হাসিনার নব্য বাকশাল বেশি বিপজ্জনক
আজ ২৫ জানুয়ারি একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা
দিবস। স্বাধীনতা-পরবর্তী ১৯৭৫ সালের এই দিনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল
আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা কায়েম করে
গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছিলেন।
সেই কালো দিনের স্মরণে
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আলোচনায় বিশিষ্ট কলামিস্ট চিন্তাবিদ
ফরহাদ মজহার বলেছেন, মুজিবের বাকশালের চেয়ে শেখ হাসিনার নব্য বাকশাল আরো
বেশি বিপজ্জনক। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস কাবে আয়োজিত এ আলোচনায়
অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক
ডা: এম এ মাজেদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক কলামিস্ট মাহফুজুল্লাহ, বিএনপি
চেয়ারপারসনের প্রেস সেক্রেটারি মারুফ কামাল খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব চাষী
নজরুল ইসলাম, সাবেক সচিব আ ন হ আখতার হোসেন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. খলিলুর রহমান, স্বাস্থ্য
অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান, শিক্ষক নেতা জাকির
হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক মামুন আহমেদ,
সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, ডা: আবদুল কুদ্দুস প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন
পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। সে দিন সৈনিকদের সাথে জনগণের একটি মৈত্রী গড়ে উঠেছিল। এটা থেকেই নতুন রাজনৈতিক শক্তি গড়ে ওঠে পরবর্তীকালে। ভবিষ্যতেও জনগণ ও সৈনিকের বৈপ্লবিক মৈত্রী ছাড়া এগিয়ে যেতে পারবে না বাংলাদেশ। এই ঐতিহাসিক সত্য মাথায় রেখেই বাংলাদেশের প্রতিরক্ষানীতি হতে হবে। জিয়ার মধ্যে এ ধরনের দর্শন পাওয়া গিয়েছিল। তারা বুঝতে পেরেছিলেন কেবল অফিসারদের দিয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সম্ভব নয়।
বর্তমান সরকারের কুশাসনের বিরুদ্ধে জনগণ রাস্তায় নামছে না কেনÑ এমন প্রশ্ন উত্থাপন করে নিজেই এর উত্তরে বলেন, তারা ভাবছে বিএনপি ক্ষমতা হারানোর পর এই কয়েক বছরে এমন কিছু করেনি যার কারণে জনগণ রাস্তায় নামতে পারে। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিপরীতে উদারমনা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম করতে হলে রাস্তায় নেমে আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই।
ফরহাদ মজহার বলেন, সমাজতন্ত্রের বিপরীতে বাজার ব্যবস্থার কথা প্রথম বলেছেন জিয়া। এই কথাটি কেউ বলতে চায় না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র নয়, দরকার গণতন্ত্র। কারণ আমাদের উদ্যোক্তা প্রয়োজন।
বক্তব্যের শুরুতে ফরহাদ মজহার সরকারের জনপ্রিয়তা নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকের সমীক্ষা সম্পর্কে বলেন, পত্রিকাটি দেখিয়েছে সরকারের জনপ্রিয়তা কমলেও সরকার প্রধানের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এখানে কিছু একটা রয়েছে এটা সবার জানা উচিত। দৈনিক আমার দেশ-এর সম্পাদককে দীর্ঘ দিন অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছেÑ এটাকে লজ্জার বিষয় হিসেবে তিনি মনে করেন। মোহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান সংসদকে দিয়ে ক্ষমতা পাঁচ বছর বাড়িয়ে নিয়েছিলেন। একই প্রক্রিয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর শাসনকেও আরো তিন বছর বৃদ্ধি করে নেয়ার পাঁয়তারা চলছে। তিনি বলেন, ’৭২ থেকে ’৭৫-এর ঘটনা প্রবাহের সাথে আজকের ঘটনা প্রবাহের কোনো পার্থক্য নেই।
