মরক্কোয় ধর্ষণ-বিয়ের আইন পরিবর্তন হচ্ছে
ধর্ষিতাকে বিয়ে করার মাধ্যমে ধর্ষণের বিচারের হাত থেকে পার পেয়ে যেত ধর্ষক। আর বিয়ে না করলেও সাজার মেয়াদ ছিল নগণ্য। মরক্কোয় এত দিন ধরে প্রচলিত এই আইনে পরিবর্তন আনার চিন্তা করছে সরকার।
দেশটির বিচার বিভাগ গত সোমবার জানিয়েছে, পরিবর্তিত আইনে ধর্ষকের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হবে।
প্রচলিত আইনে বলা আছে, 'বিয়ের পর স্ত্রীর তরফ থেকে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করার দাবি না ওঠা পর্যন্ত ধর্ষক স্বামীর শাস্তি স্থগিত থাকবে। সম্পর্ক ছিন্ন করার পর ধর্ষক আবার অভিযুক্ত হবে।' এ ছাড়া দণ্ডবিধিতে নাবালকের যৌন হয়রানি কিংবা ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনাকে 'উইদাউট ভায়োলেন্স' (জোরপূর্বক না এমন অপরাধ) হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর সাজার মেয়াদ আছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর।
স্বাধীন বিচারকাজকে প্রভাবিত করে বলে দীর্ঘদিন ধরে এসব ধারা-উপধারার সমালোচনা হয়ে আসছে। এত দিন পর আইন পরিবর্তনের এ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে দেশটির বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। তবে নারী নির্যাতন বন্ধে তা যথেষ্ট নয় বলেও দাবি করে এসব সংগঠন।
ধর্ষকের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়ায় গত বছরের শুরুর দিকে দেশটিতে ১৬ বছরের এক কিশোরী আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় রাজধানী রাবাতে আন্দোলন শুরু হয়। ওই ঘটনার ১০ মাস পর মূলত সরকার আইন পরিবর্তনের এ পরিকল্পনা হাতে নিল। আইনটি বাস্তবায়ন করতে হলে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের অনুমোদন পেতে হবে।
মরক্কান অ্যাসোসিয়েশন ফর হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট খাদিজা রিয়াদি বলেন, 'আইনটি পরিবর্তন করা হলে ভালোই হবে। তবে তা আমাদের সব দাবি পূরণ করতে পারবে না।' সূত্র : বিবিসি।
প্রচলিত আইনে বলা আছে, 'বিয়ের পর স্ত্রীর তরফ থেকে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করার দাবি না ওঠা পর্যন্ত ধর্ষক স্বামীর শাস্তি স্থগিত থাকবে। সম্পর্ক ছিন্ন করার পর ধর্ষক আবার অভিযুক্ত হবে।' এ ছাড়া দণ্ডবিধিতে নাবালকের যৌন হয়রানি কিংবা ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনাকে 'উইদাউট ভায়োলেন্স' (জোরপূর্বক না এমন অপরাধ) হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর সাজার মেয়াদ আছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর।
স্বাধীন বিচারকাজকে প্রভাবিত করে বলে দীর্ঘদিন ধরে এসব ধারা-উপধারার সমালোচনা হয়ে আসছে। এত দিন পর আইন পরিবর্তনের এ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে দেশটির বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। তবে নারী নির্যাতন বন্ধে তা যথেষ্ট নয় বলেও দাবি করে এসব সংগঠন।
ধর্ষকের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়ায় গত বছরের শুরুর দিকে দেশটিতে ১৬ বছরের এক কিশোরী আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় রাজধানী রাবাতে আন্দোলন শুরু হয়। ওই ঘটনার ১০ মাস পর মূলত সরকার আইন পরিবর্তনের এ পরিকল্পনা হাতে নিল। আইনটি বাস্তবায়ন করতে হলে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের অনুমোদন পেতে হবে।
মরক্কান অ্যাসোসিয়েশন ফর হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট খাদিজা রিয়াদি বলেন, 'আইনটি পরিবর্তন করা হলে ভালোই হবে। তবে তা আমাদের সব দাবি পূরণ করতে পারবে না।' সূত্র : বিবিসি।
No comments