যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ দ্রুত শেষ করার দাবি
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ দ্রুত শেষ করা এবং রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে জাতি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। আবুল কালাম আযাদের ফাঁসি দ্রুত সময়ে কার্যকর করার পাশাপাশি অন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ দ্রত সম্পন্ন করতে হবে।সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তার অবসান ঘটে। এই সরকার আবার তা শুরু করেছে। এটি আমাদের জন্য আনন্দ ও গৌরবের ব্যাপার যে জীবদ্দশায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেখে যেতে পারছি।’
জোটের সহসভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘আবুল কালাম আযাদের ফাঁসির রায়ে আমরা আনন্দ ও মুক্ত বোধ করছি। এই রায়ের মাধ্যমে জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়িত হয়েছে। কিন্তু এ বিচারকে বিতর্কিত করতে অনেকে ষড়যন্ত্র করছে।’
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউটের সভাপতি রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘সারা দেশের মানুষ এ রায়ের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। আমরা আশা করি, সরকার দ্রুত আবুল কালাম আযাদকে গ্রেপ্তার করে এ রায় কার্যকর করবে।’
জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ মানববন্ধন কর্মসূচিটি সঞ্চালনা করেন। বিটিভির মহাপরিচালক ম হামিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতি মান্নান হীরা প্রমুখ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন।
এর আগে সাংস্কৃতিক জোটের নেতা-কর্মীরা মৌন মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আসেন। সেখানে মানববন্ধন ও বক্তৃতা পর্ব শেষে আবার মৌন মিছিল নিয়ে টিএসসিতে যান জোটের নেতা-কর্মীরা। পরে যুদ্ধাপরাধীদের ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
২১ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন আবুল কালাম আযাদের ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেন।
No comments