শিশুর গলায় চাপাতি ঠেকিয়ে মাকে খুন
রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় আট বছরের শিশুর গলায় চাপাতি ঠেকিয়ে মা তাসলিমা আক্তার ওরফে জেসমিনকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে হাত-পা বাঁধা তাসলিমার লাশ উদ্ধার করেছে হাজারীবাগ থানা পুলিশ।
বুধবার গভীর রাতে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাসার আলমারি থেকে দুই লাখ টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে সাবেক গৃহকর্মী আশাসহ দুই নারী যায় তাসলিমার বাসায়। তারা রাতে থাকতে দেওয়ার অনুরোধ করে। পরে আরো দুই পুরুষ যায় ওই বাসায় থাকার জন্য। তারা বৃহস্পতিবার বিয়ে করবে বলে শুধু ওই রাতে থাকতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। পরে তাদের থাকার অনুমতি দেন তাসলিমা। গভীর রাতে তারা তাসলিমাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
তাসলিমার শিশু সন্তান প্রিন্স বলেছে, শেষ রাতে চার 'অতিথি' তাদের কক্ষে ঢোকে এবং তার গলায় চাপাতি ধরে শব্দ করতে নিষেধ করে। এর পর তার সামনে মায়ের পা বেঁধে গলা চেপে মুখে কাপড় গুঁজে শ্বাসরোধে হত্যা করে। তখন প্রিন্স ভয়ে লেপের নিচে মুখ ঢেকে রাখে।
তাসলিমার বোন শামীমা জানান, ওই চারজন চলে গেলে সকালে তার ভাগ্নে পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে থাকা দুই গৃহকর্মী রনি ও কাজলকে জাগিয়ে ঘটনাটি বলে। তখন তারা তাসলিমার বড় মেয়ে রোমানা আফরোজের স্বামী সুমনকে টেলিফোন করে জানায়। সুমন থানায় খবর দেন। ঘটনার পর থেকেই প্রিন্সের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ।
জানা যায়, তাসলিমা তাঁর আট বছরের ছেলে ও দুই গৃহকর্মীকে নিয়ে ২৯১ রায়েরবাজার টালি অফিসের গলির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাসলিমার বড় মেয়ে রোমানা আফরোজ (২০) লালবাগে তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকেন। তাসলিমার স্বামী এনামুল হক ওরফে পারভেজ ব্রাজিলপ্রবাসী।
হাজারীবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ ইকবাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা ইতিমধ্যে আসামিদের সম্পর্কে অবগত হয়েছি। ঘটনার রাতে যারা এসেছে তারাই হত্যার সঙ্গে জড়িত। আর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই গৃহপরিচারিকাকে আটক করা হয়েছে।'
ওসি আরো জানান, ঘাতকরা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে আসে। ওই বাসায় টাকা ও স্বর্ণালংকার আছে_এমন ধারণা ছিল। লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন এবং মুখে কাপড় গোঁজা ছিল। বাড়িটির নিচতলার কলাপসিবল গেটে তালা লাগানো থাকায় খুনিরা দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যায়।
তাসলিমার ছেলের বরাত দিয়ে তাঁর বোন শামীমা আক্তার জানান, বুধবার রাতে পূর্বপরিচিত আশা নামের এক নারী তাসলিমার বাসায় যায়। পরে আরো দুই যুবক ও এক নারী যায় এবং রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে তারা অন্য দুই কক্ষে ঘুমায়। ছেলেকে নিয়ে তাসলিমা ছিলেন একটি কক্ষে। এ ছাড়া অন্য একটি কক্ষে ছিলেন দুই গৃহকর্মী রনি আক্তার (২২) ও কাজল (২৫)।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি-রমনা) নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ছাড়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), র্যাব, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ঘটনার রহস্য অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে। সুরতহাল তৈরি শেষে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। তাসলিমার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গার দরিয়ামাঠে।
হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে সাবেক গৃহকর্মী আশাসহ দুই নারী যায় তাসলিমার বাসায়। তারা রাতে থাকতে দেওয়ার অনুরোধ করে। পরে আরো দুই পুরুষ যায় ওই বাসায় থাকার জন্য। তারা বৃহস্পতিবার বিয়ে করবে বলে শুধু ওই রাতে থাকতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। পরে তাদের থাকার অনুমতি দেন তাসলিমা। গভীর রাতে তারা তাসলিমাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
তাসলিমার শিশু সন্তান প্রিন্স বলেছে, শেষ রাতে চার 'অতিথি' তাদের কক্ষে ঢোকে এবং তার গলায় চাপাতি ধরে শব্দ করতে নিষেধ করে। এর পর তার সামনে মায়ের পা বেঁধে গলা চেপে মুখে কাপড় গুঁজে শ্বাসরোধে হত্যা করে। তখন প্রিন্স ভয়ে লেপের নিচে মুখ ঢেকে রাখে।
তাসলিমার বোন শামীমা জানান, ওই চারজন চলে গেলে সকালে তার ভাগ্নে পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে থাকা দুই গৃহকর্মী রনি ও কাজলকে জাগিয়ে ঘটনাটি বলে। তখন তারা তাসলিমার বড় মেয়ে রোমানা আফরোজের স্বামী সুমনকে টেলিফোন করে জানায়। সুমন থানায় খবর দেন। ঘটনার পর থেকেই প্রিন্সের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ।
জানা যায়, তাসলিমা তাঁর আট বছরের ছেলে ও দুই গৃহকর্মীকে নিয়ে ২৯১ রায়েরবাজার টালি অফিসের গলির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাসলিমার বড় মেয়ে রোমানা আফরোজ (২০) লালবাগে তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকেন। তাসলিমার স্বামী এনামুল হক ওরফে পারভেজ ব্রাজিলপ্রবাসী।
হাজারীবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ ইকবাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা ইতিমধ্যে আসামিদের সম্পর্কে অবগত হয়েছি। ঘটনার রাতে যারা এসেছে তারাই হত্যার সঙ্গে জড়িত। আর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই গৃহপরিচারিকাকে আটক করা হয়েছে।'
ওসি আরো জানান, ঘাতকরা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে আসে। ওই বাসায় টাকা ও স্বর্ণালংকার আছে_এমন ধারণা ছিল। লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন এবং মুখে কাপড় গোঁজা ছিল। বাড়িটির নিচতলার কলাপসিবল গেটে তালা লাগানো থাকায় খুনিরা দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যায়।
তাসলিমার ছেলের বরাত দিয়ে তাঁর বোন শামীমা আক্তার জানান, বুধবার রাতে পূর্বপরিচিত আশা নামের এক নারী তাসলিমার বাসায় যায়। পরে আরো দুই যুবক ও এক নারী যায় এবং রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে তারা অন্য দুই কক্ষে ঘুমায়। ছেলেকে নিয়ে তাসলিমা ছিলেন একটি কক্ষে। এ ছাড়া অন্য একটি কক্ষে ছিলেন দুই গৃহকর্মী রনি আক্তার (২২) ও কাজল (২৫)।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি-রমনা) নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ছাড়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), র্যাব, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ঘটনার রহস্য অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে। সুরতহাল তৈরি শেষে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। তাসলিমার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গার দরিয়ামাঠে।
No comments