ইসরায়েল নতুন বসতি করলে আইসিসিতে যাবে ফিলিস্তিন
পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েল নতুন করে ইহুদি বসতি স্থাপন করলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা করবে ফিলিস্তিন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ মালকি গত বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণে এ হুমকি দেন। তিনি বলেন, সিদ্ধান্তটি এখন ইসরায়েলের নতুন সরকারের ওপর নির্ভর করছে।
আগে আইসিসিতে যাওয়ার অধিকার ফিলিস্তিনিদের ছিল না। গত নভেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনকে অসদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়া হয়। ফলে ফিলিস্তিনিরা এখন সংস্থাটিতে যাওয়ার অধিকার পেয়েছে। সাধারণ পরিষদের ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেমে নতুন করে বসতি স্থাপনের ঘোষণা দেয়। বিতর্কিত ওই প্রকল্পের আওতায় সেখানে আরও দেড় হাজার ঘর তৈরি করবে দেশটি।
ফিলিস্তিনের মর্যাদা উন্নীত হওয়ার পর বুধবার কোনো ফিলিস্তিনি নেতা নিরাপত্তা পরিষদে প্রথম ভাষণ দিলেন। ভাষণে রিয়াদ মালকি ই-১ নামে পরিচিত এলাকায় ইসরায়েলের বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন।
মালকি বলেন, ওই এলাকায় ইহুদি বসতি স্থাপন করা হলে তা হবে লাল সীমারেখার অতিক্রম। ইসরায়েল ওই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করলে ফিলিস্তিনিরা আইসিসিতে অভিযোগ করতে বাধ্য হবে। নিরাপত্তা পরিষদে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল যদি ই-১ এবং জেরুজালেমের আশপাশে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আরও অগ্রসর হয়, তাহলে আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যাব। আমাদের বিকল্প কোনো পথ থাকবে না। এটা নির্ভর করছে ইসরায়েলের সিদ্ধান্তের ওপর। ইসরায়েল আমাদের অবস্থান ভালো করেই জানে।’
মালকির ভাষণের সময় তাঁর ঠিক পেছনে লাগানো ছিল একটি নামফলক, যাতে লেখা ছিল, ‘স্টেট অব প্যালেস্টাইন।’ জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সুসান রাইস বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে স্টেট অব প্যালেস্টাইন লেখার অর্থ এই নয় যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।
এদিকে জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক কূটনীতিক রবার্ট সারে নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, ইহুদি বসতি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এবং তা সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে একটা প্রতিবন্ধকতা। তবে তিনি এই বলেও সতর্ক করে দেন, আন্তর্জাতিক ফোরামে কোনো পদক্ষেপকে নিয়ে যাওয়া হলে, তা শান্তি আলোচনার পথকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে। বিবিসি।
ফিলিস্তিনের মর্যাদা উন্নীত হওয়ার পর বুধবার কোনো ফিলিস্তিনি নেতা নিরাপত্তা পরিষদে প্রথম ভাষণ দিলেন। ভাষণে রিয়াদ মালকি ই-১ নামে পরিচিত এলাকায় ইসরায়েলের বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন।
মালকি বলেন, ওই এলাকায় ইহুদি বসতি স্থাপন করা হলে তা হবে লাল সীমারেখার অতিক্রম। ইসরায়েল ওই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করলে ফিলিস্তিনিরা আইসিসিতে অভিযোগ করতে বাধ্য হবে। নিরাপত্তা পরিষদে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল যদি ই-১ এবং জেরুজালেমের আশপাশে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আরও অগ্রসর হয়, তাহলে আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যাব। আমাদের বিকল্প কোনো পথ থাকবে না। এটা নির্ভর করছে ইসরায়েলের সিদ্ধান্তের ওপর। ইসরায়েল আমাদের অবস্থান ভালো করেই জানে।’
মালকির ভাষণের সময় তাঁর ঠিক পেছনে লাগানো ছিল একটি নামফলক, যাতে লেখা ছিল, ‘স্টেট অব প্যালেস্টাইন।’ জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সুসান রাইস বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে স্টেট অব প্যালেস্টাইন লেখার অর্থ এই নয় যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।
এদিকে জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক কূটনীতিক রবার্ট সারে নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, ইহুদি বসতি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এবং তা সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে একটা প্রতিবন্ধকতা। তবে তিনি এই বলেও সতর্ক করে দেন, আন্তর্জাতিক ফোরামে কোনো পদক্ষেপকে নিয়ে যাওয়া হলে, তা শান্তি আলোচনার পথকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে। বিবিসি।
No comments