বিকেন্দ্রীকরণ হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান প্রকল্প
জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান প্রকল্পের কাজ বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে
নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ কাজের পরীক্ষামূলক প্রস্তুতি গ্রহণে একটি পাইলট
প্রজেক্ট আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে শুরু করতে যাচ্ছে ইসি।
প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রজেক্টটি বিভাগীয় ও জেলা শহর এবং সব জেলার একটি করে উপজেলা নিয়ে মোট তিনটিপর্যায়ে কাজ শুরু করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ভোটার
তালিকা প্রকল্পের কাজ বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। প্রতিটি জেলা ও
উপজেলায় ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তকরণ, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান,
স্থানান্তর, সংশোধন, সংযোজন ও হারানো পরিচয়পত্র প্রদানের একটি প্রাথমিক
পাইলট প্রজেক্ট আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে শুরু করা হচ্ছে। এ পাইলট প্রজেক্ট
সফল হলে সারা দেশে এ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন
কমিশন প্রাথমিকভাবে এ পাইলট প্রকল্পকে লার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছে। এ
ছাড়া এখন থেকেই সারা দেশের জেলা ও উপজেলায় জরুরি ভিত্তিতে ভোটার হওয়া
যাবে। তবে গণহারে ভোটার করার মতো প্রয়োজনীয় জনবল এখনো প্রস্তুত হয়নি
বলেও জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ভোটারদের যেকোনো সমস্যা এখন থেকে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে যেকোনো সময় জানানো যাবে। এ কাজে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঢাকা জেলা নির্বাচন অফিসে সচিব
ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি ও পরিচয়পত্র সংশোধনে জনভোগান্তির খবর কয়েকটি মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ায় ঢাকা জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে যান ইসি সচিব। গতকাল সকালেই সরেজমিন দেখার জন্য গোপনে কমিশন অতিরিক্ত সচিব মো: সিরাজুল ইসলামকে সাথে নিয়ে জেলা নির্বাচন অফিসে যান নির্বাচন কমিশন সচিব। সরেজমিন গিয়ে তিনি প্রকাশিত খবরের সত্যতা পান। এ সময় ভুক্তভোগীদের সাথে কথাও বলেন তিনি। প্রায় দেড় ঘণ্টা ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানা নির্বাচন অফিসারের কাজের প্রত্যক্ষ তদারকি করেন। এ বিষয়ে সচিব বলেন, ‘চুপি চুপি গিয়ে জেলা নির্বাচন অফিসের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করলাম। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে নির্বাচন অফিসগুলোতে অনেকে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অনেক সময় কর্মকর্তারাও জনগণের সাথে ভালো ব্যবহার করছেন না। এটি খুবই দুঃখজনক। তিনি বলেন, অনেক থানা বা উপজেলায় কমিশনের প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল নেই। এ সুযোগে কিছু অসাধু ব্যক্তি পরিচয়পত্র নতুন করে দেয়া বা সংশোধন করে দেয়ার নামে নানা হয়রানি করতে পারে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, জনগণের দুর্ভোগ কমানোর জন্যই ইসি সারা দেশে সার্ভার স্টেশন করছে। এসব চালু হলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। তবে হয়রানির জন্য শুধু কর্মকর্তারা নন জনগণেরও দোষ আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ভোটারদের যেকোনো সমস্যা এখন থেকে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে যেকোনো সময় জানানো যাবে। এ কাজে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঢাকা জেলা নির্বাচন অফিসে সচিব
ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি ও পরিচয়পত্র সংশোধনে জনভোগান্তির খবর কয়েকটি মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ায় ঢাকা জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে যান ইসি সচিব। গতকাল সকালেই সরেজমিন দেখার জন্য গোপনে কমিশন অতিরিক্ত সচিব মো: সিরাজুল ইসলামকে সাথে নিয়ে জেলা নির্বাচন অফিসে যান নির্বাচন কমিশন সচিব। সরেজমিন গিয়ে তিনি প্রকাশিত খবরের সত্যতা পান। এ সময় ভুক্তভোগীদের সাথে কথাও বলেন তিনি। প্রায় দেড় ঘণ্টা ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানা নির্বাচন অফিসারের কাজের প্রত্যক্ষ তদারকি করেন। এ বিষয়ে সচিব বলেন, ‘চুপি চুপি গিয়ে জেলা নির্বাচন অফিসের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করলাম। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে নির্বাচন অফিসগুলোতে অনেকে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অনেক সময় কর্মকর্তারাও জনগণের সাথে ভালো ব্যবহার করছেন না। এটি খুবই দুঃখজনক। তিনি বলেন, অনেক থানা বা উপজেলায় কমিশনের প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল নেই। এ সুযোগে কিছু অসাধু ব্যক্তি পরিচয়পত্র নতুন করে দেয়া বা সংশোধন করে দেয়ার নামে নানা হয়রানি করতে পারে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, জনগণের দুর্ভোগ কমানোর জন্যই ইসি সারা দেশে সার্ভার স্টেশন করছে। এসব চালু হলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। তবে হয়রানির জন্য শুধু কর্মকর্তারা নন জনগণেরও দোষ আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
No comments