষা, বিনা মূল্যে বই, অসহায় ও দুস্থদের খাদ্য সহায়তা, বিধবা ভাতা দেওয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা, নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুভাষ বোস, মোল্লা জালাল উদ্দিন এমপি, ননী গোপাল মণ্ডল এমপি, সোহরাব আলী সানা এমপি, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হোসেন এমপি, ফজিলাতুননেছা ইন্দিরা এমপি, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা এস এম কামাল হোসেন, আব্দুল মতিন, যুবলীগের নেতা মাহবুবুল আলম হিরণ, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম।
No comments