মারুফ কামাল খান বলেন, বাবার মতো কন্যার শাসনামলেও একই ধরনের একদলীয় বাকশালী শাসন চলছে। এই ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হলে নতুন কৌশলে এগিয়ে যেতে হবে।
অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার বলেন, ১৩ মিনিটের বক্তৃতায় একদলীয় বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। কারণ ব্যর্থতা ঢাকতে বহুমতের সম্মিলন বাধাগ্রস্ত করার বিকল্প ছিল না।
চাষী নজরুল বলেন, একতরফা নির্বাচন কিভাবে প্রতিহত করা যায় আজকে তা নিয়ে ভাবতে হবে।
অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা করে যেভাবে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল তা নতুন প্রজন্মের কাছে পরিষ্কার করে তুলে ধরতে হবে।
ফরহাদ মজহার বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। সে দিন সৈনিকদের সাথে জনগণের একটি মৈত্রী গড়ে উঠেছিল। এটা থেকেই নতুন রাজনৈতিক শক্তি গড়ে ওঠে পরবর্তীকালে। ভবিষ্যতেও জনগণ ও সৈনিকের বৈপ্লবিক মৈত্রী ছাড়া এগিয়ে যেতে পারবে না বাংলাদেশ। এই ঐতিহাসিক সত্য মাথায় রেখেই বাংলাদেশের প্রতিরক্ষানীতি হতে হবে। জিয়ার মধ্যে এ ধরনের দর্শন পাওয়া গিয়েছিল। তারা বুঝতে পেরেছিলেন কেবল অফিসারদের দিয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সম্ভব নয়।
বর্তমান সরকারের কুশাসনের বিরুদ্ধে জনগণ রাস্তায় নামছে না কেনÑ এমন প্রশ্ন উত্থাপন করে নিজেই এর উত্তরে বলেন, তারা ভাবছে বিএনপি ক্ষমতা হারানোর পর এই কয়েক বছরে এমন কিছু করেনি যার কারণে জনগণ রাস্তায় নামতে পারে। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিপরীতে উদারমনা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম করতে হলে রাস্তায় নেমে আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই।
ফরহাদ মজহার বলেন, সমাজতন্ত্রের বিপরীতে বাজার ব্যবস্থার কথা প্রথম বলেছেন জিয়া। এই কথাটি কেউ বলতে চায় না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র নয়, দরকার গণতন্ত্র। কারণ আমাদের উদ্যোক্তা প্রয়োজন।
বক্তব্যের শুরুতে ফরহাদ মজহার সরকারের জনপ্রিয়তা নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকের সমীক্ষা সম্পর্কে বলেন, পত্রিকাটি দেখিয়েছে সরকারের জনপ্রিয়তা কমলেও সরকার প্রধানের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এখানে কিছু একটা রয়েছে এটা সবার জানা উচিত। দৈনিক আমার দেশ-এর সম্পাদককে দীর্ঘ দিন অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছেÑ এটাকে লজ্জার বিষয় হিসেবে তিনি মনে করেন। মোহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান সংসদকে দিয়ে ক্ষমতা পাঁচ বছর বাড়িয়ে নিয়েছিলেন। একই প্রক্রিয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর শাসনকেও আরো তিন বছর বৃদ্ধি করে নেয়ার পাঁয়তারা চলছে। তিনি বলেন, ’৭২ থেকে ’৭৫-এর ঘটনা প্রবাহের সাথে আজকের ঘটনা প্রবাহের কোনো পার্থক্য নেই।
মারুফ কামাল খান বলেন, বাবার মতো কন্যার শাসনামলেও একই ধরনের একদলীয় বাকশালী শাসন চলছে। এই ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হলে নতুন কৌশলে এগিয়ে যেতে হবে।
অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার বলেন, ১৩ মিনিটের বক্তৃতায় একদলীয় বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। কারণ ব্যর্থতা ঢাকতে বহুমতের সম্মিলন বাধাগ্রস্ত করার বিকল্প ছিল না।
চাষী নজরুল বলেন, একতরফা নির্বাচন কিভাবে প্রতিহত করা যায় আজকে তা নিয়ে ভাবতে হবে।
অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা করে যেভাবে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল তা নতুন প্রজন্মের কাছে পরিষ্কার করে তুলে ধরতে হবে।
No comments