বিপিএলে স্থানীয় ক্রিকেটারের মধ্যে শাহরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি
বিপিএলের স্মরণীয় এক দিন ছিল কাল খুলনায়। দুই ম্যাচের প্রথমটিতে অসি
ক্রিকেটার ব্রাড হজ ফাস্ট কাস ক্রিকেটে প্রথম পাঁচ হাজার রান করার কৃতিত্ব
দেখালেন।
বরিশাল বার্নার্সের এ ব্যাটসম্যান চিটাগাং
কিংসের বিপক্ষে ৩৪ রান করার মধ্য দিয়ে করেন বিশাল অর্জন। এ ছাড়াও
দ্বিতীয় ম্যাচে ছিল শাহরিয়ার নাফীসের অসাধারণ ব্যাটিং। সেঞ্চুরি করেছেন
তিনি এ দিন। বিপিএলে স্থানীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এটি প্রথম সেঞ্চুরি। তা
ছাড়া এ আসরেরও প্রথম সেঞ্চুরি। প্রথম আসরে সেঞ্চুরি এসেছিল চারটি। এর
মধ্যে ক্রিস গেইল দু’টি এবং ডোয়েন স্মিথ ও আহমেদ শেহজাদ করেন একটি করে।
এবার সূচনা করলেন শাহরিয়ার। খুলনার এ ব্যাটসম্যানের এমনিতেই দিনকাল
যাচ্ছিল না ভালো। এরপর তার দল খুলনাও টানা তিন ম্যাচে হেরে ছিল একেবারে
কোণঠাসা অবস্থায়। গতকাল এ ম্যাচে দুরন্ত রাজশাহীর বিপক্ষে জয়ের মাধ্যমে
বন্ধ্যাত্বও ঘুচালো জয়ের। ৬৮ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে তারা। ম্যাচে
শাহরিয়ার করেন অপরাজিত ১০২ রান। ৬৯ বলে ওই রান করতে দু’টি ছক্কা ও ১২টি
বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। তার পার্টনার নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান লু
ভিনসেন্টও কম যাননি। তিনিও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৮৯ রান করে। ৫১ বলে
ওই রান করতে আটটি ছক্কা ও ছয়টি বাউন্ডারি হাঁকান কিউই ব্যাটসম্যান। এ
দু’জনের অপরাজিত ১৯৭ রানের পার্টনারশিপও বিপিএলের রেকর্ড। ওপেনিংয়ে খেলতে
নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তারা। তবে টি-২০ ফাস্ট
কাস ক্রিকেটে রেকর্ড পার্টনারশিপ গিলক্রিস্ট ও শন মার্শের দখলে। দ্বিতীয়
উইকেট জুটিতে ২০৬ রান করেছিলেন তারা ২০১১ সালে আইপিএলে। উদ্বোধন জুটিতে ২০১
করেছেন ইংল্যান্ডের ইনগ্রাম ও জেমি হাউ। ২০১১-১২ মওসুমে নিউজিল্যান্ডের
ঘরোয়া টুর্নামেন্ট এইচ আর ভি কাপে। শাহরিয়ার নাফীস ও ভিনসেন্টের করা ১৯৭
তৃতীয় সর্বোচ্চ।
খুলনা শেখ নাসের স্টেডিয়ামে আলোচিত এ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে রাজশাহী প্রথম ব্যাটিং করতে দিয়েছিল খুলনা রয়েল বেঙ্গলসকে। শাহরিয়ার ও ভিনসেন্ট শুরু থেকেই ছিলেন অ্যাটাকিং। রাজশাহীর কোনো বোলারই তাদের ওপর কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। ফলে দু’জনই শেষ করেন ইনিংস, বিশাল ওই সংগ্রহের মধ্য দিয়ে।
