জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার চার্জ গঠনের শুনানি ৩ মার্চ
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টসংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী
বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আগামী ৩
মার্চ অভিযোগ গঠনে শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
ঢাকার
বিশেষ জজ-৩ মো: মোজাম্মেল হোসেনের আদালতে গতকাল অভিযোগ শুনানির তারিখ
ধার্য ছিল। বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ সময়
চেয়ে আবেদন করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষে পিপি মোশারফ হোসেন কাজল এ আবেদনের
বিরোধিতা করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান
বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তাকে আমরা
সম্মান করি। তবে উচ্চাদালত থেকে এ মামলার কার্যক্রম স্থগিতের কোনো নির্দেশ
নেই। যে কারণে তার অনুপস্থিতিতেই শুনানি হতে পারে। তার পক্ষে তার আইনজীবীরা
শুনানি করতে পারেন।
রাষ্ট্রপক্ষের এ বক্তব্যে সঠিক নয় মন্তব্য করে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ বিষয়টি অনুধাবন করতে ভুল করছেন। কারণ অভিযোগ শুনানির জন্য অবশ্যই আসামিপক্ষকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হয়। তার পক্ষে-বিপক্ষে কি বলা হয়েছে, তা তাকে শুনতে হবে। তা ছাড়া বেগম খালেদা জিয়া বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে সামনে জাতীয় সংসদে অধিবেশনে যাবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। সে জন্যও সময় দেয়া প্রয়োজন। তা ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে চার্জশিট দেয়া ঠিক হয়নি। চার্জশিট দেয়ার পর আদালত চার্জশিটি আমলে নেয়ায় তিনি উচ্চাদালতে ওই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছেন। যা বিচারপতি মো: আব্দুল ওহাব মিয়া ও বিচারপতি মো: আব্দুর রাজ্জাক মিয়া গত ৩-২-১০ তারিখে অত্র মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল করা হবে না মর্মে রুল দিয়েছেন। হাইকোর্ট গত ১৩-১২-১০ ও ১৪-১২-১১ তারিখে রুল ডিসচার্জ করে দেন। বেগম খালেদা জিয়া ওই ডিসচার্জ আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করেন। যা আগামী ৩১ মার্চ শুনানির জন্য তারিখ ধার্য আছে। সে কারণে অদ্যকার অভিযোগ শুনানি মুলতবি রেখে সময় দেয়া প্রয়োজন। অন্যথায় আসামিপক্ষের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেনÑ মো: সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, খোরশেদ আলম, মো: মহসিন মিয়া, গোলাম মোস্তফা খান, মো: আইয়ুব আলী মজুমদার, মো: মঈনউদ্দিন, জাকির হোসেন, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ ও আ: হান্নান।
রাষ্ট্রপক্ষের এ বক্তব্যে সঠিক নয় মন্তব্য করে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ বিষয়টি অনুধাবন করতে ভুল করছেন। কারণ অভিযোগ শুনানির জন্য অবশ্যই আসামিপক্ষকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হয়। তার পক্ষে-বিপক্ষে কি বলা হয়েছে, তা তাকে শুনতে হবে। তা ছাড়া বেগম খালেদা জিয়া বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে সামনে জাতীয় সংসদে অধিবেশনে যাবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। সে জন্যও সময় দেয়া প্রয়োজন। তা ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে চার্জশিট দেয়া ঠিক হয়নি। চার্জশিট দেয়ার পর আদালত চার্জশিটি আমলে নেয়ায় তিনি উচ্চাদালতে ওই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছেন। যা বিচারপতি মো: আব্দুল ওহাব মিয়া ও বিচারপতি মো: আব্দুর রাজ্জাক মিয়া গত ৩-২-১০ তারিখে অত্র মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল করা হবে না মর্মে রুল দিয়েছেন। হাইকোর্ট গত ১৩-১২-১০ ও ১৪-১২-১১ তারিখে রুল ডিসচার্জ করে দেন। বেগম খালেদা জিয়া ওই ডিসচার্জ আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করেন। যা আগামী ৩১ মার্চ শুনানির জন্য তারিখ ধার্য আছে। সে কারণে অদ্যকার অভিযোগ শুনানি মুলতবি রেখে সময় দেয়া প্রয়োজন। অন্যথায় আসামিপক্ষের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেনÑ মো: সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, খোরশেদ আলম, মো: মহসিন মিয়া, গোলাম মোস্তফা খান, মো: আইয়ুব আলী মজুমদার, মো: মঈনউদ্দিন, জাকির হোসেন, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ ও আ: হান্নান।
No comments