ভারতের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ জরুরি
বাংলাদেশ নামের বদ্বীপটি দাঁড়িয়ে আছে তিনটি প্রধান নদী গঙ্গা,
ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর অববাহিকার ওপর। এই তিনটি প্রধান নদীর অসংখ্য
শাখানদী মালার মতো দেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদী
হচ্ছে এ দেশের লাইফলাইন। নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এ দেশের নগর জনপদ।
বাংলাদেশের অস্তিত্বের সাথে জড়িয়ে আছে নদীর সম্পর্ক। কিন্তু বাংলাদেশের
ভেতর দিয়ে প্রবাহিত প্রধান তিনটি নদীর উজান থেকে পানি প্রত্যাহার ও বাঁধ
নির্মাণের ফলে অসংখ্য নদী এখন মৃতপ্রায়। দেশের প্রধান নদী পদ্মাও এখন
মৃতপ্রায়। এর ফলে নদীটির অসংখ্য শাখা ও উপনদী মরে গেছে।
বাংলাদেশের নদীগুলোর উজানে ভারতের এই বাঁধ নির্মাণ ও পানি প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া এখনো চলছে। ভারত-বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ৫৪টি অভিন্ন নদী প্রবহমান। এসব আন্তর্জাতিক নদীর ওপর ভারত ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি বাঁধ নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে অনেক ড্যাম নির্মাণ করা হয়েছে পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য। আবার কোথাও খাল কেটে পানি ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রিজার্ভার নির্মাণ করে পানি ধরে রাখা হচ্ছে। উজানের নদীতে ভারতের এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। এর ফলে নদীতে পানির প্রবাহ কমে গেছে।
উজানে পানি প্রত্যাহারের ফলে ভাটির দেশে যে কী ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে পদ্মা তার বড় প্রমাণ। ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে অসংখ্য ছোট-বড় নদী এখন মরে গেছে। বেড়ে গেছে লবণাক্ততা। নদীভিত্তিক সেচব্যবস্থা এখন আর নেই। ফলে এ অঞ্চলের কৃষিব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় খাদ্য উৎপাদন হুমকির মুখে পড়েছে। এমনকি বিশ্বের ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন হুমকির মুখে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক নদীর ওপর বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারত কোনো আইনকানুনের তোয়াক্কা করছে না। এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে ভাটির দেশকে জানানোর কথা থাকলেও ভারত তা কখনোই করেনি। যেমন টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বারবার তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হলেও তা ভারত দিচ্ছে না। এমনকি পানিবণ্টনের চুক্তিও মানছে না। গঙ্গার পানিবণ্টন নিয়ে ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি হলেও ১৯৯৬ সালে চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে কোনো বছরই চুক্তিমাফিক পানি পায়নি। চলতি শুকনো মওসুমের ২০ দিনে ২৮ হাজার কিউসেকের বেশি পানি কম পেয়েছে।
উজানে একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশের মানুষের জীবন-জীবিকা ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের হুমকির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশের উচিত এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। আমরা আশা করব, সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলো ভারতকে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখতে চাপ প্রয়োগ করবে।
বাংলাদেশের নদীগুলোর উজানে ভারতের এই বাঁধ নির্মাণ ও পানি প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া এখনো চলছে। ভারত-বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ৫৪টি অভিন্ন নদী প্রবহমান। এসব আন্তর্জাতিক নদীর ওপর ভারত ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি বাঁধ নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে অনেক ড্যাম নির্মাণ করা হয়েছে পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য। আবার কোথাও খাল কেটে পানি ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রিজার্ভার নির্মাণ করে পানি ধরে রাখা হচ্ছে। উজানের নদীতে ভারতের এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। এর ফলে নদীতে পানির প্রবাহ কমে গেছে।
উজানে পানি প্রত্যাহারের ফলে ভাটির দেশে যে কী ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে পদ্মা তার বড় প্রমাণ। ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে অসংখ্য ছোট-বড় নদী এখন মরে গেছে। বেড়ে গেছে লবণাক্ততা। নদীভিত্তিক সেচব্যবস্থা এখন আর নেই। ফলে এ অঞ্চলের কৃষিব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় খাদ্য উৎপাদন হুমকির মুখে পড়েছে। এমনকি বিশ্বের ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন হুমকির মুখে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক নদীর ওপর বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারত কোনো আইনকানুনের তোয়াক্কা করছে না। এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে ভাটির দেশকে জানানোর কথা থাকলেও ভারত তা কখনোই করেনি। যেমন টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বারবার তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হলেও তা ভারত দিচ্ছে না। এমনকি পানিবণ্টনের চুক্তিও মানছে না। গঙ্গার পানিবণ্টন নিয়ে ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি হলেও ১৯৯৬ সালে চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে কোনো বছরই চুক্তিমাফিক পানি পায়নি। চলতি শুকনো মওসুমের ২০ দিনে ২৮ হাজার কিউসেকের বেশি পানি কম পেয়েছে।
উজানে একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশের মানুষের জীবন-জীবিকা ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের হুমকির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশের উচিত এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। আমরা আশা করব, সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলো ভারতকে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখতে চাপ প্রয়োগ করবে।
No comments