১৬৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রাজশাহীর ওপেনার তামিমের ওপরই ছিল যা ভরসা। কিন্তু ৫ রান করার পর আসিফের বলে তামিম বোল্ড হওয়ার পরই ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত হয়ে যায় খুলনার জয়। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। কারণ ওই বিশাল সংগ্রহের বিপক্ষে তাড়া করে যাবেন কে? কভেন্ট্রি, সায়মন ক্যাটিচদের সামর্থ্য থাকলেও খুলনার তুলনামূলক স্লো ও অনভ্যস্ত উইকেটে কী আর করবেন। হয়ওনি। ১৮ দশমিক ৩ ওভারে ১২৯ রান সংগ্রহে শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস। সর্বোচ্চ রান আসে জহুরুলের ব্যাট থেকে। ২৬ করেন তিনি। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ করেন কভেন্ট্রি। ফরহাদ রেজা তিনটি এ ছাড়া জারদান ও হ্যারিস নেন দু’টি করে উইকেট।
উল্লেখ্য, হজের পেছনেই রয়েছেন ডেভিড হাসি। তার রান চার হাজার ৮২১। চার হাজারের বেশি রান করা অপর তিন ব্যাটসম্যান হলেন ক্রিস গেইল, ম্যাককুলাম ও ওয়াইজ শাহ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা রয়েল বেঙ্গলস : ১৯৭/০ (২০ ওভার)। শাহরিয়ার নাফীস ১০২ অপ:, ভিনসেন্ট ৮৯ অপ:।
দুরন্ত রাজশাহী : ১২৯/১০ (১৮.৩ ওভার)। জহুরুল ২৬, কভেন্ট্রি ২৩, আরভিন ২২, মঈন আলী ২২; ফরহাদ রেজা ৩/২২।
ফল : খুলনা রয়েল ৬৮ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : শাহরিয়ার নাফীস।
খুলনা শেখ নাসের স্টেডিয়ামে আলোচিত এ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে রাজশাহী প্রথম ব্যাটিং করতে দিয়েছিল খুলনা রয়েল বেঙ্গলসকে। শাহরিয়ার ও ভিনসেন্ট শুরু থেকেই ছিলেন অ্যাটাকিং। রাজশাহীর কোনো বোলারই তাদের ওপর কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। ফলে দু’জনই শেষ করেন ইনিংস, বিশাল ওই সংগ্রহের মধ্য দিয়ে।
১৬৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রাজশাহীর ওপেনার তামিমের ওপরই ছিল যা ভরসা। কিন্তু ৫ রান করার পর আসিফের বলে তামিম বোল্ড হওয়ার পরই ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত হয়ে যায় খুলনার জয়। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। কারণ ওই বিশাল সংগ্রহের বিপক্ষে তাড়া করে যাবেন কে? কভেন্ট্রি, সায়মন ক্যাটিচদের সামর্থ্য থাকলেও খুলনার তুলনামূলক স্লো ও অনভ্যস্ত উইকেটে কী আর করবেন। হয়ওনি। ১৮ দশমিক ৩ ওভারে ১২৯ রান সংগ্রহে শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস। সর্বোচ্চ রান আসে জহুরুলের ব্যাট থেকে। ২৬ করেন তিনি। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ করেন কভেন্ট্রি। ফরহাদ রেজা তিনটি এ ছাড়া জারদান ও হ্যারিস নেন দু’টি করে উইকেট।
উল্লেখ্য, হজের পেছনেই রয়েছেন ডেভিড হাসি। তার রান চার হাজার ৮২১। চার হাজারের বেশি রান করা অপর তিন ব্যাটসম্যান হলেন ক্রিস গেইল, ম্যাককুলাম ও ওয়াইজ শাহ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা রয়েল বেঙ্গলস : ১৯৭/০ (২০ ওভার)। শাহরিয়ার নাফীস ১০২ অপ:, ভিনসেন্ট ৮৯ অপ:।
দুরন্ত রাজশাহী : ১২৯/১০ (১৮.৩ ওভার)। জহুরুল ২৬, কভেন্ট্রি ২৩, আরভিন ২২, মঈন আলী ২২; ফরহাদ রেজা ৩/২২।
ফল : খুলনা রয়েল ৬৮ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : শাহরিয়ার নাফীস।
No comments