গোল্ডস্টেইনকে অর্থমন্ত্রী- এত জনপ্রিয় হলে চাকরি ছেড়ে এখানে রাজনীতি করলেই হয়
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী কান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যালেন গোল্ডস্টেইনকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিরাট এক দুর্নীতি উদ্ঘাটন করেছেন উনি। উনি বলেছেন, বাংলাদেশে উনি নাকি জনপ্রিয় ব্যক্তি।
আমি মনে করি, বিশ্বব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়ে এখানে এসে রাজনীতি করলে তাঁর ভালো হয়।’
সচিবালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, ‘আমি আপনাদের একটি তথ্য দিতে চাই। কাল (আজ শুক্রবার) অর্থমন্ত্রীর ৮০তম জন্মদিন।’
ক্রয় কমিটির বৈঠকের আগে গতকাল সকালে ডেনমার্ক ও সুইডেনের সফররত তিন এমপির সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী। প্রথমেই এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি। এরপর ব্যাখ্যাসহ ক্রয় কমিটিতে অনুমোদিত ও অননুমোদিত প্রকল্পের কথা জানান। এ সময়ই সাংবাদিকেরা পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেন।
বিশেষজ্ঞ দলের বক্তব্য জেনে পদ্মা সেতুর অর্থায়নের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এ মাসে জানানো সম্ভব না-ও হতে পারে—অ্যালেন গোল্ডস্টেইনের এই বক্তব্য বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘উনার চাকরির মেয়াদ শেষ। এ মাসের শেষে চলে যাচ্ছেন। উনি তো কত কথাই বলেছেন। বাংলাদেশের বিরাট দুর্নীতি উদ্ঘাটন করেছেন উনি।’
বিশ্বব্যাংক ফিরে না এলে কী হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো বলিনি যে বিশ্বব্যাংক ফিরবে না। তাই এখন কিছু বলতে পারব না। তবে আগের কথাই আবার বলতে পারি। তিন দাতার সঙ্গে কথা বলছি। আরও দুজন নিজে থেকেই আগ্রহী। এটি একটি জটিল অবস্থা।’
শুরুর দিকে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সব তথ্য দেয়নি বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কেউ একজন ডায়েরিতে লিখে রেখেছেন, অমুককে অত টাকা দিতে হবে, তমুককে অত টাকা দিতে হবে। কিন্তু তিনি আর বলছেন না, কার সঙ্গে তাঁর চুক্তি হয়েছে বা আরও কোনো কথাবার্তা হয়েছে কি না।’
সরকারের মধ্যেই কেউ কেউ বলছেন সৈয়দ আবুল হোসেনের নামে মামলা দেওয়া হলে সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক—এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সহকর্মীদের বেশির ভাগই পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে বেশি কিছু জানেন না। কারণ, সব তথ্য তাঁরা পান না। আমিও দিই না। আমি নিজেই সব তথ্য পাই না।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলি না বিশ্বব্যাংক চলে যাবে। যদি একান্তই চলে যায়, চীন ও মালয়েশিয়া রয়েছে। রয়েছে বিশ্বব্যাংক ছাড়া অন্য দাতারাও।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চিরদিনই বলে আসছি, এখনো বলছি, এ সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি। দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই, ভবিষ্যতেও সম্ভাবনা নেই। কোনো লেনদেনই হয়নি, আবার দুর্নীতি!’
শুরুর দিকে সৈয়দ আবুল হোসেনের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান সাকো সম্পর্কেও দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয় জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তদন্ত করে সাকোর বিরুদ্ধে কিছু পাওয়া যায়নি। এরপর বিশ্বব্যাংক বলল, কানাডায় তদন্ত হচ্ছে। আমরা বললাম ঠিক আছে, অভিযোগ থাকলে ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করা যায়।’
দুর্নীতিই যদি না হয়, তাহলে সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো কেন, আর সাবেক সেতুসচিবকে কেন পাঠানো হলো জেলে—এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আবুল হোসেনকে আমরা সরাতে চাইনি। কিন্তু, তারা (বিশ্বব্যাংক) বলেছে, আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ যেহেতু উঠেছে, তাই সরকারে থাকলে তদন্তে তিনি প্রভাব বিস্তার করতে পারেন। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হলো।’
সেতুসচিবের জেলে যাওয়ার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জিজ্ঞাসা করুন। প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে (এফআইআর) তাঁর নাম এসেছে। এখানে দুর্নীতির কিছুটা সম্পর্ক পাচ্ছি। তবে পুরোপুরি পাচ্ছি না।’
সুইডেন ও ডেনমার্কের তিন এমপি সুশাসনে বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন—এ কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ দেশ ভয়ংকরভাবে কেন্দ্রীভূত। সামান্য কাজের সিদ্ধান্তও হয় রাজধানী থেকে। এ ছাড়া রয়েছে দুর্নীতি। তিনি বলেন, পুলিশ, আদালত ও ভূমি—এ তিনটি খাতে দুর্নীতি বেশি হয়। এর পরের অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় সরকার। ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে দুর্নীতি কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
সচিবালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, ‘আমি আপনাদের একটি তথ্য দিতে চাই। কাল (আজ শুক্রবার) অর্থমন্ত্রীর ৮০তম জন্মদিন।’
ক্রয় কমিটির বৈঠকের আগে গতকাল সকালে ডেনমার্ক ও সুইডেনের সফররত তিন এমপির সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী। প্রথমেই এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি। এরপর ব্যাখ্যাসহ ক্রয় কমিটিতে অনুমোদিত ও অননুমোদিত প্রকল্পের কথা জানান। এ সময়ই সাংবাদিকেরা পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেন।
বিশেষজ্ঞ দলের বক্তব্য জেনে পদ্মা সেতুর অর্থায়নের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এ মাসে জানানো সম্ভব না-ও হতে পারে—অ্যালেন গোল্ডস্টেইনের এই বক্তব্য বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘উনার চাকরির মেয়াদ শেষ। এ মাসের শেষে চলে যাচ্ছেন। উনি তো কত কথাই বলেছেন। বাংলাদেশের বিরাট দুর্নীতি উদ্ঘাটন করেছেন উনি।’
বিশ্বব্যাংক ফিরে না এলে কী হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো বলিনি যে বিশ্বব্যাংক ফিরবে না। তাই এখন কিছু বলতে পারব না। তবে আগের কথাই আবার বলতে পারি। তিন দাতার সঙ্গে কথা বলছি। আরও দুজন নিজে থেকেই আগ্রহী। এটি একটি জটিল অবস্থা।’
শুরুর দিকে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সব তথ্য দেয়নি বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কেউ একজন ডায়েরিতে লিখে রেখেছেন, অমুককে অত টাকা দিতে হবে, তমুককে অত টাকা দিতে হবে। কিন্তু তিনি আর বলছেন না, কার সঙ্গে তাঁর চুক্তি হয়েছে বা আরও কোনো কথাবার্তা হয়েছে কি না।’
সরকারের মধ্যেই কেউ কেউ বলছেন সৈয়দ আবুল হোসেনের নামে মামলা দেওয়া হলে সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক—এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সহকর্মীদের বেশির ভাগই পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে বেশি কিছু জানেন না। কারণ, সব তথ্য তাঁরা পান না। আমিও দিই না। আমি নিজেই সব তথ্য পাই না।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলি না বিশ্বব্যাংক চলে যাবে। যদি একান্তই চলে যায়, চীন ও মালয়েশিয়া রয়েছে। রয়েছে বিশ্বব্যাংক ছাড়া অন্য দাতারাও।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চিরদিনই বলে আসছি, এখনো বলছি, এ সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি। দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই, ভবিষ্যতেও সম্ভাবনা নেই। কোনো লেনদেনই হয়নি, আবার দুর্নীতি!’
শুরুর দিকে সৈয়দ আবুল হোসেনের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান সাকো সম্পর্কেও দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয় জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তদন্ত করে সাকোর বিরুদ্ধে কিছু পাওয়া যায়নি। এরপর বিশ্বব্যাংক বলল, কানাডায় তদন্ত হচ্ছে। আমরা বললাম ঠিক আছে, অভিযোগ থাকলে ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করা যায়।’
দুর্নীতিই যদি না হয়, তাহলে সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো কেন, আর সাবেক সেতুসচিবকে কেন পাঠানো হলো জেলে—এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আবুল হোসেনকে আমরা সরাতে চাইনি। কিন্তু, তারা (বিশ্বব্যাংক) বলেছে, আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ যেহেতু উঠেছে, তাই সরকারে থাকলে তদন্তে তিনি প্রভাব বিস্তার করতে পারেন। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হলো।’
সেতুসচিবের জেলে যাওয়ার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জিজ্ঞাসা করুন। প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে (এফআইআর) তাঁর নাম এসেছে। এখানে দুর্নীতির কিছুটা সম্পর্ক পাচ্ছি। তবে পুরোপুরি পাচ্ছি না।’
সুইডেন ও ডেনমার্কের তিন এমপি সুশাসনে বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন—এ কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ দেশ ভয়ংকরভাবে কেন্দ্রীভূত। সামান্য কাজের সিদ্ধান্তও হয় রাজধানী থেকে। এ ছাড়া রয়েছে দুর্নীতি। তিনি বলেন, পুলিশ, আদালত ও ভূমি—এ তিনটি খাতে দুর্নীতি বেশি হয়। এর পরের অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় সরকার। ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে দুর্নীতি কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
No comments