দুনিয়ার শান্তি ও পরকালীন মুক্তির পথ by মুফতি এনায়েতুল্লাহ
হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন সর্বশেষ ও সর্বোত্তম নবী ও রাসূল (সা.)। তার ওপর ইমান রাখা ও তাকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসা প্রত্যেক মুমিনের একান্ত কর্তব্য।
পবিত্র কোরআন ও হাদিস শরিফের একাধিক বর্ণনায় মুমিনদের রাসূলের (সা.) প্রতি অগাধ প্রেম-ভালোবাসা রেখে চলার কথা বলা হয়েছে। এটা ইমানের দাবিও বটে।
অন্যদিকে মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও দয়া প্রদর্শন এবং মানবকল্যাণে হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) পথনির্দেশনা আমাদের জন্য পরম পাথেয়। আসলে নবী (সা.) ছিলেন দয়া ও করুণার অদ্বিতীয় উদাহরণ। তার ঔদার্যে কেবল মানুষ কেন, সমগ্র সৃষ্টিলোক শ্রদ্ধাবনত। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ছিলেন বিশ্বমানবতার সবচেয়ে বড় কল্যাণকামী ও মানব জাতির প্রতি সবচেয়ে দয়ালু মহামানব। তার দয়া এবং মানবপ্রেম ইসলাম ধর্মের প্রতি অনেক অমুসলিম মনীষীকেও শ্রদ্ধাশীল হতে বাধ্য করেছে। তিনি ছিলেন দয়া ও করুণার এক অতলান্ত সাগর, যা মানব জাতিকে আজও ভালোবাসার নদীতে পরিতৃপ্ত ও পরিসিক্ত করাতে সক্ষম। এ জন্যই হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) মানবপ্রেমের অসংখ্য ঘটনা ইতিহাসের সোনালি পাতা এবং মানুষের অন্তরে ঠাঁই করে নিয়েছে।
সে হিসেবে হজরত রাসূলুল্লাহকে (সা.) আমাদের হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতে হবে; তার নির্দেশমতো জীবন কাটাতে হবে; রাসূলের (সা.) বাণী মানুষের দ্বারে দ্বারে পেঁৗছাতে হবে। মনে রাখতে হবে, রাসূলের (সা.) ভালোবাসার মধ্যেই রয়েছে দুনিয়ার শান্তি ও পরকালীন সুখ। কারণ, আল্লাহতায়ালা হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) জীবনযাপন পদ্ধতিকে মানুষের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি কথায় ও কাজে মানুষের প্রতি ছিলেন দয়া ও করুণার প্রতিচ্ছবি। মানুষ মানুষের সঙ্গে কীভাবে দয়ার্দ্র আচরণ করবে, তা তিনি মানব জাতিকে কাজের মাধ্যমে শিখিয়ে গেছেন। এ জন্যই আল্লাহতায়ালা মানব জাতিকে তাদের জীবনে মহানবীর (সা.) আদর্শ এবং তার পথ অনুসরণের মাধ্যমে সব ধরনের খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। বলেছেন জীবনের প্রতিটি বাঁকে রাসূলের শেখানো পথে চলতে। তার আদেশ বাস্তবায়ন করতে।
আমরা জানি, ইসলাম সব সময় দয়া ও দানশীলতার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। ইসলামের দৃষ্টিতে ভোগ নয়; ত্যাগেই রয়েছে অপার আনন্দ। পবিত্র কোরআন এ কারণেই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেয়। কারণ, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও মানুষের প্রতি দয়া প্রদর্শন করা না হলে সমাজ দুর্নীতিগ্রস্ত ও ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়বে। দয়া, আনুগত্য এবং দানশীলতা মানুষের মধ্যে ভালোবাসা ও আন্তরিকতার এক বিশেষ অনুভূতি সৃষ্টি করে। একজন প্রকৃত মুমিন-মুসলমান তার বন্ধুদের, পরিবারের লোকদের, এমনকি আগন্তুককেও সাহায্য করে থাকেন। প্রকৃত মুমিন ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাদ্য দান করেন। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এ সম্পর্কে বলেছেন, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের পর সবচেয়ে প্রজ্ঞাপূর্ণ কাজ হলো মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখা এবং সবার প্রতি দয়ালু হওয়া। একজন সত্যিকার মুসলমান ভাষা, বংশ, গায়ের রঙ, জাতীয়তা, ভৌগোলিক সীমানা এবং পদমর্যাদার আলোকে মানুষের সঙ্গে কখনও বৈষম্যমূলক আচরণ করেন না। এ প্রসঙ্গে নবী (সা.) বলেছেন, অন্য মুসলমানদের কল্যাণের কথা না ভেবে যে একটা দিন অতিক্রম করল, সে মুসলমান নয়। অন্যদের সাহায্য করা এবং তাদের সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা সমাজের ওপর গঠনমূলক প্রভাব ফেলে। ইসলাম এ ধরনের কাজকে এক ধরনের ইবাদত বলে মর্যাদা দিয়েছে। পরোপকার ও দয়া মানুষের জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনে এবং এ জন্য মানুষ পরকালেও পুরস্কৃত হবে। আসলে এ বিষয়টি ইসলামের গতিশীল আধ্যাত্মিকতারই একটি অংশবিশেষ। এ প্রসঙ্গে নবীর (সা.) একটি হাদিস সব সময় মনে রাখা দরকার। হাদিসটি হলো, 'তুমি নিজের জন্য যা কামনা কর, তোমার ভাইয়ের জন্যও তা কামনা কর।'
অন্যদিকে মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও দয়া প্রদর্শন এবং মানবকল্যাণে হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) পথনির্দেশনা আমাদের জন্য পরম পাথেয়। আসলে নবী (সা.) ছিলেন দয়া ও করুণার অদ্বিতীয় উদাহরণ। তার ঔদার্যে কেবল মানুষ কেন, সমগ্র সৃষ্টিলোক শ্রদ্ধাবনত। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ছিলেন বিশ্বমানবতার সবচেয়ে বড় কল্যাণকামী ও মানব জাতির প্রতি সবচেয়ে দয়ালু মহামানব। তার দয়া এবং মানবপ্রেম ইসলাম ধর্মের প্রতি অনেক অমুসলিম মনীষীকেও শ্রদ্ধাশীল হতে বাধ্য করেছে। তিনি ছিলেন দয়া ও করুণার এক অতলান্ত সাগর, যা মানব জাতিকে আজও ভালোবাসার নদীতে পরিতৃপ্ত ও পরিসিক্ত করাতে সক্ষম। এ জন্যই হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) মানবপ্রেমের অসংখ্য ঘটনা ইতিহাসের সোনালি পাতা এবং মানুষের অন্তরে ঠাঁই করে নিয়েছে।
সে হিসেবে হজরত রাসূলুল্লাহকে (সা.) আমাদের হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতে হবে; তার নির্দেশমতো জীবন কাটাতে হবে; রাসূলের (সা.) বাণী মানুষের দ্বারে দ্বারে পেঁৗছাতে হবে। মনে রাখতে হবে, রাসূলের (সা.) ভালোবাসার মধ্যেই রয়েছে দুনিয়ার শান্তি ও পরকালীন সুখ। কারণ, আল্লাহতায়ালা হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) জীবনযাপন পদ্ধতিকে মানুষের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি কথায় ও কাজে মানুষের প্রতি ছিলেন দয়া ও করুণার প্রতিচ্ছবি। মানুষ মানুষের সঙ্গে কীভাবে দয়ার্দ্র আচরণ করবে, তা তিনি মানব জাতিকে কাজের মাধ্যমে শিখিয়ে গেছেন। এ জন্যই আল্লাহতায়ালা মানব জাতিকে তাদের জীবনে মহানবীর (সা.) আদর্শ এবং তার পথ অনুসরণের মাধ্যমে সব ধরনের খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। বলেছেন জীবনের প্রতিটি বাঁকে রাসূলের শেখানো পথে চলতে। তার আদেশ বাস্তবায়ন করতে।
আমরা জানি, ইসলাম সব সময় দয়া ও দানশীলতার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। ইসলামের দৃষ্টিতে ভোগ নয়; ত্যাগেই রয়েছে অপার আনন্দ। পবিত্র কোরআন এ কারণেই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেয়। কারণ, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও মানুষের প্রতি দয়া প্রদর্শন করা না হলে সমাজ দুর্নীতিগ্রস্ত ও ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়বে। দয়া, আনুগত্য এবং দানশীলতা মানুষের মধ্যে ভালোবাসা ও আন্তরিকতার এক বিশেষ অনুভূতি সৃষ্টি করে। একজন প্রকৃত মুমিন-মুসলমান তার বন্ধুদের, পরিবারের লোকদের, এমনকি আগন্তুককেও সাহায্য করে থাকেন। প্রকৃত মুমিন ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাদ্য দান করেন। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এ সম্পর্কে বলেছেন, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের পর সবচেয়ে প্রজ্ঞাপূর্ণ কাজ হলো মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখা এবং সবার প্রতি দয়ালু হওয়া। একজন সত্যিকার মুসলমান ভাষা, বংশ, গায়ের রঙ, জাতীয়তা, ভৌগোলিক সীমানা এবং পদমর্যাদার আলোকে মানুষের সঙ্গে কখনও বৈষম্যমূলক আচরণ করেন না। এ প্রসঙ্গে নবী (সা.) বলেছেন, অন্য মুসলমানদের কল্যাণের কথা না ভেবে যে একটা দিন অতিক্রম করল, সে মুসলমান নয়। অন্যদের সাহায্য করা এবং তাদের সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা সমাজের ওপর গঠনমূলক প্রভাব ফেলে। ইসলাম এ ধরনের কাজকে এক ধরনের ইবাদত বলে মর্যাদা দিয়েছে। পরোপকার ও দয়া মানুষের জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনে এবং এ জন্য মানুষ পরকালেও পুরস্কৃত হবে। আসলে এ বিষয়টি ইসলামের গতিশীল আধ্যাত্মিকতারই একটি অংশবিশেষ। এ প্রসঙ্গে নবীর (সা.) একটি হাদিস সব সময় মনে রাখা দরকার। হাদিসটি হলো, 'তুমি নিজের জন্য যা কামনা কর, তোমার ভাইয়ের জন্যও তা কামনা কর।'
No comments