ধূমপায়ী নারীর মৃত্যুর ঝুঁকি আগের চেয়ে বেশি
নারী ধূমপায়ীদের ফুসফুস ক্যান্সারে মারা যাওয়ার হার অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। অল্প বয়সে ধূমপানের অভ্যাস এবং ক্রমশই বেশি মাত্রায় ধূমপানই এর জন্য দায়ী। তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের ফলে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও আগের চেয়ে বেশি।
গত বুধবার প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে (এনইজেএম) বুধবার গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির প্রধান মাইকেল থান ও সেন্ট মাইকেলস হাসপাতালের চিকিৎসক প্রভাত ঝা গবেষণাটি করেছেন। ৫৫ বছরের বেশি বয়সী ২২ লাখ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ওপর পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, অধূমপায়ীর চেয়ে ধূমপায়ীর গড় আয়ু ১০ বছর কমে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ধূমপানের কারণে নারী-পুরুষের মৃত্যুর হার প্রায় কাছাকাছি। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে যেসব নারী ধূমপান করতেন, অধূমপায়ী নারীদের চেয়ে তাঁদের ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার হার ছিল তিন গুণ বেশি। অথচ ২০০০ থেকে ২০১০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায়, ধূমপায়ী নারীদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার ২৫ দশমিক ৭ গুণ বেশি। আশির দশকে ধূমপায়ী পুরুষের মৃত্যুর হার এ রকম ছিল।
গবেষক মাইকেল থান বলেন, 'দশকের পর দশক ধরে ধূমপান অব্যাহত রাখায় নারীরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন।' তিনি জানান, বিভিন্ন টোব্যাকো কম্পানি 'নিকোটিনের মাত্রা কম' এমন লেভেল লাগিয়ে নারীদের জন্য সিগারেট বাজারজাত করছে। আসলে এসব সিগারেটে নিকোটিনের মাত্রা কম নাকি বেশি তা পরীক্ষা করে দেখা হয় না। সিগারেটে যে মাত্রার নিকোটিনই থাকুক না কেন তা সরাসরি ফুসফুসের ভেতরে প্রবেশ করে এবং স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তিনি আরো বলেন, 'উন্নয়নশীল দেশগুলোয় সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাবের মাত্রা বেশি। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক পরেই এসব দেশে নারীদের ধূমপানের অভ্যাস গড়ে উঠেছে। গত কয়েক দশকে এসব দেশে ধূমপানের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত এবং মৃত্যুহারও অনেক বেশি।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে (এনইজেএম) বুধবার গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির প্রধান মাইকেল থান ও সেন্ট মাইকেলস হাসপাতালের চিকিৎসক প্রভাত ঝা গবেষণাটি করেছেন। ৫৫ বছরের বেশি বয়সী ২২ লাখ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ওপর পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, অধূমপায়ীর চেয়ে ধূমপায়ীর গড় আয়ু ১০ বছর কমে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ধূমপানের কারণে নারী-পুরুষের মৃত্যুর হার প্রায় কাছাকাছি। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে যেসব নারী ধূমপান করতেন, অধূমপায়ী নারীদের চেয়ে তাঁদের ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার হার ছিল তিন গুণ বেশি। অথচ ২০০০ থেকে ২০১০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায়, ধূমপায়ী নারীদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার ২৫ দশমিক ৭ গুণ বেশি। আশির দশকে ধূমপায়ী পুরুষের মৃত্যুর হার এ রকম ছিল।
গবেষক মাইকেল থান বলেন, 'দশকের পর দশক ধরে ধূমপান অব্যাহত রাখায় নারীরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন।' তিনি জানান, বিভিন্ন টোব্যাকো কম্পানি 'নিকোটিনের মাত্রা কম' এমন লেভেল লাগিয়ে নারীদের জন্য সিগারেট বাজারজাত করছে। আসলে এসব সিগারেটে নিকোটিনের মাত্রা কম নাকি বেশি তা পরীক্ষা করে দেখা হয় না। সিগারেটে যে মাত্রার নিকোটিনই থাকুক না কেন তা সরাসরি ফুসফুসের ভেতরে প্রবেশ করে এবং স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তিনি আরো বলেন, 'উন্নয়নশীল দেশগুলোয় সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাবের মাত্রা বেশি। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক পরেই এসব দেশে নারীদের ধূমপানের অভ্যাস গড়ে উঠেছে। গত কয়েক দশকে এসব দেশে ধূমপানের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত এবং মৃত্যুহারও অনেক বেশি।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments